কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি ব্লকের হিজল এলাকার ১৬ ভাগী মৌজা থেকে নোনাই নদীর উৎপত্তি। এরপর এটি কয়েক কিলোমিটার ওই ব্লকের আমলাই ও সিজগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে বাবলা নদীতে মিশেছে। বর্ষার সময় ওই নদী ছাপিয়ে কৃষিজমিতে জল উপচে পড়ে বলে চাষিদের অভিযোগ। দীর্ঘদিন বাঁধের কোনও কাজ না হওয়ায় বর্ষার সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
যদিও ভরতপুর ১ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬-০৭ সালে ওই বাঁধের মেরামতি করা হয়। কিন্তু ওই সময় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বাঁধের বড় একটা এলাকাজুড়ে কাজ না করেই ঠিকাদার টাকা তুলে নেন বলে তখন অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে তৎকালীন জেলাশাসক বাঁধ মেরামতির তদন্তে আসেন। এরপর থেকে ওই বাঁধের আর মেরামতি করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি ওই এলাকার জোরগাছি, আমলাই ইত্যাদি গ্রাম থেকে এলাকার চাষিরা বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিডিওকে আবেদন করেন। এলাকার চাষিরা জানান, বর্ষা একটু বেশি হলেই নদীর জল উপচে জমিতে ঢুকে পড়ে। ফলে কার্যত প্রতি বছর নদীর জলে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবছর ব্যাপকভাবে বর্ষা শুরু হওয়ায় সেই আতঙ্ক আবারও তাড়া করেছে। বাঁধ মেরামতি না হলে, ফের ফসল নষ্ট হবে বলে চাষিরা আশঙ্কা করছেন। তা সত্ত্বেও এলাকার চাষিরা ঝুঁকি নিয়েই এবছর সেখানে আমন চাষ করতে চলেছেন।