Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

জুতোর ওপর ভরসা নেই
সঞ্জীবকুমার দে

এটা কেমন বিজ্ঞপ্তি! কাচের পাল্লা ঠেলে ভেতরে প্রবেশের মুখে বড় বড় অক্ষরে লেখা স্টিকার দেখে মনে একটা বড় রকমের ধাক্কা খেলেন বটুবাবু। এত হাইফাই চোখের ক্লিনিক! মস্ত এলাকা ঘিরে বাগ-বাগিচা নিয়ে মাঝখানে এমন ঝা-চকচকে বিল্ডিং! অথচ বিল্ডিংয়ের ভেতরে জুতো রাখার বন্দোবস্ত নেই?
দেখলেন, কয়েক ধাপ সিঁড়ি, তার আগে মোটা কুশনের মস্ত এক পাপোশ। সিঁড়ির ধাপে, পাপোশের এপাশে ওপাশে অজস্র জুতো-চপ্পল রাখা। বাধ্য হয়ে চপ্পল খুলে সিঁড়িতে পা রেখেছেন কি রাখেননি, দরজা ঠেলে বাইরে বেরিয়েই হাঁ হাঁ করে উঠলেন এক ভদ্রলোক— ‘আরে দাদা, করেন কী! করেন কী!’
বটুবাবু থমকালেন। লোকটি সম্ভবত তাঁরই মতো, চোখ দেখাতে এসেছিলেন মনে হয়। কাজ হয়ে গেছে, বেরিয়ে আসছেন। 
নিজের জুতোয় পা গলাতে গলাতে বলেন ভদ্রলোক— ‘এখানে মোটেই দু-পায়ের জুতো খুলে রাখবেন না দাদা! প্রচুর জুতো চুরি হয়। সাধ করে কি ওই নোটিস ঝুলিয়েছে?’
বটুবাব অস্ফুটে প্রশ্ন করলেন- ‘তবে?’
‘আসুন আমার সঙ্গে—।’ বলেই খপ্ করে তাঁর হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে চললেন ভদ্রলোক, যেদিক দিয়ে বটুবাবু ভেতরে প্রবেশ করেছেন সেই দিকে। যেতে যেতে বটুবাবু লক্ষ করলেন ভদ্রলোকের এক পায়ে জুতো, এক পা খালি।
নুড়ি বিছানো পথ, ধারে রেলিং ঘেরা কেয়ারি করা বাগান। কিছুটা গিয়ে রেলিংয়ের ফাঁকে হাত গলিয়ে একটা গাছের আড়াল থেকে আরেক পাটি জুতো বের করলেন ভদ্রলোক। আকর্ণ হেসে জানতে চাইলেন— ‘কী, কেমন বুদ্ধির  কাজ করেছি? জুতো রাখবেন এভাবে। একপাটি উধার। একপাটি ইধার। নিন, একপাটি রাখুন এখানে।’
যন্ত্রচালিতের মতো বটুবাবু একপাটি গাছের আড়ালে সেঁধিয়ে দিলেন। 
বেরিয়ে যাচ্ছিল লোকটা। বটুবাবু থামালেন— ‘তা দাদা, এরা চোখ কেমন দেখে? মানে আপনার অভিজ্ঞতা কী?’
‘ভালো! বেশ ভালো। আমি তো পাওয়ার চেক করালাম। ফিস মাত্র একশো টাকা নিল। কিন্তু দেখলাম, চশমা করাতে গেলে চার্জ অনেক বেশি।’
‘আমিও পাওয়ারটাই দেখাব বলে এসেছি। অনেকেই বলছে খুব ভালো চেক করে।’
‘আসলে এটা তো আই হসপিটাল! অপারেশন-টপারেশন সবই হয়। একটা বড় হাসপাতালের শাখা বলতে পারেন। কিন্তু ওই, জুতো ভিতরে রাখতে দেবে না! আর তাই বড় জুতো চুরি হয় মশাই!’
লোকটির বোধহয় তাড়া ছিল। ছটফটিয়ে চলে গেলেন। যাইহোক, মনে ভরসা নিয়ে দরজার বাইরে আরও একপাটি চপ্পল খুলে বটুবাবু ভিতরে প্রবেশ করলেন।
