গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার নাম যমুনা বিশ্বাস। বেলঘরিয়া এলাকায় ছেলে নির্মল বিশ্বাসের কাছেই থাকেন। নির্মলের বয়স প্রায় ৫০ বছর। অভিযোগ, সোমবার দুপুরের পর বাড়িতে ঢুকেই আমচকা রেগে যায় নির্মল। সে বৃদ্ধা মাকে চড়, থাপ্পড়, ঘুসি মারতে থাকে। মুখে লাগাতার ঘুসি মারতে থাকে। মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসেন। ততক্ষণে নির্মল পালিয়ে যায়। স্থানীয়াই তাঁকে উদ্ধার করেন। তারপর তাঁরা সকলে মিলে জখম অবস্থায় তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
মারধরের জেরে এবং মুখে ঘুসি মারার ফলে তাঁর মুখ ফুলে গিয়েছে। এখনও সেই ফোলা কমেনি। বৃদ্ধা যমুনাদেবী জানিয়েছেন, কারণে অকারণে তাঁকে প্রায়ই ছেলে মারধর করে। কখনও স্বাভাবিক অবস্থায়, আবার কখনও মদ খেয়ে মারধর করে। বৃদ্ধার অভিযোগ, মাঝে মাঝে তাঁকে ভাল করে সে খেতেও দেয় না। খাবার চাইলেও দেয় না। আধপেটা খেয়েই অনেক দিন থাকতে হয়। তাঁর দাবি, সোমবারও অকারণেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার না করলে আরও অত্যাচারের শিকার হতে হত। তাঁর নাতি তথা নির্মলের ছেলে উত্তম বিশ্বাস হাবড়া থানায় যান। তিনি বাবার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বাবার বিরুদ্ধে ছেলে অভিযোগ দায়ের করায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এক পুলিস অফিসার বলেন, মারধরের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত ছেলে পলাতক।