অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
যাই হোক! কলকাতায় শ্যুটিং শুরু হওয়ার পর, বব বিশ্বাসের লুকে অভিষেককে দেখে নেটিজেনদের তো চক্ষু ছানাবড়া। তাঁদের মুখে একটাই কথা, ‘বেশ মানিয়েছে তো!’ এই মুহূর্তে অভিষেকের ঠিকানা শহরের একটি পাঁচতারা হোটেল। সারা শহর জুড়ে তিনি শ্যুটিং করছেন। আর চিত্রগ্রাহকদের দম ফেলার সময় নেই। এদিকে শ্যুটিং সেট জুড়ে কড়া নিরাপত্তা। অভিষেক বলছেন, ‘সংবাদমাধ্যম জেনে গিয়েছে আমরা কলকাতায় শ্যুটিং করছি। কাজেই চিত্রগ্রাহকরা সেটে ভিড় করছেন। আসলে ছবির প্রচারের সময় এই লুকে আত্মপ্রকাশ করতে পারলে বেশি ভালো লাগত।’ তবে, সংবাদমাধ্যম সহ দর্শকদের এহেন কৌতূহলে খুশি তিনি। তাঁর কথায়,‘কলকাতার মানুষের প্রতিক্রিয়া শুনে মনে হচ্ছে, আমরা কাজটা সঠিকভাবে করতে পারছি। চরিত্রটার দিকে ভালোভাবে তাকালেই অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। কাহানিতে বব বিশ্বাসের চেহারা ভারী ছিল। কাজেই আমাকেও ওজন বাড়াতে হয়েছে। শ্যুটিং করতে করতে হঠাৎ লকডাউনের জেরে সব বন্ধ হয়ে গেল। লকডাউনের সময় চেহারা ধরে রাখা বেশ কঠিন ছিল।’ লম্বা বিরতির পরে আবার চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ করে কাজ শুরু করাটা কিন্তু বেশ কঠিন ছিল। এই প্রসঙ্গে অভিষেকের বক্তব্য, ‘ছবির শ্যুটিংয়ের সময় একধরনের সৃজনশীল মুহূর্ত তৈরি হয়। একটা বিরতির পর আবার শুরু করাটা সবসময়ই কঠিন। তবে প্রথম দিন শ্যুটিংয়ের পর নয় মাসের বিরতি নিতে হবে এটা কোনওদিনই ভাবিনি।’
কলকাতায় শ্যুটিং করা অভিষেকের কাছে সবসময় আনন্দের। তিনি নিজেই বলছেন সেই কথা। ‘আমার পরিবার এবং আমাকে এই শহর ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে। এখানে আমার বাবাকে জামাইবাবু বলা হয় আর আমাকে নাতি বলে ডাকা হয়। এই শহরটা আমার জন্য খুব লাকি,’ প্রতিক্রিয়া জুনিয়র বচ্চনের। কলকাতার পঞ্চসায়র, পাটুলির ভাসমান বাজার থেকে শুরু করে উত্তর কলকাতা—সমস্ত জায়গায় সহঅভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিংয়ের সঙ্গে চুটিয়ে শ্যুটিং করছেন তিনি।