চোখ দেখিয়ে, চশমার বিভাগে কথা বলে সন্তুষ্ট হয়ে চশমার অর্ডার দিয়ে খুশি মনে বটুবাবু বাইরে এলেন। অনেক জুতোর ভিড়ে তাঁর একপাটি চপ্পল খোঁজ করতে গিয়ে গলদঘর্ম হয়ে গেলেন। পাচ্ছেন না! ধাঁধা লেগে যাচ্ছে। মিনিট পাঁচেক চেষ্টার পর মনে হল আরেক পাটি যেখানে রেখে এসেছেন সেটা পরে এসে খুঁজলে মিলিয়ে পাওয়া সহজ হবে! সেদিকে হাঁটা দিলেন।
সেই গোপন স্থানে হাত গলিয়ে ভীষণ চমক খেলেন বটুবাবু। এটা কীভাবে সম্ভব? একটা নয়, এখানে রয়েছে দু’পাটিই! তাজ্জব!
বাইরে বের করে এনে ভালো করে মেলালেন বটুবাবু। নাহ, কোনও ভুল নেই। পায়ে গলালেন। অনুভবে নিশ্চিত হলেন, তাঁর জুতো জোড়াই! 
বাগান পেরিয়ে গেটের বাইরে বেরতে যাচ্ছেন, দাঁত বের করে মুখোমুখি দাঁড়াল এক চোয়াড়ে মতো ছোকড়া, ‘আপনার চটি দুটো পেয়েছেন তো জেঠু? আমি গুছিয়ে রেখেছিলাম।’
বটুবাবু থতমত। কী বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না। আমতা আমতা করে শুধালেন— ‘তুমি কে বাবা?’
‘আমি মুস্কান। জুতো চোর।’
হাঁ হয়ে যান বটুবাবু। বলে কী! অবলীলায় একটা ছেলে দাঁড়িয়ে বলছে সে জুতো চোর?
‘অবাক হচ্ছেন তো জেঠু? অবাক হওয়ার কিছু নেই। কত লোক কত কিছু চুরি করে। আমি জুতো চুরি করি। এটা আমার ব্যবসা! এই ক্লিনিকে আমি পষ্ট বলে দিয়েছি, যদি জুতো চুরিতে বাধা দেবে তো অন্য কিছু চুরি করব। ব্যস, ভড়কে গেছে! রাস্তা সাফ।’
‘কিন্তু এতে তো ক্লিনিকের বদনাম হবে বাবা!’ এবার বটুবাবুর কথা ফোটে।
‘তা কেন? আমি কি আর সব জুতো চুরি করে নিচ্ছি? সব জুতো কি চুরি করার মতো? এই যে, যে লোকটা আপনাকে নিয়ে গিয়ে জুতো রাখাল, ওর জুতো চুরি করে পোষালে কি আমি ছেড়ে দিতাম? হাঁ, জুতা হল আপনারটা! ভালো কোম্পানির জুতো, ভালো দোকানের জুতো!’
বটুবাবু একবার নিজের পায়ের দিকে তাকালেন। ‘আমারটা তবে ছেড়ে দিলে কেন বাবা?’
আপনি তো টর্পেডোদা’-বুলেটদা’-রকেটদা’র বাবা! আমি আপনাকে চিনি। খুব ভালো লোক। সাদাসিধে মানুষ। আপনার নানারকমের ঘটনা নিয়ে একটা বইও আছে। আমার পরিবারের সবাই পড়েছে। আপনার জুতা চুরি করব? তাই করলাম না।’
‘তুমি আমার ছেলেদের চেনো?’
‘চিনি, কিন্তু কথা হয় না। ওনারা আমাকে চেনেন না।’ 
এবার ক্রমে ক্রমে বটুবাবু ধাতস্থ হচ্ছেন। জিজ্ঞাসা করে বসলেন— ‘আচ্ছা, আমি তো তোমাকে ত্রিসীমানায় কোথাও দেখিনি। তুমি কী করে এতসব লক্ষ করলে? কখন করলে?’
এই বাগ-বাগিচা ঘিরে আমার নজরদারি চলে জেঠু। ওদের যেমন ক্যামেরা আছে, আমারও তো কিছু আছে, নাকি?’ বলেই প্রসঙ্গ পরিবর্তন করলো মুস্কান নামের চোয়াড়ে- ‘তা, চোখের কী সমস্যা হল জেঠু? চোখ দেখালেন?’
‘ওই পাওয়ারের রুটিন চেক আপ আর কি! পাওয়ার বেড়েছে। চশমাও করতে দিলাম। বুধবার আসতে বলল।’ 
‘বেশ, আবার আসবেন। দেখা হবে জেঠু।’ ছেলেটি চলে যেতে উদ্যত।
