বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
রেল বোর্ড সূত্রের খবর, সময়ানুবর্তিতায় পিছিয়ে থাকা ওই ১২টি বিভাগের মধ্যে পূর্ব রেলের হাওড়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চক্রধরপুর বিভাগ রয়েছে। বাকি বিভাগগুলির মধ্যে রয়েছে কাটিহার, আলিপুরদুয়ার, মোরাদাবাদ, বিলাসপুর, এলাহাবাদ, সমস্তিপুর প্রমুখ।
দূরপাল্লার ট্রেনে গোটা দেশে সময়ানুবর্তিতার সার্বিক চিত্র কেমন? রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের এপ্রিল-মে মাসের তুলনায় গত এপ্রিল-মে মাসে সার্বিকভাবে বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনের সময়ানুবর্তিতার মান বেড়েছে। যদিও, ২০১৯-’২০ আর্থিক বছরের জন্য নির্দিষ্ট করা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সময়ানুবর্তিতার মান এখনও পিছিয়ে রয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের সময়ানুবর্তিতার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল ৭৫ শতাংশ। কিন্তু, গত এপ্রিল-মে মাসে বিভিন্ন জোনে সার্বিকভাবে সময়ানুবর্তিতার মান দাঁড়িয়েছে ৭০. ২৯ শতাংশ।
রেলের এক কর্তা বলেন, সময়ানুবর্তিতার দিক থেকে এগিয়ে থাকা জোনগুলির মধ্যে রয়েছে পশ্চিম রেল, উত্তর-পশ্চিম রেল এবং সেন্ট্রাল রেল। প্রত্যেকেরই সময়ানুবর্তিতার মান ৮০ শতাংশেরও উপরে। তেমনই, সময়ানুবর্তিতার দিক থেকে পিছিয়ে থাকা জোনগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তর-মধ্য রেল, দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম রেল।
কী বলছেন বিভিন্ন জোনের কর্তারা? তাঁদের বক্তব্য, ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরে দেশে একাধিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে রক্ষণাবেক্ষণের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এই চিত্রে বদল আনতে রেল মন্ত্রক যাত্রীদের সুরক্ষার ব্যাপারে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে একদিকে যেমন পুরনো পরিকাঠামো বদলে নতুন পরিকাঠামো রূপায়ণে জোর দেয়, তেমনই রক্ষণাবেক্ষণের উপরেও বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করে। এই সব কাজের জন্য লাইনে ‘ট্রাফিক’ এবং ‘পাওয়ার’ ব্লক করে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে হামেশাই। তার জেরও পড়ে সময়ানুবর্তিতায়। ট্রেন সময়ে না চলার জেরে যাত্রীদের প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, স্রেফ বেড়ানোই হোক বা চিকিৎসা কিংবা অফিসের কাজকর্ম, ট্রেন দেরিতে পৌঁছলে যাবতীয় কাজকর্ম তালগোল পাকিয়ে যায়। তাতে অযথা ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।
সময়ে ট্রেন চালানো নিয়ে রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, যাত্রীদের সফর সুরক্ষিত রাখতে রক্ষণাবেক্ষণে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেই হবে। তবে, সময়ে ট্রেন না চলার পিছনে এটাই একমাত্র কারণ নয়। কারণে-অকারণে রেল অবরোধের জেরেও দূরপাল্লার ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা মার খাচ্ছে। অবরোধে একটি ট্রেন ১৫ মিনিটের জন্য আটকে পড়লেই, তার জের পড়ছে পিছনের একাধিক ট্রেনের উপরে। আরও কয়েকটি ইস্যুও রয়েছে। যেমন, কুয়াশার সময়ে স্বাভাবিক ছন্দে ট্রেন চালানো সম্ভব হয় না। বর্ষায় লাইনে জল উঠে গেলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হয়। এসব এড়িয়ে না গিয়েও সময়ে ট্রেন চালানোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জোনগুলিকে তৎপরতা বাড়াতে হবে।