পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
দপ্তর সূত্রের খবর, যেভাবে সরকারি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন নথি ‘পেপারলেস’ করা ছাড়া উপায় নেই। তারই অঙ্গ হিসেবে সিংহভাগ রাজ্যবাসীর জন্য আলাদা আলাদা নম্বর তৈরি এবং ই-প্রেসক্রিপশন ও ই-ল্যাবরেটরি চালুর কাজ শুরু হবে। এগুলি পুরোদমে চালু হলে স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকাংশ কাজই কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে।
এখন প্রশ্ন, সিংহভাগ মানুষের কথা বলা হচ্ছে কেন? দপ্তর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সরকার ঘোষণা করেছে, শীঘ্রই সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে দেখাতে হলে দরকার হবে ‘খাদ্যসাথী’র ডিজিটাল রেশন কার্ড। না থাকলে বিকল্প হিসেবে ফোন নম্বর বা অন্য কোনও সংখ্যা নথিভুক্ত করা যায় কি না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে। এনআরএস, মেডিক্যাল কলেজ সহ কয়েকটি জায়গায় একারণে মাইক প্রচার চলছে। ‘খাদ্যসাথী’র কার্ড স্ক্যান করেই হাসপাতালের কাউন্টার থেকে তৈরি হবে ইউনিক নম্বর। ন’কোটি জনসংখ্যার রাজ্যে সাড়ে আট কোটিরও বেশি মানুষের ‘খাদ্যসাথী’ কার্ড রয়েছে। ফলে তাঁরা সকলেই স্বাস্থ্য দপ্তরের ইউনিক আইডি’র সুবিধা পাবেন। এরপর রাজ্যের যে কোনও সরকারি হাসপাতালে সেই রোগী গেলে সঙ্গে পরিচয়পত্র আর ইউনিক আইডি থাকলেই হবে।
শনিবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই ইউনিক আইডি তৈরির কাজে হাত দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এটি হলে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ও পেতে উভয়পক্ষেরই সুবিধা হবে। দপ্তর সূত্রের খবর, এই পরিষেবা চালুর জন্য রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সর্বত্র নিদেনপক্ষে ই-প্রেসক্রিপশন চালু থাকা জরুরি। ইতিমধ্যেই যা রয়েছে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (বহির্বিভাগ), পিজি’র গ্যাসট্রোএনটেরোলজি বিভাগ, এম আর বাঙুর হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রি, বর্ধমান ডেন্টাল কলেজ, হাওড়া জেলা হাসপাতাল প্রভৃতি জায়গায়।