পিছু ডেকে দাঁড় করালেন বটুবাবু- ‘একটা কথা ছিল বাবা!’
‘কী কথা, বলুন জেঠু—’
‘তুমি যদি আমার সব কথা জানো তো এটাও তো জানো বাবা, আমার নানারকম ভালোমানুষি নিয়ে সবাই হাসাহাসি করে। খুব বেশি করে তোমার জেঠিমা। আমাকে খুব ঠোকা দিয়ে কথা বলে। এই যে, ধর এই আজকের কথা, বাড়িতে বলব, তো কেউ বিশ্বাসই করবে না!’
‘একথা বাড়িতে বলবেন জেঠু?’
‘কী বল, বলব না! এই যে তোমার কত দক্ষতা, আবার আমার প্রতি এই যে মায়া! বলার কথা নয়?’
ছেলেটি একটু চুপ করে থাকে। তারপর জানতে চায়, ‘আমাকে কী করতে হবে জেঠু?’
‘আমি যেদিন চশমা নিতে আসবো, তোমার জেঠিমাকে নিয়ে আসব চোখ দেখাতে। সেদিন ওর জুতো জোড়া গায়েব করে দিতে হবে বাবা! ওকে আমি খালি পায়ে হাঁটিয়ে বাড়ি নিয়ে যাব।’
হেসে ফেলল চোয়াড়ে। জিভ কেটে বলল- ‘এ কী বলছেন জেঠু! জেঠিমার জুতো চুরি করব?’
‘হ্যাঁ বাবা, করতে হবে। তবেই তো পালটা কথা শোনাতে পারব আমি। ঠোকা দিয়ে ঠোকা দেওয়া বন্ধ করতে পারব।’
হাসতে হাসতে বলল চোয়াড়ে- ‘বেশ, তাই হবে। তবে ওনাকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাবেন না কিন্তু। রিকশয় নিয়ে যাবেন।’
‘রিকশ ওকে নেয় না রে বাবা, এত মোটা মানুষ, তায় সঙ্গে আমি! দু’জন! টোটোয় চাপিয়ে নিয়ে যাব। আর বাড়ি নয়, জুতোর দোকান। জুতো কিনে তারপর ঢুকব। আগের জুতো তুমি নিও। তবু ওকে জব্দ করা চাই।’
‘বেশ।’ রাজি হল মুস্কান, ‘তবে বুধবার বললেন তো!’
‘হ্যাঁ,  আগামী পরশু বুধবার।’ বটুবাবু উৎসাহিত। ফুটছেন।
বুধবার, ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে দারুণ খুশি বটুবাবু। কথা রেখেছে মুস্কান। বিন্দুবাসিনীর চপ্পল গায়েব! তবুও দু-চার মিনিট খোঁজাখুঁজির একটা নিপাট অভিনয় করলেন। 
পাওয়া গেল না দেখে ঝাঁঝিয়ে উঠলেন বিন্দুবাসিনী- ‘তোমার চটি নেয়নি মুখপোড়া চোরেরা, আমারটাই পছন্দ হল?’
পালটা দিলেন বটুবাবু, ‘হবে না? সাফসুতরো ঝকঝকে তকতকে দেখেছে, নিয়ে গেছে! তিন বছর আগে কেনা! চপ্পল পায়ে দাও তুমি? দিলে ড্যামেজ হতো, চোখও পড়ত না।’
‘আমি কোথায় বেরই যে চপ্পল ড্যামেজ হবে? এই তো কতমাস পর বাড়ির বাইরে পা দিলাম। প্রয়োজন পড়ে না, বেরই না। তোমার মতো? রিটায়ার্ড লাইফ! আরাম কর, তা না শুধু টো টো করে ঘোর!’
‘আমি প্রয়োজন ছাড়া ঘুরি না।’
‘এই তো আমাকে খামোখা এখানে টেনে আনলে! আমার চোখের পাওয়ার আন-চেঞ্জ! চশমাও বদলাতে হল না! তোমার দরকার তুমি বেরোও। মাঝখান থেকে চপ্পল জোড়া গেল!’
‘আরে বাবা, চেক না করালে বোঝা যেত তোমার পাওয়ার আন-চেঞ্জ? মাঝে মাঝে তো দেখে নেওয়া দরকার!’
