বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
আশ্চর্য জীবন
‘ধ্রুব আসলে অনেক সম্ভাবনার গল্প। ‘ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন’ ছবির ধ্রুব আমি’, আড্ডার শুরুতেই বললেন ঋষভ। মানুষের জীবনের একটা পছন্দ কীভাবে জীবনে অনেক সম্ভাবনার পথ খুলে দিতে পারে, সেই বিষয় উঠে আসবে এই ছবিতে। ঋষভের কথায়, ‘বাইরে থেকে দেখলে এটা একটা প্রেমের ছবি মনে হতে পারে। ক্রাইম ড্রামা, সঙ্গে থ্রিলারও রয়েছে। আবার একটা হরর এলিমেন্ট, সায়েন্স ফিকশনও আছে।’
ফেস্টিভালের ছবি
সিনেমা হলে মুক্তির আগে বেশি কিছু ছবি নানা ফেস্টিভালে যায়। এতে কি ছবির মান বাড়ে? ঋষভের উত্তর, ‘আমার অভিনীত এটাই প্রথম ছবি যেটা ফেস্টিভ্যাল ঘুরে এসে মুক্তি পাচ্ছে। সেই অর্থে একে সম্পূর্ণ কমার্শিয়াল ছবি বলা যায় না। সে কারণেই প্রোডাকশন এবং পরিচালকের ভাবনা ছিল, ফেস্টিভালে আগে থেকে দেখে নেওয়া যাক, দর্শক কীভাবে ছবিটাকে গ্রহণ করছেন।’ তাঁর দাবি, ফেস্টিভ্যালের ট্যাগ থাকলেও ছবিটি ভীষণভাবেই বিনোদনমূলক এবং যার কমার্শিয়াল মূল্য রয়েছে।
হার্ড ওয়ার্ক
বেশ কয়েকবছর হল অভিনয় পেশার সঙ্গে যুক্ত ঋষভ। ব্যক্তিগতভাবে তিনি মনে করেন, ‘প্রত্যেকটা ছবিই এক একটা ডেবিউ। এটাই হয়তো আমার শেষ ছবি। ভালো কাজ না করলে দ্বিতীয় বার হয়তো আর কেউ কাজে ডাকবে না।’ তাঁর বিশ্বাস, সিনেমার ভাগ্য সিনেমা নিজেই নির্ধারণ করে। মন দিয়ে অভিনয় করে যাওয়া তাঁর কাজ। সেটাই তিনি সৎ ভাবে করার চেষ্টা করেন।
বাংলা সিনেমার সঙ্কট
বাংলা সিনেমা কি এখন সত্যিই সঙ্কটের মুখে? ঋষভ বলেন, ‘সেটা বলার মতো জায়গায় আমি নেই। তবে সারা ভারতবর্ষের সিনেমার পরিপ্রেক্ষিতে যদি দেখি, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মালায়ালাম বা তেলুগু সিনেমা যে ভাবে প্যান ইন্ডিয়ান হয়ে উঠেছে এমনকী আন্তর্জাতিক স্তরেও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছে, বাংলা সিনেমা সেই জায়গায় পৌঁছতে পারেনি।’
সুপারস্টার
ঋষভের আক্ষেপ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, জিৎ, দেবের পর বাংলায় আর কোনও সুপারস্টার তৈরি হয়নি। ‘এখন সত্যিই স্টার অভিনেতা তৈরি হচ্ছে না, যার জন্য মানুষ হলে সিনেমা দেখতে যাবে। কমার্শিয়ালি বাংলা সিনেমার ফেরা উচিত। যে অভাব ‘খাদান’ কিছুটা হলেও মিটিয়েছে। কিন্তু একটা ‘খাদান’ দিয়ে সেই অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়’, বললেন অভিনেতা। সব ধরনের ছবিতে কাজ করতে চাইলেও কমার্শিয়াল হিরো হতে চান ঋষভ। স্পষ্ট বললেন, ‘কমার্শিয়াল ছবি দেখে আমাদের বড় হয়ে ওঠা। ওই ধরনের ছবি করতে চাই। যেখানে নাচ, গান, প্রচুর ফাইট সিকোয়েন্স থাকবে।’