বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন
মহানগরের অর্ধেকের বেশি বাসিন্দা

বিশ্বজিৎ দাস  কলকাতা: কলকাতাবাসীদের অর্ধেকই করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন পাঁচ ভাগের এক ভাগ মানুষ (প্রায় ২২ শতাংশ)। এই অংশ ইতিমধ্যেই করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতা অর্জন করেছে। স্বাস্থ্যদপ্তর ও কলকাতা পুরসভা সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। 
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী কলকাতার জনসংখ্যা আনুমানিক ৪৫ লক্ষ। আঠারো ঊর্ধ্ব জনসংখ্যা প্রায় ৩২ লক্ষ। গত সোমবার পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে, তা অনুযায়ী, এখানে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৬ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে গিয়েছেন ৭ লক্ষ ১০ হাজার। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, কলকাতায় ১৮ ঊর্ধ্ব জনসংখ্যার অর্ধেকের থেকেও প্রায় ১১ লক্ষ বেশি মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
পুরকর্তা থেকে স্বাস্থ্যভবনের পদস্থ কর্তা কমবেশি সকলেই একবাক্যে জানিয়েছেন, কলকাতার মতো বড় শহরের ক্ষেত্রে এই হিসেব এতটা সোজা-সরল নয়। নিশ্চিতভাবে কলকাতার সুনির্দিষ্ট জনসংখ্যা বলা খুবই কঠিন। কয়েক লক্ষ মানুষ নানা কাজে শহরে আসেন। দীর্ঘসময় শহরে থাকেন। বাজার-হাট, দোকানপাট, অফিস-কাছারির কারণে দিনের মধ্যে আট-দশ ঘণ্টা তাঁরা এখানেই থাকেন। ফলে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা দিয়ে কলকাতার জনসংখ্যাকে বিচার করলে ভুল হবে। তাছাড়া ২০১১ সালের জনগণনার পর কেটে গিয়েছে আরও দশ বছর। ফলে লোকসংখ্যা যে আরও বেড়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।  
কলকাতার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যেই টিকা নেওয়া মানুষের মধ্যে এই ‘ফ্লোটিং পলুলেশন’ও (অনেকের ভাষায় ‘সুপার স্প্রেডার) আছে। সেই জনসংখ্যাকে হিসেবের মধ্যে ধরেও অনায়াসে বলা যায়, কলকাতার অর্ধেক বাসিন্দা (১৬ লক্ষ) ইতিমধ্যেই প্রথম ডোজের টিকা পেয়ে গিয়েছেন। এছাড়াও কলকাতায় নিত্য যাতায়াত করা আরও ১১ লক্ষ মানুষ টিকা পেয়ে কিছুটা ইমিউনিটির অধিকারী তো বটেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এইসব মানুষও কমপক্ষে ৩০-৩৫ শতাংশ করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতার অধিকারী। যদি কারও করোনা হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে তাঁদের ক্ষেত্রে টিকার একটি ডোজই প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ১০০ শতাংশে নিয়ে যেতে সক্ষম। 
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, ৬ জুলাই পর্যন্ত শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৬৫৮ জন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা সরকার নির্ধারিত সময়ের ব্যবধান বজায় রেখে করোনার পর প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন, নিঃসন্দেহে তাঁরা করোনা প্রতিরোধী শক্তির অধিকারী। মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুব্রত রায়চৌধুরী বলেন, শহরের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষকে আমরা কমপক্ষে একটি ডোজ দিয়ে দিয়েছি। যদি জোগান ঠিক থাকে, তাহলে আগামী দু’মাসের মধ্যে আঠারো ঊর্ধ্ব সবাইকেই দ্বিতীয় ডোজের টিকাও দেওয়া হয়ে যাবে। আর এর মধ্যে দিয়েই শহরবাসী হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করে ফেলবেন। স্বাস্থ্যভবনে রাজ্য হেলথ ডায়রেক্টরেটের টিকাকরণের শীর্ষকর্তা ডাঃ অসীম দাস মালাকার জানান, আশপাশের জেলা থেকে এত মানুষ কাজের তাগিদে কলকাতায় আসেন যে, টিকার হিসেব দিয়ে এই শহরের জনসংখ্যা নির্ধারণ করা মুশকিল। তাও বলছি, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত শহরের প্রায় ৩৪ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

7th     July,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