বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
উত্তরঙ্গেও তৃণমূলের একাধিক নেতা সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যাদের মধ্যে কোচবিহারের যুব তৃণমূল নেতা নিশীথ প্রামাণিক ও জলপাইগুড়ির ধর্তিমোহন রায় ও মালদহের হবিবপুরের বিধায়ক সিপিএমের খগেন মুর্মুর যোগদান উল্লেখযোগ্য। বিজেপি সূত্রে খবর, দু’একদিনের মধ্যে কোচবিহার, মালদহ, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, আলিরপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি থেকে আরও কয়েকজন নেতা-নেত্রীর বিভিন্ন দল থেকে যোগদানের জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। যাঁরা এসেছেন ও আসবেন তাঁদের অনেককেই লোকসভা আসনে টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আনা হচ্ছে। সেজন্য তারা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে সময় নিচ্ছে।
এখনই প্রকাশ্যে কেউ এনিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও মালদহ, বালুরঘাট, রায়গঞ্জ, জলাপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সর্বত্রই বিজেপি’র একটি বড় অংশের নেতা-কর্মীরা নব্যদের নিয়ে এই মাতামাতি মেনে নিতে পারছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলিপুরদুয়ারের এক বিজেপি নেতা বলেন, তৃণমূলের হাতে মার খেয়ে,পুলিসের অত্যাচার সহ্য করে আমরা দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে এসেছি। এখন আমাদের ব্রাত্য করে নবাগতদের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে একতরফা ভাবে টিকিট দেওয়া হলে তা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। শুধু দলের মধ্যেই নয়, এর প্রভাব সাধারণ মানুষের মধ্যেও পড়বে। একাংশ নেতা-কর্মীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি’ই একমাত্র দল যারা তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছিল। তৃণমূলের কাছ থেকে অনেক আসন ছিনিয়ে নিয়েছে। একের পর এক নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট বাড়িয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে। সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে বিজেপি’র প্রতি আস্থা রাখাতে শুরু করেছে বলেই এই সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। সাধারণ মানুষ কিন্তু তৃণমূল থেকে কোনও নেতা আসবেন তা ভেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেয়নি। যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মানুষ বিজেপি’কে ভোট দিয়েছেন তাঁদেরই কাউকে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে দলে নেওয়া হলে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন। পুরনো নেতা-কর্মীরাও ভালো কিছু করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন।
বিজেপি’র উত্তরবঙ্গ কমিটির সহ আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিক অবশ্য বলেন, ক্ষমতায় আসতে গেলে অন্য দল থেকে নেতা-কর্মীদের নিতেই হবে। এজন্য যাতে পুরনো কর্মীরা ব্রাত্য হয়ে না পড়েন সেদিকটি দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিশ্চয়ই দেখবে। কিন্তু দলের পুরনো কর্মীদের বক্তব্য, যোগ্যদের অবশ্যই স্বাগত জানাতে হবে। কিন্তু কখনই যেন বিজেপি অন্য দলের কোণঠাসা নেতাদের অনাথ আশ্রম না হয়ে ওঠে।