‘আমার তো কোনও অসুবিধা ছিল না!’ বলতে বলতে নুড়ি পাথর বিছানো পথে পা রাখলেন বিন্দুবাসিনী। এক পা দু-পা করে হাঁটতে থাকলেন। অস্ফুটে মুখ থেকে বেরিয়ে এল- ‘আঃ কী আরাম!’
বটুবাবু বেকুব। তবে কি তাঁর পরিকল্পনা মাঠে মারা গেল!
বিন্দুবাসিনী প্রসন্ন— ‘এমন পথে হেঁটেও সুখ! এমন রাস্তা পেলে আমি রোজ হাঁটতাম। চটি চুরি না হলে কি এই সুখ বুঝতে পারতাম? যে চটি চুরি করেছিস, বেশ করেছিস বাবা! বেঁচে থাক!’ 
বটুবাবু এদিক ওদিক দেখছেন। মুস্কান কি দেখছে? না দেখুক, শুনছে কি এসব?
সবেরই তো শেষ আছে। বিন্দুবাসিনীর হাঁটা পর্বও শেষ হল একসময়। বটুবাবু টোটো ডাকলেন। হুকুম করলেন- ‘হরগঞ্জ বাজার।’ ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও নামল এইসময়।
অরবিন্দ রোডে প্রিন্স নামের দোকানের সামনে টোটো থামাতে বললেন। নিজে নেমে, বিন্দুবাসিনীকে নামাতে নামাতে বেশ ভিজে গেলেন দু’জন। এরপর রেলিং ঘেরা ফুটপাতের খোলা অংশ খুঁজে দোকানে পৌঁছতে ভিজে গেলেন আরও কিছুটা। ভিজল বটুবাবুর চপ্পলও। তাই দোকানে ঢুকতে যেতেই ‘জুতো খুলে, জুতো খুলে’ বলে দৌড়ে এল এক ছোকরা সেলসম্যান।
বটুবাবু সংকুচিত। একজনের পায়ে জুতো, অন্যজনের পা নিরাভরণ। যার পা নিরাভরণ, তিনি নিঃসঙ্কোচে পাপোশে পা মুছে দোকানে ঢুকে গেলেন। বটুবাবুও স্ত্রীকে অনুসরণ করলেন। 
পছন্দের ব্যাপারে বিন্দুবাসিনী বরাবরই উদাসীন। যা হোক কিছু হলেই হল। তিনি সাদামাটা চপ্পলই চাইছিলেন। বটুবাবু বললেন- ‘তুমি তো নতুন চশমা নিতে চাইলে না। শ’ছয়েক টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে দামি চপ্পল নিতে আপত্তি কী?’ বলে নতুন চশমা চোখে এঁটে গিন্নির হাল ফ্যাশনের একজোড়া চপ্পল পছন্দ করে কিনে দিলেন।
চপ্পল সরাসরি বটুগিন্নির পায়ে। বটুবাবু বললেন, ‘বাক্সের দরকার নেই।’ 
এখানেও মতের অমিল। বিন্দুবাসিনী বললেন, ‘দরকার আছে। ফাঁকা বাক্সই হাতে নাও।’
দরজা ঠেলে দোকানের বাইরে এলেন দু’জনে। বৃষ্টি থেমেছে। কিন্তু বটুবাবুর ছেড়ে রাখা চপ্পলকে ঝুপ্পুস ভিজিয়ে দিয়ে গেছে। চপ্পলে পা গলাতে যাচ্ছেন, হাঁ হাঁ করে উঠলেন বিন্দুবাসিনী- ‘চামড়ার জুতো! অ্যাত্তো ভিজেছে এখন পড়ে হাঁটলেই সল্যুশন খুলে যাবে।’
বটুবাবু থমকালেন।
পিছনে দাঁড়ানো সেলসম্যান ছোকরাকে হুকুম করলেন বটুগিন্নি- ‘অ্যাই খোকা, তোমার জন্যই তো এই দশা হল! দাও, চপ্পল জোড়া এই বাক্সে ভরে দাও।’
ভেজা চপ্পল ভরা বাক্স বয়ে ফুটপাথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে বটুবাবু ভাবতে থাকেন— তাঁর কপালটাই এমন! বিড়ম্বনা কখনও তাঁর পিছু ছাড়ে না। কাকে খালি পায়ে হাঁটিয়ে বাড়িতে ঢোকাবেন ভেবেছিলেন, আর এখন কে ঢুকবে!
03rd  November, 2024
মাকড়সার জাল

