সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলার উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক প্রভাস মণ্ডল বলেন, নওদা, হরিহরপাড়া, বেলডাঙা এবং রানিনগর ব্লকে সবচেয়ে বেশি বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। কার্তিক মাসে পেঁয়াজ উঠবে। সেসময় বাজারে ভালো দাম থাকে। তাই চাষিরা এখন বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পেঁয়াজের বীজ রোপণ করা যায়। তারপর বীজ বপন করলে ফলন অনেকটাই কমে যায়। সঠিক সময়ে বীজ রোপণ করলে বিঘা প্রতি ৪০কুইন্টাল ফলন হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ৮০০গ্রাম বীজ দরকার হয়। বীজ রোপণ করার সময় শোধন করলে ফলন ভালো হয়। নওদার পেঁয়াজ চাষি শামসুল শেখ বলেন, বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে বিশেষ যত্ন নিতে হয়। বীজ বোনার এক মাস আগে থেকে বীজতলার জন্য মাটি তৈরি করে রাখতে হয়। বীজতলায় কেঁচো সার, গোবর সার দিলে ফলন ভালো হয়। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে গাছের ক্ষতি হতে পারে। সেকারণে ভারী বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য উপরে ছাউনি করা জরুরি। জমিতে বিভিন্ন পোকার আক্রমণ হতে পারে। সেদিকেও নজর দিতে হবে। ধসা, লালচে, গোড়া পচা রোগের হাত থেকে চারা রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। বর্ষাকালীন চাষ করতে বিঘা প্রতি প্রায় ২০হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে ৭৫-৮০ হাজার টাকা লাভ করা যায়।