কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
মৃতার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে লালগোলা থানার মানিকচকের পণ্ডিতপাড়ার তহমিনার সঙ্গে মানিকচকের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি রহমত আলির বিয়ে হয়। এদিকে বিয়ের আগে থেকেই রহমতের সঙ্গে ওই গ্রামের এক মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। বিয়ের মাসখানেকের মধ্যেই স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পেরেই প্রতিবাদ করায় দম্পতির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ স্বামী এবং তার পরিবারের লোকজন মাঝেমধ্যেই মারধর করত ওই যুবতীকে। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বেশ কয়েকবার বাপের বাড়িতে চলেও এসেছিলেন তহমিনা। মৃতার বাবা আইনুল হক বলেন, বিয়ের কিছুদিন পরে থেকেই মেয়ের উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার শুরু হয়। মেয়ে বাড়িতে এসে জামাইয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ে জানিয়েছিল। রবিবার রাতে পরিকল্পনামাফিক মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মেরে ঘরের মধ্যে চাদর ঢাকা দিয়ে ফেলে রেখে সবাই পালিয়ে যায়।
মৃতার দাদা নুর আমিন বলেন, বিয়ের মাসকয়েক পর থেকেই বোনের উপর অত্যাচার শুরু হয়। একাধিকবার গিয়ে মিটমাট করেছিলাম। মাসখানেক ধরে অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেলে বোন বাড়িতে চলে আসে। কয়েকদিন পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে বোনকে নিয়ে যায়। রবিবার রাতেই বোনকে মেরে ফেলে সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিন সকালে গ্রামের একজন ফোনে আমাদের ঘটনার কথা জানানোয় গিয়ে দেখি ঘরে বোনের দেহ চাদর ঢাকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওদের ফাঁসি চাই। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা ঘটনার পরে থেকেই পলাতক।