মাকড়সার জাল কে না দেখেছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে, বাগানে সর্বত্রই এই জাল আমরা দেখতে পাই। খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে এর নিখুঁত বুনোট আমাদের তাক লাগিয়ে দেয়। প্রাণীজগতের অতি আশ্চর্য শিল্পকর্ম হল এই মাকড়সার জাল।
বিশদ

17th  November, 2024
রহস্যঘেরা দ্বীপ

আন্দামানের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে আজও পৌঁছয়নি সভ্যতার আলো। রহস্যঘেরা সেই দ্বীপের কথা লিখেছেন অনির্বাণ রক্ষিত।
বিশদ

17th  November, 2024
চাঁদের মাটি  ফিরবে ভারতে

চন্দ্রযান-৩-এর অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার ভারতের পাখির চোখ চন্দ্রযান-৪। এই মিশনের অন্যতম লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে জল আছে কি না জানা। ভারতের চতুর্থ চন্দ্র অভিযানের খুঁটিনাটি জানালেন কল্যাণকুমার দে।
বিশদ

17th  November, 2024
শিশুদের জন্য চাচা নেহরুর চার মন্ত্র

আগামী বৃহস্পতিবার শিশু দিবস। জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে পালিত হয় এই দিনটি। শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা তুলে ধরলেন সন্দীপন বিশ্বাস বিশদ

10th  November, 2024
গ্ল্যাডিয়েটরদের লড়াইয়ের কথা

রোমান সভ্যতায় দেখা মেলে বহু বিখ্যাত যোদ্ধার। তেমনই একজন ছিলেন স্পার্টাকাস। সেইসব সাহসী যোদ্ধাদের লড়াইয়ের গল্প বললেন কালীপদ চক্রবর্তী বিশদ

10th  November, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মহামঞ্চ

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। এবারের বিষয় তুলসীর মহামঞ্চ। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হচ্ছে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে। বিশদ

10th  November, 2024
ঘূর্ণিঝড় কীভাবে তৈরি হয়?
স্বরূপ কুলভী

এই তো কয়েকদিন আগেই সবার মুখে ছিল একটাই কথা। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। শেষ পর্যন্ত ও঩ড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ডানা।
বিশদ

03rd  November, 2024
আশ্চর্য দুই ডাকঘর
শান্তনু দত্ত

ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই ডাকঘরে গিয়েছ। দূরে কোথাও চিঠি অথবা জিনিস পাঠানো কিংবা টাকা জমা দেওয়া বা তোলা—  কতরকম কাজ হয় সেখানে।
বিশদ

03rd  November, 2024
দীপাবলির আনন্দ

আগামী বৃহস্পতিবার কালীপুজো। দীপাবলি মানেই আলো আর বাজির রোশনাই। কেমনভাবে কাটবে কালীপুজো, জানাল পুরুলিয়ার খুদিবাঁধ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বিশদ

27th  October, 2024
হরেক রকম হাতের কাজ: বোতলে পাটের নকশা
 

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

27th  October, 2024
রঘু ডাকাত
অরিন্দম ঘোষ

অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলার কুখ্যাত নাম ছিল রঘু ডাকাত। সে ও তার দলবল এতটাই ভয়ানক ছিল যে, তাদের নাম শুনলে থরহরিকম্প হয়ে উঠত থানার দারোগাবাবু থেকে জমিদার সকলেই। তার ভাই ছিল বিধুভূষণ ঘোষ ওরফে বুধো ডাকাত। বিশদ

27th  October, 2024
সোনার কেল্লা ৫০

১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় সত্যজিৎ রায়ের ‘সোনার কেল্লা’। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই ছবি মাইলস্টোন। পঞ্চাশ বছর আগের শ্যুটিংয়ের স্মৃতিচারণা করলেন ছবির ‘তোপসে’ সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ‘মুকুল’ কুশল চক্রবর্তী এবং পরিচালক-পুত্র সন্দীপ রায়। বিশদ

