গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের পর প্রায় ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও সভাপতির জন্য কোনও রুম বরাদ্দ না হওয়ার অভিযোগ তুলে বুধবার থেকে ব্লক অফিস চত্বরে গাছতলায় বসে অফিসের কাজ শুরু করেন ঝালদা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বীণা মাহাত। গাছতলায় অফিস করে বিডিওর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি। তাঁর সঙ্গে সেখানে যোগ দেন পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক কর্মাধ্যক্ষও। সভাপতির অফিসরুম এবং কর্মাধ্যক্ষদের নির্দিষ্ট বসার জায়গা বরাদ্দ না হওয়া পর্যন্ত অফিসের ভিতরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বীণাদেবী। বিডিওর সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির এই মতবিরোধের জেরে অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও। বুধবার বিকেলেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করে।
এবিষয়ে বীণাদেবী এবং তাঁর স্বামী তৃণমূল নেতা বিপ্রদাস মাহাত বলেন, অফিসরুম বরাদ্দ না হলে অফিসের ভিতরে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও অবিচল রয়েছি। তবে দলের নির্দেশে গাছতলায় অফিস করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। দলের পক্ষ থেকে এবিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করার আশ্বাস পেয়েছি।
বীণাদেবী আরও বলেন, এদিন দলের নির্দেশেই অফিসে যাইনি। তবে খবর পেয়েছি, দু’টি রুমে নতুন করে সভাপতি এবং সহ সভাপতির নেমপ্লেট বসানো হয়েছে। যদিও বিষয়টি আমি নিজে এখনও দেখিনি। এবিষয়ে দল যা বলবে তা মেনে চলব। তবে কর্মাধ্যক্ষদেরও বসার জায়গা বরাদ্দ হওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে হইচই হওয়ার পর নতুন করে নেমপ্লেট লাগানো হয়েছে। এতদিন কেন ওইটুকু কাজ করা সম্ভব হয়নি তা জানতে চাইছি ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে।
এবিষয়ে ঝালদা-১ বিডিও নির্মিতা সাহা বলেন, সভাপতি এবং সহ সভাপতির জন্য ব্লক অফিসের সবচেয়ে ভালো এসি রুম দু’টি আগে থেকেই বরাদ্দ রয়েছে। আমার বক্তব্য থেকে একটুও সরার প্রশ্ন নেই। গতকালের ঘটনার পর নতুন কোনও নেমপ্লেট লাগানো হয়নি। নেমপ্লেট আগে থেকেই ছিল। রুম যদি বরাদ্দ না থাকে তাহলে বিডিও তো আর ভগবান নয়, যে রাতারাতি বানিয়ে দেবে। সভাপতির রুম না থাকা এবং নতুন করে নেমপ্লেট লাগানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এবিষয়ে তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত বলেন, গোটা ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।