উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
দার্জিলিং জেলার ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার আশিষ পুততুণ্ড বলেন, ইতিমধ্যে আমরা পদক্ষেপ করতে শুরু করেছি। জেলাজুড়ে থাকা সমস্ত হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ফাস্টফুড সেন্টারের তালিকা তৈরির কাজ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যেসব হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ফাস্টফুড সেন্টারের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। কোথাও অনিয়ম ধরা পড়লে মালিকপক্ষকে নোটিস পাঠানো হবে। নোটিস পাঠানোর পরেও যদি কোন সাড়া না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, এবিষয়ে শিলিগুড়ি পুরসভা কর্তৃপক্ষেরও একটু সজাগ হওয়া প্রয়োজন। এধরনের দোকানের অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রের তরফে দেওয়া এনওসি থাকলেই পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া উচিত। শিলিগুড়ি পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য কমল আগরওয়াল বলেন, অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রেকেই আরও কঠোর হতে হবে। তাদের নিয়মিত অভিযান চালানো প্রয়োজন। তবে আমাদের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। কোনও নতুন হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ফাস্টফুড সেন্টার চালু করার ক্ষেত্রে প্রথমেই অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রের এনওসি খতিয়ে দেখা হয়। সেই এনওসি না থাকলে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয় না। যদিও আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে বেশ কিছু হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ফাস্টফুড সেন্টার ট্রেড লাইসেন্স ও অগ্নি নির্বাপক কেন্দ্রের এনওসি ছাড়াই চলছে। আমরা সেই তালিকা তৈরি করছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথমে একবার নোটিস করা হবে। তবে তারপরও ব্যবসায়ীদের থেকে কোনও সাড়া না পেলে আইনের পথে হাঁটা হবে।
শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকাজুড়ে এধরনের কয়েক হাজার স্টল রয়েছে। অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ন্যূনতম অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই । অনেক ব্যবসায়ী আবার ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই দিব্যি ব্যবসা করে চলছেন। যদিও সেইসব হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ফাস্টফুড সেন্টারের তালিকা বা কোনও পরিসংখ্যান পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। এবিষয়ে এক ফাস্টফুড দোকানের মালিক অরিন্দম আচার্য বলেন, নিয়ম মেনে ট্রেড লাইসেন্স বানানো হয়েছে দোকান চালানোর জন্য। তবে তার জন্য অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রের তরফে এনওসি’র প্রয়োজন হয়নি। পুরসভার তরফেও সেবিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।