সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
প্রত্যাশার চাপ
শ্বেতার কাছে বরাবরই দর্শকের প্রত্যাশা একটু বেশিই থাকে। ‘ইয়ে কালি কালি আঁখে ২’-কে ঘিরেও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। সেটা কি আলাদা চাপ তৈরি করে? শ্বেতা বললেন, ‘ছোটবেলায় কখনও পরীক্ষার চাপ নিতাম না। এখনও দর্শকের প্রত্যাশার চাপ নেই আমার উপর। আর এক্ষেত্রে সিদ্ধার্থ (সেনগুপ্ত, পরিচালক) স্যারের মতো প্রিয়জনদের সঙ্গে আবার সেটে ফেরা সবচেয়ে আনন্দের ছিল। আমরা প্রচুর পরিশ্রম করেছি।’
প্রস্তুতি পর্ব
এই সিরিজের প্রথম সিজনে শ্বেতার চরিত্রের নাম ছিল শিখা। ফের পর্দায় ‘শিখা’ হয়ে ওঠার আগে প্রথম সিজন নিজে ফের দেখেছেন বলে জানালেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘দ্বিতীয় বা তৃতীয় সিজনে অভিনয় করার সময় আমি সবসময় আগের সিজন দেখতে নেওয়ার চেষ্টা করি। চরিত্রের শারীরিক ভাষা, কণ্ঠস্বর ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য এই প্রস্তুতি। কোনও পরিস্থিতিতেই দর্শককে আমি ঠকাতে চাই না।’
মনঃসংযোগ কম
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম শ্বেতার কেরিয়ারে সাফল্যর সংজ্ঞা নতুন করে লিখেছে। বিশেষ করে ‘মির্জাপুর’-এর মতো সফল সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে একটা বিষয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন অভিনেত্রী। স্পষ্ট বললেন, ‘দর্শক ওটিটিকে দ্বিতীয় স্ক্রিন হিসেবে দেখেন। সেটা আমার খারাপ লাগে। তাছাড়া আমাদের মনঃসংযোগ এখন এতটাই কম যে, এটা ভবিষ্যতের জন্য ভয়ের বিষয়। আমরা এখন সহজে একটা স্ক্রিন থেকে অন্য স্ক্রিনে চলে যাই। ওটিটিতে সিরিজ বা ছবি দেখার সময় মোবাইলে রিলস দেখতে শুরু করে দিই। দর্শক একসঙ্গে প্রচুর কনটেন্ট দেখতে চান, সেটাও ভালো কথা নয়।’
সাফল্য
নানা চরিত্রে মানুষ তাঁকে চেনেন। এটাই শ্বেতার জীবনে বড় সাফল্য। অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে যত চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে ভাঙতে পারবেন, সেটাই নিজের সাফল্য বলে ধরে নেবেন। ‘সমাজ নির্ধারিত সাফল্যের সংজ্ঞাটা আমার পছন্দ নয়। সমাজ মনে করে বড় বাড়ি, গাড়ি থাকলে বা দামি পোশাক পরলে তবেই আপনি সফল। আমি সেভাবে ভাবি না’, বললেন শ্বেতা।