একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
গলা ভাত আর ডিম ভাজা তৈরি করে শ্যুটিং ফেরত বউয়ের উদরপূর্তি ঘটানো যেমন ‘স্বামী’ সৌরভের কাছে সাংসারিক সহাবস্থানের প্র্যাকটিস, তেমনই ওয়েব সিরিজে ধারাবাহিক সাফল্য পেয়েও অভিনেতা সৌরভ অকপটে বলতে পারেন, ‘এতদিন যা করেছি সব প্র্যাকটিস।’
কেরিয়ারের শুরুতেই বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সুজয় ঘোষের মতো পরিচালকের ছবিতে অভিনয় কিংবা ‘বয়েই গেল’-র মতো ধারাবাহিক পরিচিতি দিলেও সৌরভকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে ওয়েব সিরিজ। তবুও মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবিতে মুখ্য চরিত্রে ‘ব্রাত্য’ সৌরভ। তাতে অবশ্য আক্ষেপ নেই তাঁর। বললেন, ‘দর্শকরা আমাকে ওয়েব সিরিজেই পছন্দ করেন বেশি, এটা ঠিক। ওটিটিতেই অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছি। তাছাড়া ওয়েব সিরিজে যে ধরনের চরিত্র পাই, ছবিতে সেগুলো পাই না।’ সেই পছন্দের প্ল্যাটফর্মেই এল পরিচালক কোরক মুর্মুর ‘পাশবালিশ’। জি ফাইভ অরিজিনাল-এ ওয়েব সিরিজটি সদ্য মুক্তি পেয়েছে। সৌরভ এই সিরিজে ‘স্বদেশ’। ‘এই চরিত্রটি রাষ্ট্রের চোখে দেশদ্রোহী। একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে চায় সে। সেই নিয়েই বিপ্লব ও বিদ্রোহ’, অভিনীত চরিত্র প্রসঙ্গে বললেন অভিনেতা।
বাংলা থেকে এবার বৃহত্তর বৃত্তে পা ফেলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন সৌরভ। ধীরে ধীরে ভাঙতে শুরু করেছেন নিজস্ব নিশ্চিন্ত বলয়। বললেন, ‘একজন অভিনেতার হোমটাউন থাকা উচিত নয়। অভিনেতা আদপে ইউনিভার্সাল। এবার আমি কমফোর্ট জোন ভেঙে বেরতে চাই। বেশ কয়েকটা হিন্দি ওয়েব সিরিজে অডিশন দিয়েছি। দেখা যাক।’ পাশাপাশি কমেডি অভিনেতার আরোপিত তকমাও মুছে ফেলতে চান সৌরভ। সরাসরিই বললেন, ‘ওই দিকটাকে আমি লুকিয়ে রাখতে চাই। আমি কাঞ্চন মল্লিক, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসুদের মতো ওই কমিক জোনে বন্দি হতে চাই না। ওঁদের ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে কমেডিয়ান বলে জোর করে দাগিয়ে দিয়েছে, তাতে আমার ভয় আছে। আমি একজন অভিনেতা। শুধুমাত্র কমিক অভিনেতা নই। এই সময়ে নিজেকে ভাঙচুর করব না তো কখন করব? সেই জন্যই বলি সবে মাত্র শুরু করলাম। এতদিন যা করেছি, সেটা প্র্যাকটিস।’
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়