বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
জেলা কৃষিদপ্তরের সহ কৃষি অধিকর্তা হরিশ চন্দ্র রায় বলেন, আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা খুবই চিন্তার কারণ। এই আবহাওয়ায় আলু গাছে জলদি ও নাবি দুই ধরনের ধসারই হানাদারি শুরু হতে পারে। এই আবহাওয়ায় আলুর দানায় ফলন কম হবে। আলুর টিউবার ফর্মেশন ছোট হবে। আবার ব্যাক্টেরিয়াঘটিত নানা সংক্রমণও হবে আলু গাছে। তার জন্যই জেলায় এবার আলুর উৎপাদন মার খাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই প্রতিকূল বাধা কাটাতে জেলাজুড়ে কৃষকদের সতর্ক করা হয়েছে। ধসা সহ ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ আটকাতে প্রয়োজনীয় আগাম কীটনাশক স্প্রে করারও পরমার্শ দেওয়া হয়েছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে জেলায় তীব্র ঠান্ডার সঙ্গে কুয়াশা পড়ছে। সকালের দিকে আবার সেই ঠান্ডার সঙ্গে কখনও কখনও শুকনো উত্তুরে হাওয়াও বইছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রোদের মাত্রা। বৃহস্পতিবার সকালে জেলায় যেখানে তাপমাত্রা ছিল ১৬-১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, সেখানে বেলা ১২টা নাগাদ তাপমাত্রা একলাফে চলে যায় ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হঠাৎ করে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা ও চরিত্র বদলের জন্য মাটির নীচে আলুর দানা কম হয়। আলুর টিউবার ফর্মেশনও ছোট হয়। আবহাওয়ার চরিত্র বদলের জন্যই এবার আলিপুরদুয়ার জেলায় আলুর উৎপাদন মার খাওয়ার সম্ভবনা দেখছে কৃষিদপ্তর।
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলায় এবার ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। জেলায় আলু গাছের বয়স এখন ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে রয়েছে। কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতি বছর আলিপুরদুয়ার জেলায় গড়ে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন আলুর উৎপাদন হয়। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সেই উৎপাদন এবার অনেকটাই কমতে পারে, আশঙ্কা কৃষিদপ্তরের। দপ্তরের কর্তারা বলছেন, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় আলু গাছে জলদি ও নাবি দু’ধরনের ধসা রোগের আক্রমণ হবে। তার সঙ্গে আক্রমণ হতে পারে ব্যাক্টেরিয়াঘটিত নানা সংক্রমণেরও। এই সব রোগে আলু গাছের পাতা কুঁকড়ে গিয়ে হলদে ও নৌকার মতো হবে। ভোরের দিকে শিশির পড়ার সময় আলু গাছে সাদা পাউডারের মতো ছত্রাকঘটিত দাগ পড়বে। ঠান্ডার পর শুকনো উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গে তাপমাত্রা একলাফে বেড়ে গেলে আলু গাছের কান্ড ও পাতা শুকিয়ে যাবে। এইসব রোগ একবার শুরু হলে বিঘার পর বিঘা মহামারির আকার ধারণ করে। হাজারবার ওষুধ স্প্রে করলেও আলুর এই সব রোগ আটকানো মুশকিল হয়ে যায়।
কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, আলুর এই রোগ আটকানোর একটাই উপায় তা হল আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। এজন্য কৃষিদপ্তর কৃষকদের আলু গাছে সাতদিন অন্তর ব্লাইটক্স, ম্যানকোজেব ও মেটাল্যাক্সিল জাতীয় ওষুধ স্প্রে করার পরমার্শ দিয়েছে।