কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
গৌতমের গৃহত্যাগের পর অন্যান্য স্ত্রীর মতোই ক্রন্দনরত নিজ রাজ-পিতৃগৃহে অনায়াসে পাড়ি দিতে পারতেন যুবরানি যশোধরা। সেখানেও তাঁর জন্য ছিল রাজকীয় জীবনের যাবতীয় ব্যবস্থা। কিন্তু সিদ্ধার্থের মহাপ্রস্থানের সেই যাতনা কঠিন মনে নীরবে মেনে নিয়ে পুত্র রাহুলকে একা হাতে বড় করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। রাজবেশ, অলঙ্কার ছেড়ে পীতবস্ত্র ধারণ প্রকৃত সাধকের স্ত্রীর মতোই বাকি জীবন কাটানোর পথ বেছে নিয়েছিলেন। বোধিপ্রাপ্তির পর যশোধরার ইচ্ছানুযায়ী তাঁদের কক্ষে এসেই দেখা করেন গৌতম। সন্ন্যাসী পদচিহ্ন রাখেন জীবনের প্রথম পর্বে ফেলে আসা সংসারের দোরগোড়ায়।
এই গল্পে নায়িকা যশোধরা। তাঁর ভূমিকায় অভিনয় করেন মহুয়া সরকার। সিদ্ধার্থের ভূমিকায় ছিলেন প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়। রাহুলের ভূমিকায় শিশুশিল্পী অরিত্র রায়। এছাড়াও বিভিন্ন ভূমিকায় অংশ নিয়েছেন হিমাংশু অধিকারী, রিনি বোস, মনোজিৎ দাস, তারক দত্ত, ভবানী ভট্টাচার্য, ধ্রুবনীল ঘোষ প্রমুখ। নাচ-গান ও গাথা মিলিয়ে এই নাটক জীবনেরই কথা বলে। আলোকভাবনায় সুবল কর্মকার, শব্দ ও আবহ ভাবনায় অর্ণিশা সেন যথাযথ। কলাকুশলীদের অভিনয়ও বেশ ভালো। পরিচালকের নাট্যবোধও মুনশিয়ানার ছাপ রাখে। তবে কোথাও কোথাও নাটকের গতি একটু মন্থর। এই ধীর লয় ঢেকে যায় নাটকের নাচ-গান ও গল্পসূত্রতায়। ইতিহাস আশ্রিত নাটক মানেই অনেক সময় একটানা বড় বড় সংলাপ। এই উপস্থাপনাও দু’-তিনটি জায়গায় সে দোষে দুষ্ট, তবু সামগ্রিক পরিবেশনে এই নাটক ভালো লাগবে, ভাবাবে।
মনীষা মুখোপাধ্যায়