যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চারটি এবং কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য হাজরা মোড়ে জমায়েত করেছিলেন বাম প্রার্থী সহ দলীয় কর্মীরা। প্রথমে সেখানে পুলিস তাঁদের মিছিল করার অনুমতি দেয়নি। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করেই দু’টি হুডখোলা গাড়িতে করে প্রার্থীরা এগিয়ে চলেন আলিপুরের দিকে। সঙ্গে মিছিল করে আসছিলেন দলীয় কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি কাছাকাছি আসতেই পুলিস আরও এক দফা ব্যারিকেড করে বামেদের এই মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে। আর তখনই দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সেই বাধা টপকে যখন গোপালনগরের মুখে আসে সিপিএমের মিছিল, তখন সেখানে কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়ের সমর্থনে শাসকদলের কর্মীরা আগে থেকে অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে তুলকালাম বেধে যায়।
দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মারমুখী হয়ে ওঠে। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে উত্তেজনা ছিল। পরে সেখান থেকে বামেদের চার প্রার্থী আলিপুরে জেলাশাসকের কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে আবারও পুলিস তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেসব ঠেলে ভিতরে ঢোকেন প্রার্থী ও দলীয় কর্মীরা।
যাদবপুর, ডায়মন্ডহারবার, মথুরাপুর এবং জয়নগরের বাম প্রার্থীরা যে যার রিটার্নিং অফিসারের কাছে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। তাঁদের এই পর্ব মিটে যাওয়ার কিছুক্ষণ বাদে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস মিছিল করে আসেন।
তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ হাজির হন আলিপুরে। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ একাধিক বিধায়ক ছিলেন। প্রার্থী জেলাশাসকের ঘরে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পরই তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় স্লোগানিং। ক্রমশ উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে।
দুই দলের কর্মীরা একে অপরের দিকে তেড়ে যান। একটা সময় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বাধার উপক্রম হয়। কিন্তু কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কারণ আগে থেকেই সেখানে লালবাজারের কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন ছিল। কিছু বাড়তি ফোর্স আনানো হয় স্থানীয় থানাগুলি থেকেও। রাস্তায় গার্ডরেল বসিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আনে পুলিস।