পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশের দুই প্রধান বিরোধী দল যেভাবে মমতা মডেল মেনে জোট ঘোষণা করেছে, তাতে ঘুম উড়েছে বিজেপির। পাশাপাশি জোটের মধ্যমণি হিসেবে মমতার গ্রহণযোগ্যতা ওই ঘটনায় আরও বেড়ে গিয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের ঐক্যের প্রধান চালিকাশক্তি যে তৃণমূল নেত্রী, তা বুঝিয়ে দিতেই ব্রিগেড সমাবেশ নতুন চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের কাছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ রাজ্য জুড়ে প্রচারে ব্রিগেডের সমাবেশের জাতীয় প্রেক্ষিত তুলে ধরছেন। সুব্রত বক্সির মতে, এবারের সভা অতীতের সমস্ত ব্রিগেড সভার চেয়ে আলাদা। কেননা, এই সভার দিকে গোটা দেশের নজর থাকবে। যা অতীতে কোনওদিনই হয়নি। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভায় স্লোগান উঠতে শুরু করেছে, মমতার ডাকে দিল্লি চলো। তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, আগামী লোকসভা ভোটের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী দেশের নেতৃত্ব গঠনে বাংলা নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিতে চলেছে। সেই বাস্তবতার উপর দাঁড়িয়েই আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে মমতা সর্বাধিক আসন জিতে দিল্লি যেতে চান। উল্লেখ্য, মমতা বাংলায় যেমন রাজনৈতিক আধিপত্য কায়েম করেছেন, তেমনটা উত্তরপ্রদেশে করা সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব বা বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী- কারও পক্ষে বোধহয় সম্ভব নয়। তাই মমতা একা লড়াই করেই রাজ্যের সবকটি আসন জেতার স্বপ্ন দেখতে পারেন। স্বভাবতই, সম্ভাব্য বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূলের গুরুত্ব ধারে ও ভারে সবার থেকে বেশি হবে।
উত্তরপ্রদেশের জোট চিত্রে ফাঁপরে পড়েছে এরাজ্যের কংগ্রেসও। তাদের দলের কোনও প্রতিনিধি ব্রিগেডে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ঝেড়ে কাশেনি রাহুল গান্ধীর দল। বামেদের অবস্থা আরও সঙ্গীন। একেই রাজ্যে তাদের সাংগঠনিক অবক্ষয় অব্যাহত। রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতা করতে গিয়ে পরোক্ষে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও বাম দলগুলিকে ব্রিগেডের বিরোধী ঐক্যের মঞ্চে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানালেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। রাজ্য কংগ্রেস নেতারা বামেদের সুরেই একইসঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরোধিতার নাম করে বিভ্রান্তি বাড়িয়ে চলেছেন। এআইসিসির কাছে মমতা আমন্ত্রণ পাঠালেও রাহুল রাজ্য নেতৃত্বের মনোভাবকে মান্যতা দিতে বেশি আগ্রহী। রাজ্য নেতারা ব্রিগেড পরিহারের পক্ষে সর্বসম্মত মত জানিয়েছে হাইকমান্ডকে। তৃণমূলের এক শীর্ষনেতার মতে, এখন রাহুলকে বেছে নিতে হবে তিনি কতিপয় রাজ্য নেতার কথা মানবেন, নাকি বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গঠনে মমতার পাশে দাঁড়াবেন। তাঁর দাবি, সব জবাব মিলবে ব্রিগেড ময়দানে।