কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ায় তৃণমূলের সাতজন বিধায়কের মধ্যে দু’জন মন্ত্রী রয়েছেন। জেলা তৃণমূলের সভাপতি শান্তিরামবাবু ছাড়াও অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রয়েছেন মানবাজারের বিধায়িকা সন্ধ্যারানি টুডু। লোকসভা ভোটে শান্তিরামবাবুর নিজের বিধানসভা বলরামপুরেও বিপুল মার্জিনে পিছিয়ে থাকার পর রাজ্য মন্ত্রিসভায় শান্তিরামবাবুকে কার্যত গুরত্বহীন করে দপ্তরহীন মন্ত্রী করে রাখা হয়। যদিও দলের জেলা সভাপতি পদে তিনি বহাল তবিয়তেই ছিলেন। সেই সময় পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তর থেকে শান্তিরামবাবুকে সরিয়ে দেওয়ায় জেলা তৃণমূলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল। কেন না রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী নিজের বিধানসভা এলাকায় গত লোকসভা ভোটে পরাজিত হলেও তাঁদের প্রত্যেকের দপ্তর কেড়ে নেওয়া হয়নি। তাই বিভিন্ন পুরসভার কাউন্সিলার থেকে শুরু করে ব্লক সভাপতি এমনকী জেলা নেতাদেরও একাংশ জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী ও মলয় ঘটকের কাছেও শান্তিরামবাবুর দপ্তর ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আর্জি জানান। রবিবার পুনরায় শান্তিরামবাবুকে ওই দপ্তরের দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়ায় খুশি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শান্তিরামবাবু দীর্ঘদিন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। ওই দপ্তরের খুঁটিনাটি তাঁর জানা রয়েছে। শান্তিরামবাবুকে পুনরায় ওই দপ্তর ফিরিয়ে দেওয়ায় পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের পাশাপাশি জেলাবাসী হিসেবেও খুশি। এবার ওই দপ্তরের মাধ্যমে জেলায় দৃষ্টান্তমূলক উন্নয়ন করার সুযোগ রয়েছে।
মানবাজার-২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি হংসেশ্বর মাহাত বলেন, তাঁর দপ্তর কেড়ে নেওয়ার প্রথম দিন থেকে প্রতিবাদ করে দপ্তর ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। তা মান্যতা পাওয়ায় খুশি।
অন্যদিকে, শান্তিরামবাবু দপ্তর ফিরে পাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও এবিষয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। ঝালদা শহরের তৃণমূল কর্মী নেহাল হাজরা তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, শান্তিরামবাবুকে দেখে শেখা উচিত। উনি দপ্তর যাওয়ার পরেও দলের প্রতি রাগ উগরে দেননি। আর দপ্তর পুনরায় পেয়েও অহংকার করেননি। কিন্তু, আমরা সামান্য কোনও কমিটি থেকে বাদ পড়লেও দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে থাকি। এটা ঠিক না। দল সবার আগে।
যদিও এবিষয়ে বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, আর কাউকে মন্ত্রী করার জন্য খুঁজে না পেয়ে শান্তিবাবুকে পুনরায় ওই দপ্তরের মন্ত্রী করা হয়েছে। আসলে মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দিয়ে পুরুলিয়াবাসীর আস্থা তৃণমূল ফিরে পেতে চাইছে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তর কেন মুখ্যমন্ত্রী করলেও পুরুলিয়া জেলায় তৃণমূল আর পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পাবে না।