গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, গরিব মানুষের কোটি কোটি টাকা এরা আটকে রেখেছে। পোস্ট অফিসের কাছে ১০০ দিনের প্রকল্পে কারা টাকা পেয়েছে তার কোনও হিসেব নেই। আমরা গরিব শ্রমিকদের টাকা নয়ছয় করতে দেব না। সাতদিনের সময় দিয়েছি। তারমধ্যে গ্রামের মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢুকলে জেলাজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। পোস্ট অফিস ঘেরাও করবেন ভুক্তভোগী গরিব মহিলারা। কেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষের প্রতি কীভাবে বঞ্চনা করছে এটা তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ।
বীরভূম জেলার পোস্টাল সুপারিনটেন্ডেন্ট কাশীনাথ ঘোষ বলেন, বহু অ্যাকাউন্টে এই ঘটনা হওয়ার কথা নয়। দু-একটি অ্যাকাউন্টে ভুল বশত হয়ে থাকতে পারে। আমাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। আমরা অনুরোধ করেছি পঞ্চায়েত ধরে নির্দিষ্ট অভিযোগ করতে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে এখন কেন্দ্র রাজ্য টানাপোড়েন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তা কৃষি বিমা হোক বা স্বাস্থ্য বিমা। ১০০দিনের প্রকল্প নিয়েও রাজ্যকে না জানিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে বিজেপি নেতারা দাবি করেন ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা জব কার্ড হোল্ডারদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিয়ে স্বচ্ছতা এনেছে মোদি সরকার। কিন্তু বিজেপির সেই হাতিয়ারকেই এবার ভোঁতা করতে রাস্তায় নেমে পড়ল বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৫ -১৬, ১৬-১৭ ও ১৭-১৮ অর্থবর্ষে একশো দিনের কাজ করা বহু শ্রমিকের পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। যার জেরে তাঁরা চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। পোস্ট অফিসের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। সংগঠনের নেতাদের দাবি বহু কোটি টাকা পোস্ট অফিস ইচ্ছা করে আটকে রেখেছে।
দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এহেশানুল হক বলেন, আমার পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ৪৫ লক্ষ টাকা আটকে রয়েছে। একইভাবে মাঠপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ ইউনুস বলেন, আমার পঞ্চায়েতের ১৫ লক্ষ টাকা আটকে রেখেছে পোস্ট অফিস। গরিব মানুষ কাজ করেও টাকা পাচ্ছে না। একইভাবে বনশঙ্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৫ লক্ষ টাকা মানুষ পায়নি বলে প্রধান মরিরাম দাসের দাবি।