পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
মৃত সরকারি কর্মীর পোষ্যদের চাকরি এখন কোন প্রক্রিয়ায় হবে, তা অর্থ দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এই ক্ষেত্রে চাকরি প্রাপকের বিষয়টি অর্থ দপ্তরকে জানাবে। এরপর অর্থ দপ্তর বিভিন্ন দপ্তরে এই ক্যাটিগরিতে কোথায় কত শূন্যপদ আছে, তা খতিয়ে দেখবে। যেখানে শূন্যপদ আছে, সেখানে গ্রুপ ডি পদে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। সরকারি সূত্রে খবর, মৃত কর্মী যে দপ্তরে কাজ করতেন, সেখানে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কিন্তু ওই দপ্তরে শূন্যপদ না থাকলে অন্যত্র চাকরির ব্যবস্থা হবে।
নতুন ব্যবস্থায় সরকারি কর্মীদের সংগঠন খুশি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নতুন ব্যবস্থা চালু হওয়ায় চাকরির জন্য আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না বলে তাঁরা আশা করেন। তবে অর্থ দপ্তরে যাতে চাকরির ফাইল আটকেকে না থাকে, সেটাও দেখতে হবে। তা না হলে যে উদ্দেশ্যে এটা করা হচ্ছে, তার কোনও মানে থাকবে না।
তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীদের চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতি তৈরি করা হয়। সরকারি কর্মীর মৃত্যুর ছ’ মাসের মধ্যে আবেদন করার যে সময়সীমা ছিল, তা বাড়িয়ে দু’ বছর করা হয়। পাশাপাশি মৃত কর্মীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থাও করা হয়। যদি দেখা যায়, মৃত্যুর পর পরিবারের আয় পেনশন সহ বিভিন্ন সূত্র মিলিয়ে আগের তুলনায় ৯০ শতাংশের কম হয়, তবেই পরিবারের কোনও সদস্য চাকরি পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন। আর্থিক অবস্থা সহ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দপ্তরে তিন সদস্যর বিশেষ কমিটিও আছে।
কিন্তু সব কিছু খতিয়ে দেখে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া পরও পরিবারের সদস্য নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ প্রচুর আসছে। আট-দশ বছর পরেও চাকরি হয়নি এমন ঘটনাও আছে। আবার মৃত্যুর কয়েক মাসের মধ্যে চাকরি হয়ে যাওয়ার ঘটনাও আছে। অনেক মৃত কর্মীর পরিবারের সদস্য সরকারি দপ্তরে ঘুরে ঘুরে হয়রান হচ্ছেন চাকরির জন্য। সরকারি দপ্তরে এই চাকরি দেওয়ার চক্র গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ আছে। এই চক্রে সরকারি কর্মী সংগঠনের সঙ্গে যুক্তদের জড়িত থাকার অভিযোগ নবান্নের শীর্ষস্তরে পৌঁছয়। কয়েক মাস আগে পুলিশ এই ধরনের চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এক সরকারি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। নতুন ব্যবস্থায় চাকরি দেওয়ার চক্রের রমরমা কমবে, এমনটাই আশা করছেন অনেকেই।
তবে মৃত কর্মীদের পোষ্যদের শুধু মাত্র গ্রুপ ডি চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে কর্মী সংগঠনের আপত্তি আছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও শুধু গ্রুপ ডি চাকরি দেওয়া হয়। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার দাবিও উঠছে। কিন্তু সরকারি মহলের দাবি, গ্রুপ ডি-তে শূন্যপদ বেশি থাকে। তাই সেখানেই চাকরি দেওয়া হয়।