বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না মডেল গোটা রাজ্যেই বহু চর্চিত। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় সারা বছর মিষ্টি জলের প্রবাহ নদী থেকে মাছ তুলে এনে পুকুরে চাষ করা হতো। এতে মাছের আকার যেমন বাড়ত, তেমন ফলনও ভালো হতো। এই পদ্ধতিকে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে হুগলিকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করেছিল রাজ্য মৎস্য দপ্তর। এবার সেই পদ্ধতিতে চাষের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা স্থানীয় বাজারে মাছের চাহিদা অনেকটাই মেটাতে সক্ষম হবে বলে মনে করছে মৎস্য দপ্তর। হুগলি জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, ময়না মডেল হুগলিতে খুব সাফল্যের সঙ্গে প্রয়োগ করা হয়েছে। এবার গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ পুকুরে আমরা ওই মডেলে মিষ্টি জলের মাছ চাষ করছি। মূলত, রুই, কাতলা ও মৃগেল উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্য একটি বিশেষ প্রকল্পে কিছু নির্দিষ্ট বড় মাছের চাষ শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা ১৮টি পুকুরে এই পদ্ধতিতে চাষ করছি। জেলায় মাছ চাষের পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাইরের রাজ্য থেকে যেমন মাছ আমদানির পরিমাণ কমবে, তেমনই স্থানীয় মৎস্য উৎপাদকরাও লাভের মুখ দেখবেন। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষও দেশি মাছের স্বাদ পাবেন।
মৎস্য দপ্তর ও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনেখালি, পাণ্ডুয়া, গোঘাট সহ ছ’টি নতুন পুকুরে মৎস্য সমবায়ের আওতায় ওই প্রকল্প করা হচ্ছে। প্রতিটি পুকুরের জন্য ১২ বিঘা এলাকা রাখা হয়েছে। তবে কিছু কম হলেও এই মডেলে মাছ চাষ করা যায়। পুকুরের ব্যবস্থা করতে পারলে জেলা মৎস্য দপ্তর চাষের সব রকম সাহায্য করবে। নতুন ছ’টি পুকুরের জন্য দপ্তর ১৪০০ কুইন্টাল মাছের চারা দিয়েছে। এই মডেলের অন্যতম বড় সুবিধা হল, মাছের চারাগুলি স্বাভাবিক চারার মতো একেবারে ছোট হয় না। অন্যদিকে, জলে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য মেশিন, জল পরিষ্কারের চুন পর্যন্ত সরকারি তরফে দেওয়া হয়। ফলে মৎস্যজীবী মহলে এই মডেলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।