পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
আউশগ্রাম-২ ব্লকের ভাল্কি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর গ্রামের জয়ন্ত বাউড়ি, মমতা বাগদি, ময়রা বাউড়ি, শেখ আলাউদ্দিন, নটন বাউড়ি, লাল্টু বাগদি প্রমুখ বিডিও-র কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁরা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের এক বুথ সভাপতি প্রত্যেকের কাছ থেকে আবাস যোজনায় পাওয়া ১০হাজার টাকা করে জোর করে নিয়েছেন। এরফলে এখন বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার জন্য ওই তৃণমূল নেতা সেখান থেকেই প্রত্যেকের কাছ থেকে জোর করে টাকা কেড়ে নিয়েছেন। উপভোক্তারা বুকে সাহস নিয়ে অভিযোগ করার পর এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এদিকে, অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগকারীদের মধ্যে কয়েকজন জানিয়েছেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি অবশ্য বলেন, বিরোধীরা উপভোক্তাদের ভুল বুঝিয়ে এসব করেছে। পঞ্চায়েত প্রধান বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেছেন। এদিকে বিডিও সুরজিৎ ভড় এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। যেকোনও কারণেই হোক কয়েকজন অবশ্য অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চেয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পের পারফরম্যান্স বেশ খারাপ। বেশিরভাগ উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেননি। বেশকিছু জায়গায় ওই প্রকল্পে উপভোক্তাদের কাটমানি দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বেশিরভাগই ভয়ে অভিযোগ করতে পারেন না। কিন্তু, প্রকল্পের টাকায় ভাগ বসানোর কারণে বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয় না। এই অবস্থায় প্রশাসনের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে অনেকেই দাবি করেছেন।