বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১২০টিরও বেশি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। মানুষের যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে, তাতে সংযোজিত হয়েছে এক শ্রেণীর বিধায়কের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও জনবিচ্ছিন্ন ভাব। এই তথ্য উঠে এসেছে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’র (আই-প্যাক) সমীক্ষাতেও। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই দলের বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট ‘অনুশাসন’ আনতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিনের বৈঠকে সেই অনুশাসনের নির্যাসই ‘দাওয়াই’ হিসেবে বিধায়কদের দেওয়া হয়েছে মমতার তরফে।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু ভুল তো অবশ্যই হয়েছে। মানুষের কাছ থেকে যে বা যাঁরা সরে গিয়েছেন, তাঁরা হাতেনাতে ফল পেয়েছেন। মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। সেই মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁদের প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকতে হবে। মানুষ গালমন্দ করতেই পারেন, তা শুনতে হবে। এতে মানুষের ক্ষোভ কমবে। সরকারি প্রকল্পের সব সুযোগ-সুবিধা যাতে সাধারণ মানুষ পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। রোগ সারাতে যে দাওয়াই এদিন দলনেত্রী দিয়েছেন, তা ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের তৈরি ‘প্রেসক্রিপশন’ অনুযায়ী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
লোকসভা নির্বাচনে জেলাওয়াড়ি সম্ভাব্য ফল নিয়ে বিধায়কদের একটা বড় অংশ দলের কাছে যে রিপোর্ট পেশ করেছিলেন, তার ধারেকাছে আসেনি ফলাফল। সাংগঠনিক সমীক্ষা অনুযায়ী, সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণেই বিধায়কদের ওই ‘অতিরঞ্জিত’ রিপোর্ট। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে এবার রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে চারজনকে বাছাই করে একটি করে ‘কোর টিম’ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা স্বয়ং। এদিনের বৈঠকে বিধায়কদের প্রতি তাঁর নির্দেশ, প্রত্যেকে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র থেকে চারজনের ছবি সহ বায়োডেটা পাঠান। আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে পাঠাতে হবে তা। কী কাজ করবেন ওই চারজন? তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমজনের কাজ হবে দল ও বিধায়কের মধ্যে যোগসূত্র বজায় রাখা। প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে তিনি নিজেও কথা বলবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয় ব্যক্তিকে হতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দক্ষ। দলের নানা বিষয় প্রচার করার দায়িত্ব বর্তাবে তাঁর উপর। বাকি দু’জনের কাজ হবে বুথস্তর পর্যন্ত সংগঠনের কাজকর্ম সামলানো ও ভোটার তালিকা তৈরি করা। বৈঠকে মমতার নির্দেশ, সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে চলতে হবে। ‘লুজ টক’ কখনই নয়। বিরোধী দলের সঙ্গে সঙ্ঘাত এড়াতে হবে। এরইসঙ্গে দেশ বা রাজ্যের বাইরে যাওয়ার আগে দলের অনুমতি নেওয়াটা বাধ্যতামূলক।