20th  October, 2024
কীভাবে আবিষ্কার হল স্টেথোস্কোপ
স্বরূপ কুলভী

সাদা অ্যাপ্রন। গলায় বা হাতে স্টেথোস্কোপ। তা দেখেই বোঝা যায় মানুষটি ডাক্তার। স্টেথোস্কোপের একপ্রান্ত গোলাকার। আর অন্য প্রান্ত দু’ভাগে বিভক্ত। ওই বিভক্ত প্রান্তটির দু’টি মাথা কানে দিয়ে রোগীর হৃদস্পন্দন শোনেন চিকিৎসকরা। বিশদ

20th  October, 2024
দুগ্গা এল ঘরে

 আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের আনাগোনা। ভোরের বাতাসে শিউলি ফুলের সুমিষ্ট সুঘ্রাণ। আর হাওয়ার দাপটে কাশফুলের এলোমেলো দুলুনি। এর মধ্যেই প্যান্ডেল বাঁধার তোড়জোড়— ঠুকঠাক শব্দ কানে এলেই মনে হয় পুজো এসে গেল। বিশদ

06th  October, 2024
একনজরে
কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বুনোর আক্রমণে মৃত্যু হল দু’জনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বুধবার মাথাভাঙা-২ ব্লকের প্রেমেরডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে বাইসনের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। ...

ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের আগে চর্চায় পারথের বাইশ গজ। পিচে ঘাস ও বাউন্স, দুই থাকবে। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পিচ ...

হুগলি নদীর পাড়ে অবস্থিত একাধিক ফেরিঘাট আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। এবার দামোদর ও রূপনারায়ণের তীরে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নিল ওই দপ্তর। ...

রাজ্য স্কুল জিমন্যাস্টিকের অনূর্ধ্ব ১৪ বালিকা বিভাগে পাঁচটি পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চাকদহের দিয়া হালদার। সল্টলেক সাঁইয়ের মাঠে গত রবিবার শেষ হয়েছে ৬৮তম রাজ্য স্কুল জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতা। সেখানেই দুটি সোনা, দুটি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জের পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দিয়া ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস
১৬৯৪: ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্ম
১৭৮৩:  মন্টগোলফার ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম বেলুনে করে আকাশে ওড়ে
১৮৭৭: ফোনোগ্রাফ আবিষ্কারের কথা জানালেন থমাস এডিসন
১৯০৪:  শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার হরেন ঘটকের জন্ম
১৯০৮: বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ফাঁসি দেওয়া হয়
১৯২১: বিশিষ্ট বাঙালি মৎসবিজ্ঞানী ড.হীরালাল চৌধুরীর জন্ম
১৯২৬: অভিনেতা প্রেমনাথের জন্ম
১৯৩৪: অভিনেত্রী ও সঙ্গীত শিল্পী রুমা গুহঠাকুরতার জন্ম
১৯৩৮: বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হেলেনের জন্ম
১৯৪৭ স্বাধীন ভারতে আজকের দিনে জাতীয় পতাকা সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়
১৯৭০: নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরামনের মৃত্যু
১৯৭৪: শিশু সাহিত্যিক পুণ্যলতা চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৫: সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ৪৭/৪৮, সন্ধ্যা ৫/৪। পুষ্যা নক্ষত্র ২৪/৮ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৫৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে।
৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৪৫। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ৩/৩৩ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/০ মধ্যে। কালবেলা ২/৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১/২ মধ্যে।  
১৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ২ হাজার করার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো

08:50:45 PM

গণতন্ত্র এবং মানবিকতাই হল প্রধান, গায়ানার সংসদে বিশেষ অধিবেশনে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:53:00 PM

এ আর রহমানের ডিভোর্স আপাতত হচ্ছে না
আপাতত হচ্ছে না এ আর রহমান-সায়রা বানুর ডিভোর্স। জানালেন তাঁদের ...বিশদ

10:16:00 PM

সকলকে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমাটি দেখার অনুরোধ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার

10:06:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মনুমেন্ট পরিদর্শনে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:57:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:30:00 PM