কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, এব্যাপারে আমাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। তবে আমরা এবিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি। কি কি অভিযোগ রয়েছে, কে কে এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। আমরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এখন প্রাথমিক তদন্ত হচ্ছে। এরপর আমরা বিষয়টি দেখব।
রায়গঞ্জের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জালিপাড়া কিডনি বিক্রির কারণে এক সময়ে খবরের শিরানামে উঠে এসেছিল। সেখানকার মানুষ ভিন রাজ্যে গিয়ে তাঁদের কিডনি বিক্রি করে আসতেন। আর ওই কিডনি বিক্রিকে কেন্দ্র করে সেসময়ে রীতিমতো পাচারকারী দল সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সেসব বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। সম্প্রতি ওই গ্রামে কিডনি বিক্রির তেমন কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু জালিপাড়া থেকে বেশ কিছুটা দূরে বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তুড়িপাড়ায় যে নীরবে কিডনি বিক্রির প্রবনতা মাথা চাড়া দিয়েছে তা এতদিন সকলের অজানাই ছিল। সম্প্রতি বিষয়টি নজরে এসেছে। আর এতেই প্রশাসনের অন্দরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কাদের কাছে কিডনি বিক্রি করল? কেন বিক্রি করল? এদের পিছনে কারা রয়েছে? জালিপাড়ার কিডনি বিক্রির ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের কেউ এর সঙ্গে কোনওভাবে জড়িত রয়েছে কি না? এসব প্রশ্নই এখন বিভিন্ন মহলে ঘোরাফেরা করছে।
তুড়িপাড়ার কয়েক জন বাসিন্দার কিডনি বিক্রির কথা সম্প্রতি জানাজানি হয়েছে। তবে এরা সকলেই বেশ কয়েক বছর আগে তাদের কিডনি বিক্রি করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন কিডনি বিক্রি করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন ও একজন সেই টাকায় ঋণ শোধ করেছেন ও টোটো কিনেছেন বলে দাবি করেছেন। কিডনি বিক্রির এই বিষয়টি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও মেনে নিয়েছেন। হত দরিদ্র ওই পরিবারগুলি কোনও রকম সরকারি সহায়তা পায় না বলেও দাবি করেছে। কিডনি বিক্রি করেছেন এমন একজন দাবি করেছেন, তিনি কলকাতার একটি নার্সিংহোমে তার কিডনি বিক্রি করেছিলেন। তবে যার মাধ্যমে তিনি তার কিডনি বিক্রি করেছিলেন তাকে তিনি চেনেন না বলে জানিয়েছেন। অপর দিকে, ওই এলাকার আরও এক ব্যক্তি ছয়-সাত বছর আগে ঋণের টাকা মেটাতে তার একটি কিডনি বিক্রি করেছেন। তিনি মাত্র এক লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকায় তিনি তার মেয়েদের বিয়ে দিয়েছিলেন।