বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
যৌগিক সারের তুলনায় যতটা বেশি পরিমাণে মৌলিক সার যেমন রক ফসফেট, সিঙ্গল সুপার ফসফেট ব্যবহার করলে মাটিতে বেশি মাত্রায় অনুখাদ্য যুক্ত হবে। ফসলের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত সেচ প্রয়োগ করতে হবে। এতে জলের সঙ্গে অনুখাদ্য চুঁইয়ে নষ্ট হওয়া কমবে। বোরনের অভাবযুক্ত জমিতে মাটি তৈরির সময় একর প্রতি ৪ কেজি বোরাক্স ৩০ কেজি জৈবসারের সঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। মাটিতে না হলে পাতায় স্প্রে করতে হবে।
প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম বোরাক্স বা দেড় গ্রাম অক্টোবোরেট গুলে ফসলের ২০-২৫ দিন ও ৪৫-৫০ দিন বয়সে স্প্রে করা দরকার। প্রথমবার ১৬০ লিটার ও দ্বিতীয়বার ৩২০ লিটার জিঙ্ক গোলা জল একর প্রতি স্প্রে করতে হবে। মলিবডেনামের অভাবযুক্ত জমিতে শেষ চাষের সময় ২০ কেজি জৈবসারের সঙ্গে ৪০০ গ্রাম অ্যামোনিয়াম মলিবডেট মিশিয়ে একর প্রতি প্রয়োগ করতে হবে। অন্যথায় পাতায় স্প্রে করার জন্য প্রতি লিটার জলে ০.৫ অ্যামোনিয়াম মলিবডেট গুলে ফসলের ২০-২৫ দিন ও ৪৫-৫০ দিন বয়সে স্প্রে করতে হবে। জিঙ্কের অভাবযুক্ত মাটিতে শেষ চাষের সময় ৩০ কেজি জৈবসারের সঙ্গে ১০ কেজি জিঙ্ক সালফেট বা ২ কেজি চিলেটেড জিঙ্ক মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি আধিকারিকরা। তাঁদের সুপারিশ, মাটিতে প্রয়োগ না করলে পাতায় স্প্রে করা যেতে পারে। মাটিতে একবার অনুখাদ্য প্রয়োগ করলে পরের দু-তিনটি ফসলে আর তা প্রয়োগের দরকার পড়ে না। কিন্তু মাটিতে বেশি অনুখাদ্য হয়ে গেলে বিষক্রিয়ায় জমিতে ফলনের হার কমতে পারে। সেজন্য মাটিতে অনুখাদ্যের প্রয়োজন রয়েছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তবেই তা প্রয়োগ করতে হবে।