কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক সুফল মণ্ডল বলেন, ঝড়ের কারণে আম ও লিচুর সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গাতেই গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে, ফল পড়ে গিয়েছে। এছাড়াও মাঠে থাকা ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ইসলামপুর ব্লক কৃষি আধিকারিক দীপ সিনহা বলেন, আমরা এলাকায় সমীক্ষায় করেছি। তার রিপোর্ট জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
জেলা কৃষি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বিপ্লব ঘোষ বলেন, ঝড়ের কারণে অনেক জায়গায় ভুট্টা, পাট গাছ মাটিতে পড়ে গিয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
জেলা উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতের ঝড়ে জেলায় মোট ৫৮ হেক্টর জমির আম ও লিচু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমাণ ৬০০ মেট্রিক টন। এর আর্থিক মূল্য এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা। জেলার মাঠগুলিতে এই সময়ে পটল, ঝিঙে, শসা, কুমড়ো, চিচিঙ্গা প্রভৃতি সব্জি রয়েছে। ৩২ হেক্টর এলাকার সব্জি চাষ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এরফলে ৩৩৫ মেট্রিক টন সব্জির ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। মোট ৫০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার সব্জির ক্ষতি হয়েছে। অর্থাৎ জেলায় ফল ও সবজি মিলিয়ে ৯০ হেক্টর জমিতে ৯৩৫ মেট্রিক টন ফল ও সব্জির ক্ষতি হয়েছে। যার মোট মূল্য এক কোটি ৭০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।
ইসলামপুর ব্লকের পণ্ডিতপোঁতা-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মাটিকুণ্ডা-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১টি মৌজায় ৭৫ শতাংশ জমির ভুট্টা ও সব্জি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসলামপুর ব্লকে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার গভীর রাতে হঠাৎই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। রায়গঞ্জ সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এই ঝড়-বৃষ্টি চলে। প্রায় ঘণ্টা খানেকের ঝড়ে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার অনেক জায়গায় মাঠে এখনও ভুট্টা রয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রায় দশ শতাংশ ভুট্টা গাছ মাঠে পড়ে গিয়েছে। অপর দিকে, যেসব পাট গাছের বয়স ৬০ থেকে ৬৫ দিন হয়েছে সেই সব লম্বা পাট গাছ অনেক জায়গায় হেলে গিয়েছে।
মাঠে থাকা সব্জি গাছ অনেক জায়গাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে। কৃষকদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। অপর দিকে, আম ও লিচু গাছের ডাল ভেঙে যাওয়াতে শুধুমাত্র যে ফলেরই ক্ষতি হয়েছে তাই নয় গাছগুলির ক্ষতি হয়েছে। এমনিতেই এবারে জেলায় গরমের কারণে আম উৎপাদন কিছুটা কম হবে বলে উদ্যান পালন দপ্তর আগেই জানিয়েছিল। এদিনের ঝড়ে আমের ক্ষতি হওয়ায় উৎপাদন আরও কিছুটা কমে যাবে বলে দপ্তর আশঙ্কা করছে।