কলকাতা

বনদপ্তরের নিজস্ব জমি নেই হাওড়া শহরে, দূষণ রোধে বৃক্ষরোপণে অন্য বিভাগই ভরসা কর্তাদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট, লাগাতার গাছ কাটার পাশাপাশি যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা ছোট ছোট কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া। তার উপর রয়েছে বহুতল নির্মাণ কাজের জের। সব মিলিয়ে হাওড়া শহরে বেড়ে চলা দূষণের মাত্রা নিয়ে বিপদের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বনবিভাগের কর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে শহরে বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও কার্যত অসহায় বনদপ্তর। কারণ শহরাঞ্চলে বনদপ্তরের এক ইঞ্চিও নিজস্ব জমি নেই। ফলে বাধ্য হয়ে এখন অন্যকোনও সরকারি দপ্তরের জমিতে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে দূষণ কমানোর চিন্তাভাবনা করছে বনদপ্তর। 
হাওড়া বনবিভাগের অধীনে রেঞ্জ মোট চারটি। হাওড়া আরবান সোশ্যাল ফরেস্টিং রেঞ্জ, হাওড়া রুরাল সোশ্যাল ফরেস্টিং রেঞ্জ, হুগলি সোশ্যাল ফরেস্টিং রেঞ্জ এবং আরামবাগ রেঞ্জ। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের কিছু অংশ ছাড়া বাকি তিনটি রেঞ্জ সম্পূর্ণভাবে নন ফরেস্টিং এরিয়া। অর্থাৎ এই তিনটি রেঞ্জে বনাঞ্চলের ছিটেফোঁটাও নেই। তবে বনকর্তাদের কাছে উদ্বেগের অন্যতম ক্ষেত্র হাওড়া আরবান সোশ্যাল ফরেস্টিং রেঞ্জ। তার অন্যতম কারণ, হাওড়া শহর এলাকায় বনদপ্তরের নিজস্ব কোনও জমি নেই। ফলে দূষণ রোধ করার জন্য যে বিপুল পরিমাণ বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে সেই কাজ করে উঠতে পারছে না বনদপ্তর। একদিকে রাজ্যের অন্যান্য বনবিভাগ বৃক্ষরোপণের জন্য যখন লক্ষ লক্ষ চারাগাছ উৎপাদনের দিকে হাঁটছে, সেই পরিস্থিতিতে চারা বিতরণের ক্ষেত্রে অরণ্য সপ্তাহই হাওড়া বনবিভাগের একমাত্র ভরসা। বনদপ্তরের অফিসারদের একাংশ বলেন, সাধারণত বনসৃজন বা বৃক্ষরোপণ নিয়ে বছরভর একাধিক কর্মসূচি থাকে। কিন্তু হাওড়া শহরে বনদপ্তরের নিজস্ব জায়গা না থাকায় সেই সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া যাচ্ছে না। ফিশিং ক্যাট, হনুমান এবং বিষাক্ত সাপ উদ্ধার ছাড়া বনকর্মীদের কাছে আর কোন কাজই নেই। 
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বায়ুসূচক বিষয়ক তথ্য বলছে, উত্তর হাওড়ার সালকিয়া, বাঁধাঘাট, মালিপাঁচঘরা, ঘুসুড়ি প্রভৃতি এলাকায় বর্তমানে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ স্বাভাবিকের প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। পিতল, কাঁসা, লোহা-সহ নানা ধরনের কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া এর জন্য মূলত দায়ী। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া শহরে দূষণের মাত্রা ঠেকাতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ফাঁকা জমিতে অনুমতিসাপেক্ষে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। এজন্য ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরসভার সঙ্গে বনদপ্তরের অফিসারদের বৈঠক রয়েছে। ক্লিন গঙ্গা মিশনের অন্তর্গত এনক্যাপ প্রজেক্টে পুরসভার নিজস্ব জমিতে গাছ লাগাতে চায় বনদপ্তর। পাশাপাশি শ্যামপুর রোডের পাশে মান্দারি খাল বরাবর প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে গাছ লাগানোর জন্য সেচদপ্তরের সঙ্গেও একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছেন বনবিভাগের কর্তারা। হাওড়া বনবিভাগের এক কর্তা বলেন, শহর এলাকায় বনদপ্তরের নিজস্ব জমি না-থাকাটা একটা বড় সমস্যা। তবে তা কাটিয়ে উঠতে বনসৃজনের জন্য বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আগামীতে গঙ্গার ধার বরাবর প্ল‌ানটেশনের পরিকল্পনা রয়েছে।
19d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.২৮ টাকা৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড১০৪.৮৬ টাকা১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৬ টাকা৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
25th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা