কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
‘অন্ধ কা হাতি’ অর্থাৎ সহজ বাংলায় ‘অন্ধের হস্তি দর্শন’। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের একাধিক কল্পকথার বইতে এক এক ভাবে এই গল্প কথিত হয়ে এসেছে। পরে বিখ্যাত আমেরিকান কবি জন গডফ্রে সাক্সের হাত ধরে পাশ্চাত্যের মানুষের কাছে পরিচিত হয় ‘দ্য ব্লাইন্ড মেন অ্যান্ড দ্য এলিফেন্ট’। প্রয়াত জোশীর এই নাটকে গতানুগতিক সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির যে সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি, তার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কাল্পনিক ‘হাতিকে’। মঞ্চে যার উপস্থিতি না থেকেও বর্তমান। যা মনে করিয়ে দেয় বিখ্যাত লেখক হান্স অ্যান্ডারসেনের ‘দ্য এম্পয়ারারস নিউ ক্লথস’ গল্পের কথা। যেখানে রাজা উলঙ্গ। তবু মানুষ বিশ্বাস করছে সে পোশাক এতই সূক্ষ্ম যে চোখে পড়ে না। আসলে আমরা সাধারণ মানুষ দর্শকই বটে। অন্ধ দর্শক। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা বোঝায় তাই বিশ্বাস করি। যার মধ্যে গলা ছেড়ে বলার সেই জোর নেই ‘রাজা তোর কাপড় কোথায়?’ প্রত্যেক চরিত্রদের সংলাপ আসলে সমাজের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে আনে।
নাটকে মোট ছ’টি চরিত্র। তার মধ্যে একজন সূত্রধর। যিনি শরদ জোশীর ভাষ্য পাঠ করছেন। আবার কখনও হয়ে উঠছেন গল্পের চরিত্র। প্রত্যেকের আলাদা রঙের পোশাকে ধরা পড়েছে আলাদা সামাজিক অবস্থান। গোটা মঞ্চের ব্যবহার বেশ বুদ্ধিদীপ্ত। সুমিত গোস্বামী, পরাঙ্গদ শ, রোহিত বাসফোর, প্রমিত প্রতিম ঘোষ, পলাশ চতুর্বেদি এবং পূজা রজকের অভিনয় প্রাঞ্জল। সংলাপ বুঝে আবহসঙ্গীতের ব্যবহার নজর কাড়ে। আলোকশিল্পী পবিত্র সরকারের কাজ নাটকে আলাদা মাত্রা এনেছে।