উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এক প্রশ্নের উত্তরে পেপ জানান, ‘মরশুম প্রায় শেষ লগ্নে। মাত্র একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে আমাদের। তারপর আগামী মরশুমের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। ২০১৯-২০ মরশুমেও লিভারপুল দুরন্ত ফুটবল উপহার দেবে বলেই আমার বিশ্বাস। এছাড়া ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, আর্সেনাল এবং টটেনহ্যাম হটস্পারও নিশ্চয়ই ঘুরে দাঁড়াবে। তাই নিজেদের পারফরম্যান্স উন্নত থেকে উন্নততর করতেই হবে।’
রবিবার প্রিমিয়ার লিগ জয়ের সঙ্গেসঙ্গে হোসে মরিনহোকে পিছনে ফেললেন পেপ গুয়ার্দিওলা। প্রায় কুড়ি বছরের কোচিং জীবনে মরিনহো পেয়েছেন ২৫টি ট্রফি। আর মাত্র এগারো বছরেই পেপের ক্যাবিনেটে ২৬টি ট্রফি। এরমধ্যে বার্সেলোনার হয়ে ১৪টি খেতাব জিতেছেন তিনি। বায়ার্ন মিউনিখকে দিয়েছেন সাতটি এবং ম্যান সিটিকে পাঁচটি ট্রফি। এফ এ কাপ জিততে পারলে স্প্যানিশ কোচটির বায়ো-ডেটা আরও সমৃদ্ধ হবে। পরিসংখ্যানের নিরিখে তাঁর থেকে এগিয়ে রয়েছেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, লুকেস্কু, লোবানোভস্কি এবং অটমার হিজফিল্ড।
এদিকে, অল্পের জন্য লিগ খেতাব হাতছাড়া হলেও হতাশ নন লিভারপুলের কোচ জুরগেন ক্লপ। রবিবার ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে উলভসকে ২-০ গোলে হারালেও দ্বিতীয় স্থানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ইংলিশ ক্লাবটির জার্মান কোচকে। মহম্মদ সালাহদের সান্ত্বনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী মরশুমে আবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ থাকবে। তাই দুঃখ করে লাভ নেই। এবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে হবে। সেই লক্ষ্যেই নিজেদের প্রস্তুত কর।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ক্লপ জানান, ‘ফুটবলারদের জন্য আমি গর্বিত। মরশুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওরা যেভাবে সেরা পারফরম্যান্স উজড় করে দিয়েছে তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। লিভারপুলের ইতিহাসে এটা অন্যতম সেরা দল। মাত্র এক পয়েন্টের জন্য আমাদের রানার্স হতে হল। মনে রাখবেন, ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বাজেটের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য অনেকটাই। ওরা ফুটবলার কেনার জন্য যা খরচ করতে পারে তা লিভারপুলের কাছে অসম্ভব। তা সত্ত্বেও এই লড়াই নিশ্চয়ই সমর্থকদের মন ভরিয়েছে।’