বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা নাসির হাসান বলেন, আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী মানু হককে প্রধানের স্বামীর লোকেরা মারধর করে। এখন নিজেদের বাঁচাতেই নিজের বাড়ি ভাঙচুর করে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। ঘটনায় কোনও তৃণমূল কর্মী জড়িত নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনীয়া বলেন, ওকড়াবাড়ির বিষয়টি শুনেছি। ওই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। শিবেশ্বরে একটি রাস্তার নিম্নমানের কাজ হওয়ায় স্থানীয়রা তার প্রতিবাদ করে। সেই ঘটনার জেরেই সমস্যা হয়েছে। জেলা পুলিস সুপার অভিষেক গুপ্তা বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে শিবেশ্বর এলাকায় একটি রাস্তার কাজ চলছিল। সেই রাস্তার কাজের মান খারাপ হচ্ছে বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব প্রতিবাদ করে। সেনিয়ে বুধবার প্রধানের স্বামীর সঙ্গে স্থানীয়দের বাদানুবাদ হয়। ওই দিন রাতে দিনহাটা থেকে প্রধানের স্বামী ওকড়াবাড়িতে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। ওকড়াবাড়ি বাজারে এক পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামীর হাসানুজাম্মানের গণ্ডগোল হয়। সেসময় গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। প্রাণ বাঁচাতে দ্রুত বাজারের পাশে নিজের বাড়িতে ঢুকে পড়েন হাসানুজ্জামান। তখন কয়েকজন তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা বাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে গুলি ও গুলির খোল পাওয়া গিয়েছে। তবে যেভাবে এত ভিড়ের মধ্যে গুলি ও গুলির খোল পড়েছিল তাতে গুলি চালানো হয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিস।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত ছিল দিনহাটার ওকড়াবাড়ি। যুব তৃণমূল সমর্থিত নির্দলদের সমর্থন নিয়ে প্রধান হন তৃণমূলের প্রতীকে জেতা রেণুকা খাতুন বিবি। দলের হুইপ অমান্য করায় তাঁর সদস্যপদ খারিজের জন্য আদালতে যায় তৃণমূল। কিন্তু আদালতের নির্দেশে প্রধান পদে বহাল রয়ে গিয়েছেন রেণুকা খাতুন। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতেই নির্দলদের দলে ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। কিন্তু তারপরেও যে কোন্দল কমছে না বুধবার রাতে ওকড়াবাড়ির ঘটনাই সেটা প্রমাণ করল মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।