কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
এব্যাপারে পুলসিটা স্কুলের প্রধান শিক্ষক চঞ্চলকুমার মাইতি বলেন, বছর পাঁচ-সাতেক আগে আমার টাকার দরকার ছিল। সেজন্য ওঁর কাছ থেকে দু’টি ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়েছি। টাকার পরিমাণ প্রায় সাত লক্ষ টাকা। এখন সেই টাকা শোধ হওয়ার মুখে। এর বাইরে হিমাদ্রিশেখরবাবুর কাছ থেকে কোনও টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। এর সপক্ষে কোনও প্রমাণও উনি দিতে পারবেন না। গত শনিবার থেকে আমার ওই সহকর্মী বেপাত্তা। সেদিন থেকেই ওঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। আমার মানসম্মান নষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় সোমবার স্কুলে যাইনি। পুলিসের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। মঙ্গলবার আমাকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছে। সোমবারই সহশিক্ষকের বাড়ি থেকে নোট পাওয়া গিয়েছে বলে শুনছি। এখনও পর্যন্ত ওই শিক্ষক নিখোঁজ। এই অবস্থায় সুইসাইড নোটের কোনও মূল্য নেই। আমি পুলিসকে বলেছি, ওই শিক্ষককে খুঁজে বের করতে। আমি পুলিসের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।
গত ১৬নভেম্বর পাঁশকুড়া থানায় এনিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন হিমাদ্রিশেখরবাবুর স্ত্রী। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রধান শিক্ষককে আজ, মঙ্গলবার থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি অজয় মিশ্র জানিয়েছেন।
পাঁশকুড়া থানার পুলসিটা ভোলানাথ বিদ্যানিকেতনের সহ শিক্ষক হিমাদ্রিশেখরবাবু বছর দশেক আগে শিক্ষকতার চাকরি পান। সাহড়দা গ্রামে তাঁর বাড়ি। বাড়িতে বয়স্ক মা, স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের একটি মেয়ে আছে। স্ত্রী গর্ভবতী। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন শিক্ষকপত্নী। স্থানীয়রা জানান, বেশকিছু দিন ধরে ওই শিক্ষক স্থানীয় এলাকায় অনেকের টাকা থেকেই টাকা সংগ্রহ করেছেন। এমনকী সাহড়দা লাগোয়া কুমরপুর হটেশ্বর হাইস্কুলের কয়েকজন শিক্ষকের কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়েছিলেন নিখোঁজ ওই শিক্ষক। গত দু’দিন ধরে ওই শিক্ষকের বাড়ির সামনে প্রচুর লোকজন জড়ো হচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, হিমাদ্রিশেখরবাবু তাঁদের অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছেন। সরল সাধাসিধে হিমাদ্রিশেখরবাবুকে ভুল বুঝিয়ে প্রধান শিক্ষক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে কেউ কেউ দাবি করছেন। কিন্তু, একজন স্কুলশিক্ষক স্রেফ প্রধান শিক্ষকের কথাতেই লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন এই বক্তব্য পুলিসের কাছেও অবাক লেগেছে। আপাতত প্রধান শিক্ষককে থানায় ডেকে মুখোমুখি বসে মতামত শুনতে চায় পাঁশকুড়া থানার পুলিস।