গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
এদিন ঘটনার সূত্রপাত দুপুর ১টা ৫ মিনিট নাগাদ। ওই সময়ে দমদম স্টেশন থেকে কবি সুভাষ স্টেশনমুখী একটি এসি ট্রেন ছাড়ে। কিছু দূর এগনোর পরেই দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। থার্ড লাইন থেকে রেকে ঠিক মতো বিদ্যুৎ না আসায় এই বিপত্তি। ট্রেনের আন্ডার গিয়ারের সমস্যার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মেট্রো সূত্রে খবর। দমদম প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটির দূরত্ব সেই সময়ে ছিল ৭০০ মিটার। টানেলে ঢোকার ঠিক আগেই এই ঘটনাটি ঘটে। টানেল থেকে ট্রেনটির দূরত্ব ছিল ৩৩০ মিটার। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রায় ২৫-৩০ মিনিট তাঁরা ট্রেনটির মধ্যে আটকে ছিলেন। সেই সময়ে এসি কাজ করেনি। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দেয় কয়েকজনের। কিছুদিন আগে ময়দান স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি ফিরে আসে যাত্রীদের মধ্যে। ওই ঘটনার পরও মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন এবং দমদম স্টেশনেই একটি ট্রেনের নীচ থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সেসব ভেবে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পিছনের সহকারী চালকের কেবিন দিয়ে যাত্রীদের নীচে নামিয়ে হাঁটিয়ে প্ল্যাটফর্মে তোলা হয়। ঘটনার পর মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা যান মেরামতির জন্য। এই সময়ে গিরিশ পার্ক স্টেশন পর্যন্ত দুই লাইনেই ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। আটকে পড়া ট্রেনটিকে নোয়াপাড়া কারশেডে পাঠানোর পর বেলা ৩টে ১৪ মিনিট থেকে ফের গোটা পথে ট্রেন চলতে শুরু করে।
উদ্ধারকাজ শুরু করতে এতটা সময় লাগল কেন? এ নিয়ে মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ঘটনার পর মোটরম্যান বিধি মেনে ১৫ মিনিট ধরে ট্রেনটি চালাতে চেষ্টা করেছিলেন। তারপরও তা না চলায় কন্ট্রোল রুম সহ বিভিন্ন জায়গায় খবর দেন তিনি। খবর যায় কলকাতা পুলিসে। আরপিএফ, পুলিস ও মেট্রোর বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকাজ শুরু করে। ট্রেনটি আটকে পড়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই যাত্রীদের জন্য ঘোষণা করা শুরু হয়। এই ঘটনায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েননি বলেই দাবি করেন তিনি। কেন বারবার গোলযোগের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের? যাত্রীরাই রক্ষণাবেক্ষণের অভাব নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। যদিও ইন্দ্রাণীদেবীর বক্তব্য, রক্ষণাবেক্ষণে কোনও ঘাটতি নেই। এদিন কেন এমন ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।