উত্তরবঙ্গ

জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগ, সরকারি পরিষেবা কতদিনে মিলছে? কলসেন্টারের ধাঁচে ফোন সভাপতির

ব্রতীন দাস, জলপাইগুড়ি: বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন বেলাকোবা পঞ্চায়েতের ছেঁচাপাড়ার বাসিন্দা দ্বীপান্বিতা রায়। আচমকা তাঁর মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। রিসিভ করতেই ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে, ‘আমি জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলছি। আপনি ৩১ জুলাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য এসেছিলেন। পরিষেবা মিলেছে?’
সরকারি প্রকল্প পেতে যেখানে এক অফিস থেকে অন্য অফিসে চড়কিপাক খাওয়াটাই চেনা ছবি, সেখানে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে কল সেন্টারের ধাঁচে ফোন করে জানতে চাওয়া হচ্ছে, পরিষেবা মিলেছে কি না! শুনে প্রথমে দ্বীপান্বিতা ভেবেছিলেন, ভুল শুনছেন না তো? পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, এলাকার আরও অনেকের কাছেই এমন ফোন এসেছে।
বেলাকোবা পঞ্চায়েতেরই মাজহাবাড়ির বাসিন্দা শাহিদা খাতুন গত ২ আগস্ট সদর পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে এসেছিলেন বিধবাভাতার জন্য। তাঁর কাছেও ফোন গিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির অফিস থেকে। জানতে চাওয়া হয়েছে, পরিষেবা পেতে কোনওরকম ঝক্কি পোহাতে হয়েছে কি না? সরকারি আধিকারিকরাই বা কেমন ব্যবহার করেছেন?
একই অভিজ্ঞতা হয়েছে বাহাদুর পঞ্চায়েতের পরেশপল্লির রত্না দে কিংবা পাতকাটা পঞ্চায়েতের চরেরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মমতা দাসের। দু’জনেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা না পেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। সেইমতো তাঁদের কাছে নির্দিষ্ট সময় পর সভাপতির অফিস থেকে ফোন যায়। জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন কি না। দু’জনেই জানিয়েছেন, প্রশাসনের তৎপরতায় দারুণ খুশি তাঁরা। পরিষেবা মিলেছে কি না সে ব্যাপারে সরকারি অফিস থেকে যে ফোন করে খোঁজ নেওয়া হয়, এ বিষয়টি তাঁদের কাছে রীতিমতো উলটপুরাণ মনে হয়েছে।
জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় রায় অবশ্য বিষয়টি আহামরি কিছু ভাবতে নারাজ। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তাই মানুষ কতটা পরিষেবা পাচ্ছেন, কতদিনে পরিষেবা মিলছে, পরিষেবা পেতে কোনও ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে কি না, তার একটা তথ্য রাখার চেষ্টা করছি মাত্র। সভাপতি বলেন, প্রতিদিন যত মানুষ যত সমস্যা নিয়ে আমাদের অফিসে আসেন, প্রত্যেকের ঠিকানা, ফোন নম্বর রেখে দিই আমরা। তাঁরা কী প্রয়োজনে এসেছিলেন, কোন দপ্তরে, কোন আধিকারিকের কাছে তাঁকে পাঠানো হয়েছে, সেই তথ্যও নথিভুক্ত থাকে। নির্দিষ্ট সময় পর আমরা নিজেরাই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ফোন করে জানার চেষ্টা করি, তিনি পরিষেবা পেয়েছেন কি না। যদি কোথাও সমস্যা থাকে কিংবা সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়, সঙ্গে সঙ্গে তা মেটানোর চেষ্টা করি। তাঁর দাবি, লিস্ট আমাদের হাতের কাছেই থাকে। কখনও আমি ফোন করে জানতে চাই। কখনও অফিসের অন্য কেউ ফোন করে ফিডব্যাক নেন। রাজ্য সরকারের দেওয়া প্রকল্পের সুবিধা মানুষ নির্বিঘ্নে পাচ্ছে, এটা জানতে পারলে ভালো লাগে।
17d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.২৮ টাকা৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড১০৪.৮৬ টাকা১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৬ টাকা৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
25th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা