উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
মুচিয়া অঞ্চল লীলা সংকীর্তন কমিটির সম্পাদক অসিতকুমার সরকার বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার এই রথ সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানেন। এই রথ উদার ধর্মীয় মানসিকতার পরিচয় হিসেবে আমাদের কাছে রয়েছে। বৈশাখ মাসের সংক্রান্তিতে আমরা রথ উৎসব পালন করি। এদিন হাজার কয়েক ভক্ত একত্রিত হয়ে খোল করতাল বাজিয়ে সংকীর্তন করে পুষ্পরথ টেনে নিয়ে যান।
পুরাতন মালদহের মুচিয়ার মহাদেবপুরে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের সংক্রান্তির দিন পুষ্পরথ উৎসব হয়ে থাকে। এই উৎসব একসময় অবিভক্ত ভারতের বর্তমান বাংলাদেশের ভোলাহাট বাজারে হতো। কথিত আছে ১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধের সময় মহানন্দা নদী পেরিয়ে এপারে চলে আসেন অনেকে। কিন্তু পিতলের প্রায় ২২ ফুট লম্বা রথ ওপারেই থেকে যায়। সম্পূর্ণ পিতলের রথ থাকায় সেসময় ভিতরের কিছু অংশ খুলে নেওয়া হয়েছিল। এজন্য এলাকায় মহামারী দেখা দিয়েছিল। পরে ওপারের বাসিন্দারা স্বপ্নাদেশ পেয়ে এপারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রথটি ফিরিয়ে দিয়ে যান। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের বক্তব্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের রিয়াজ মণ্ডল এবং ইদ্রিস মোল্লা মুচিয়ার মহানন্দা নদীতে একাত্তরের বন্যার সময় নৌকা করে ওই পুষ্পরথ ফিরিয়ে দিয়ে যান। সেই থেকে ওই পুষ্পরথ এখানেই আছে। বৈষ্ণব মতে এই রথ টানা হয় বলে একাদশীর দিন ফল, ডাবের জল, খেয়ে ভক্তরা পুষ্পরথ উৎসবে অংশ নেয়। প্রতিবছর পিতলের এই রথ ফুল দিয়ে সাজানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী ১০৮টি পদ্ম ফুল সহ গাঁদা, রজনীগন্ধা, জবা প্রভৃতি ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলে তার ওপর রাধা-কৃষ্ণকে বসিয়ে গ্রামের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন মহাদেবপুর, নজরপুর, মনোহরপুর, রামপাড়ার মানুষ রথযাত্রায় অংশ নেন। মহিলারা রথ টানার সময় পুষ্পবৃষ্টি করেন। রথটি ঝাপড়িতলা মন্দিরে রাখা হয়েছে।