কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
মাদারিহাট সদরের এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের ধারেই বেসরকারি ওই ট্যুরিস্ট লজটি রয়েছে। লজ থেকে ৫০ মিটার দূরেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল। লজটির ছ’টি রুমে কালকাতার ১৭ জন ও কোচবিহারের তিন জন পর্যটক ছিলেন। এদিন সকালে পর্যটকদের অনেকেরই তখন ঘুম ভাঙেনি। হঠাৎই হাতির বিকট চিৎকারে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। পর্যটকরা লজ থেকে বেরিয়ে দেখেন চারটি হাতি দাঁড়িয়ে আছে। তীব্র আতঙ্কে তাঁরা দ্রুত লজের জানালা দরজা বন্ধ করে দেন। এদিকে, ততক্ষণে হাতির দলটি লজের একটি জানালা, বারান্দার খুঁটি ও রেলিং ভেঙে দিয়েছে। পর্যটকদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। বাসিন্দারা হাতির দলটিকে তাড়িয়ে দিলে ফের জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলের দিকে চলে যায়। কলকাতার বাসিন্দা সুজিত ভৌমিক ও পৃথী কুশারী বলেন, বন্যজন্তু দেখার জন্যই ডুয়ার্সে বেড়াতে এসেছি। কিন্তু এভাবে শহরের উপকণ্ঠে একেবারে লজের মধ্যে হাতির দল চলে আসবে ভাবতে পারিনি। ভাগ্য ভালো থাকায় অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি।
বেসরকারি ওই লজের মালিক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, হাতির দলটি লজের জানালা, বারান্দার রেলিং ও খুঁটি ভেঙে দিয়েছে। বন দপ্তরের মাদারিহাট রেঞ্জের রেঞ্জার খগেশ্বর কার্জি বলেন, এই ঘটনার পর এবার মাদারিহাট সদরেও কর্মীদের মনিটরিং বাড়ানো হচ্ছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার ভোররাতে মাল ব্লকের বাগরাকোট চা বাগানে হাতির হামলায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম মদন টিজ্ঞা(৫৬)। তাঁর বাড়ি বাগানের ফ্যাক্টরি লাইনে। এদিন চেল রেঞ্জের জঙ্গল থেকে দু’টি হাতি চা বাগানের ফ্যাক্টরি লাইনের কাছে ঢুকে পড়ে। হাতি দু’টি মদনবাবুর বাড়ির পিছনে ভুট্টা খেতে থাকে। তবে একটি হাতি ভুট্টা খেয়ে মদনবাবুর উঠোনের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। রাতে মুষুলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। এর ফলে বিদ্যুৎ ছিল না। মদনবাবু সেসময় বাইরে বেরিয়ে সামনে হাতি দেখতে পেয়ে পালাতে যান। সেসময় হাতিটি তাঁকে ধরে ফেলে শুঁড় দিয়ে শূন্যে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই মদনবাবুর মৃত্যু হয়। সরকারি নিয়োমানুযায়ী মৃতের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে বনকর্তারা জানিয়েছেন।