পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) ডাঃ প্রদীপ মিত্র বললেন, ফ্রি হওয়ায় পিপিপি সেন্টারগুলিতে রোগীদের ভিড় বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, যা খবর পাচ্ছি, অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে বিনা পয়সার এমআরআই-সিটি-পেট সিটি স্ক্যান। সম্পন্ন ঘরের রোগীরাও ভিড় করছেন বলে শুনছি। বরং প্রকৃত প্রয়োজন যাঁদের, তাঁদের দেরিতে ডেট পড়ছে। বিষয়টির দিকে নজরদারি শুরু হয়েছে। কী করা যায়, আমরা দেখছি।
সূত্রের খবর, ধাপে ধাপে প্রথমে রাজ্যজুড়ে সর্বত্র সরকারি এমআরআই-সিটি ফ্রি করে দেওয়া, তারপর জেলায় জেলায় পিপিপি সেন্টারে এইসব পরীক্ষা ফ্রি করা এবং শেষে কলকাতার পাঁচ মেডিক্যাল কলেজের পিপিপি সেন্টারের পরীক্ষাগুলিও ফ্রি করে দেওয়ায়, মানুষের কাছে তা আশীর্বাদই হয়েছে। এদিকে, ডেট পেতে আগেও সমস্যা হতো সাধারণ মানুষের। তারপর সব কিছু ফ্রিতে হওয়ায় আর্থিক সঙ্গতিহীন রোগীদের পাশাপাশি ভিড় করছেন সরকারি-বেসরকারি ডাক্তারদের চেম্বারের তুলনায় সম্পন্ন রোগীরাও। ফলে ডেট পাওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটিই আরও পিছিয়ে পড়ছে।
ফ্রি হওয়ার পর কীভাবে সিটি-এমআরআই বেড়েছে? ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পিপিপি ডায়গনস্টিক সেন্টারে ফ্রি হওয়ার আগে গড়পড়তা এমআরআই হত কমবেশি ৭৫০টি। ফ্রি হওয়ার পর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৫০। বাদবাকি মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও ফ্রি হওয়ার আগে ২০১৮ সালের জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে পিপিপি সেন্টারগুলিতে এমআরআই হয়েছে কমবেশি ১২০০। ফ্রি হওয়ার পর নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসে তা বেড়ে হয়েছে মাসে ১৬০০ করে। আরও নির্দিষ্টভাবে বিআইএন-এর মতো জায়গায় পিপিপি মডেলে ফ্রি হওয়ার আগে মাসে এমআরআই হত ২২০০। এখন হচ্ছে গড়পড়তা ২৫০০। এনআরএস-এ এমআরআই হত মাসে ১১০০। এখন হচ্ছে ১৪০০। এইসব মেডিক্যাল কলেজগুলিতেই ওইসব মাসে গড়ে সিটি স্ক্যান হয়েছে কমবেশি ১৬০০ করে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে তা হচ্ছে ২১০০ থেকে ২৩০০! ফ্রি হওয়ার পর প্রত্যেক মাসে সিটি বেড়েছে ৫০০-৭০০ করে! বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের পিপিপি সেন্টারে ফ্রি হওয়ার আগে সিটি স্ক্যান হত মাসে ১৫০০। এখন তা হচ্ছে মাসে ২৫০০!
রাজ্যের বেশি কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের পিপিপি সেন্টারের এক কর্তা বলেন, ফ্রি হওয়ার পর এমআরআই-সিটি স্ক্যান হু হু করে বাড়ছে। সামগ্রিকভাবে মানুষের লাভ হচ্ছে। পাশাপাশি বাইরে করাতে পারার ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষজনের ভিড়ও কিন্তু বাড়ছে। বিআইএন, বাঁকুড়া সহ বেশ কয়েকটি পিপিপি সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার সমীর কুণ্ডু বলেন, ফ্রি হওয়ার পর সিটি স্ক্যান কোথাও কোথাও ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এমআরআই বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। গরিব মানুষের প্রচুর লাভ হয়েছে। এখন বহু মধ্যবিত্তও আসছেন।