কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
এদিন বেলা ৩টে নাগাদ সিঙ্গারকোণ বিএলএলআরও অফিস চত্বরে জমায়েত হয়ে মিছিল করে তৃণমূলের ওই সংগঠনের সদস্যরা বিডিও অফিসে হাজির হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিডিও অফিস চত্বরে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে, এদিন বিক্ষোভকারী ও বক্তাদের বক্তব্যের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল বিডিও মিলন দেবগড়িয়া। তাঁদের অভিযোগ, বিডিওর জন্য সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়ে আজ সাধারণ মানুষ সরকারের বদনাম করছেন। এই ঘটনার পর শাসক দল ও বিডিওর সংঘাত প্রকাশ্যে চলে এল বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সকলের জন্য আবাস যোজনা সহ কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী ও নানা প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। বিডিও অফিসের একশ্রেণীর দালালদের চক্রান্তে সরকারের বদনাম করতে এই প্রকল্প থেকে সাধরণ মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আদিবাসী, ওবিসি, এসসিদের সংশাপত্র ও ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করা হচ্ছে। আবাস যোজনা প্রকল্পে সাধারণ গরিব মানুষের ঘর বিলি নিয়ে টালবাহানা করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা অফিসের ভিতরে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। আমরা চাই অবিলম্বে জনপ্রতিনিদের মর্যাদা ও সরকারি প্রকল্প বিলিতে সাধারণ মানুষকে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সরকারি প্রকল্প থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে সরকারের বদনাম করা দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ডেপুটেশনের পরও যদি কাজ না হয় আগামীদিনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
বিডিও মিলন দেবগড়িয়া অফিসের বাইরে থাকায় ফোনে তাঁকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ব্লক অফিসে কোনও অনৈতিক কাজ হয় না। সরকারি নিয়ম মেনে দপ্তরের কাজ চলে। পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে রেজ্যুলেশন করে সমস্ত কাজ হয়। জনপ্রতিনিদের গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হয়।