কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
প্রায় বছর খানেক হল জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে শাসকদল ক্ষমতায় এলেও জেলার গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ হয়নি। ১৯ টি আসনে জিতে তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও জনপ্রতিনিধিদের একাংশের ঝাঁ চকচকে গাড়িতে চষে বেড়ানোটাই দেখতে পেয়েছে বলে লোকসভা ভোটে তার খেসারত দিতে হয়েছে। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরেও দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধিদের নিয়মিত পরিষদেও দেখা যায়নি। এদিন অর্থ স্থায়ী সমিতির বৈঠক হয়। বৈঠক ছিল যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। জেলা পরিষদের রাজস্ব আদায় নিয়ে এদিন একটি গাইডলাইন তৈরি হয়। জেলা পরিষদের বেদখল জমি উদ্ধার করে আয় বাড়ানোর উদ্যোগের পাশাপাশি এখনই তৈরি পরিকাঠামো থেকে কীভাবে আয় বাড়তে পারে সে বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের নিজস্ব ৩৪ টি হাট রয়েছে। হাট থেকে রাজস্ব আদায়ে মাত্র দুজন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। অধিকাংশ হাটের কর্মীরা বছরখানেক আগে এমনকী তারও বেশি সময় আগে অবসর নিলেও, সেই সকল শূন্যপদ পূরণ হয়নি। ফলে অধিকাংশ হাটগুলি থেকে কোনও রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এতে হাট পরিষেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। সঠিক ভাবে রাজস্ব আদায় হলে মাসে অন্তত ৪ লক্ষ টাকা জেলা পরিষদের আয় হতে পারতো। ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, মেটেলিতে জেলা পরিষদের বাংলো রয়েছে। ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়িতে কমিউনিটি হল রয়েছে। অথচ এগুলিতে কর্মীর অভাবে আয় নেই বললেই চলে। কমিউনিটি হল ও বাংলোগুলি লিজ দিয়ে ভালো পরিষেবার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত এদিনের অর্থ স্থায়ী সমিতির বৈঠকে হয়েছে। ময়নাগুড়ির পুরাতন বাজারে ২০ টি স্টল জেলা পরিষদ তৈরি করলেও সেগুলি লিজ দেওয়া হয়নি। এগুলি দ্রুত লিজ দিয়ে আয় বাড়ানো হবে। এছাড়া ধূপগুড়িতে মার্কেট কমপ্লেক্স দ্রুত নির্মাণ করে সেগুলি লিজ দিয়েও আয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।