Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

সোনার কেল্লা ৫০

১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় সত্যজিৎ রায়ের ‘সোনার কেল্লা’। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই ছবি মাইলস্টোন। পঞ্চাশ বছর আগের শ্যুটিংয়ের স্মৃতিচারণা করলেন ছবির ‘তোপসে’ সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ‘মুকুল’ কুশল চক্রবর্তী এবং পরিচালক-পুত্র সন্দীপ রায়।

বাবা তো রেগে আগুন: সন্দীপ রায়
 
সোনার কেল্লার রাজস্থানের শ্যুটিং পর্বটা ছিল একটা আস্ত অ্যাডভেঞ্চার। সেটার অভিজ্ঞতা নিয়েই একটা পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি বানানো যায়। শিল্পী, কলাকুশলী মিলিয়ে আমরা প্রায় পঁয়ত্রিশজন একটা গোটা বগিকে ঘর-বাড়ি বানিয়ে রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর ঘোরাঘুরি করে কুড়ি-বাইশ দিন ধরে শ্যুটিং করেছিলাম। ওই বগিটা বিভিন্ন ট্রেনে জুড়ে দেওয়া হতো। সে এক দুর্দান্ত মজার সফর। সিনেমায় গল্প যেভাবে এগিয়েছে ঠিক সেই রুট ধরেই শ্যুটিং হয়েছিল। আমরা শুরু করেছিলাম দিল্লি থেকে। লালকেল্লার সামনে শ্যুটিং সেরে গেলাম জয়পুরে। সেখানে নাহারগড় কেল্লায় আসল ডঃ হাজরাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার দৃশ্যটা তোলা হয়েছিল। তারপরে আমরা গেলাম যোধপুর। সেখান থেকে জয়সলমির। ওখান থেকে বিকানির। তারপর আবার জয়সলমির ফিরে এসে শ্যুটিং শেষ করে যোধপুরে ফিরে এলাম। ওখান থেকে দিল্লির ট্রেন ধরা হল। সেখান থেকে কলকাতা। বাবা খুব সুন্দর পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। ফলে আমরা নির্ধারিত দিনের মধ্যেই শ্যুটিং শেষ করতে পেরেছিলাম। এই ব্যাপারে আরও একজনকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, তিনি আমাদের প্রোডাকশন কন্ট্রোলার অনিল চৌধুরী। আমরা যেখানে শ্যুটিং করব, উনি তার আগের দিন সেখানে পৌঁছে গিয়ে সমস্ত কিছু রেডি করে রাখতেন। উট জোগাড় করতে সমস্যা হয়নি। সমস্যা হয়েছিল ফেলুদা, তোপসে ও জটায়ুকে উঠের পিঠে চড়িয়ে শ্যুটিং করার সময়। ওই ট্রেনকে ধাওয়া করার দৃশ্যটা তোলা খুব ঝামেলার ব্যাপার ছিল। এমন একটা লোকেশন খুঁজে বের করতে হয়েছিল, যাতে একটা ফ্রেমেই ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে আসছে গোটা ট্রেন, সেই ট্রেনকে ধরার জন্য সওয়ারি নিয়ে বালির উপর দিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে চারটে উট দৌড়চ্ছে— সব একসঙ্গে ঠিকঠাক ধরা যায়। আবার পাশে পিচের রাস্তাও থাকতে হবে। যাতে শটটা তোলার সময় ক্যামেরা না নড়ে। অনেকটা জায়গা জুড়ে লম্বা শট। অত বড় তো ট্রলি পাতা মুশকিল। অনেক ভেবেচিন্তে বুদ্ধি করে একটা জিপ গাড়িতে ক্যামেরা বসানো হল। ঠিক হল ক্যামেরা সহ চার-পাঁচজন জিপে থাকবেন। আর সেটাকে আর কয়েকজন ঠেলবে। কারণ না হলে ট্রেন, উট এদের গতির সঙ্গে জিপ গাড়ির গতি মিলবে না। সব রেডি। এদিকে ট্রেন আর আসে না।  বেলা পড়ে যাচ্ছে। তখন তো এখনকার মতো যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। ধু ধু মরুভূমির মধ্যে কোথায় ফোন, কোথায় দৌড়ে গিয়ে খোঁজ নেবার উপায়। যাইহোক, সেই ট্রেন তো অবশেষে এল। কিন্তু ট্রেনের কর্মীরা শ্যুটিং  দেখতে এতই ব্যস্ত যে, ইঞ্জিনে কয়লা ভরতেই ভুলে গেলেন। বাবা তো রেগে আগুন। ধোঁয়া না বেরলে শটটাই তো জমবে না। এদিকে আলো পড়ে আসছে। ফের ট্রেনটাকে ব্যাক করানো হল, কয়লা ভরা হল, ধোঁয়া ওড়ানো হল, তারপর সেই ঐতিহাসিক শটটা তোলা হল। একটা বাঁচোয়া, দৃশ্যটা এক শটেই ওকে হয়ে গিয়েছিল। আর একটা কঠিন দৃশ্য তোলা হয়েছিল মন্দার বোসের চলন্ত ট্রেনের রড ধরে এক কামরা থেকে আর এক কামরায় পালিয়ে যাওয়ার সময়। বাবা সোনার কেল্লায় দুটো অ্যারিফ্লেক্স ক্যামেরা ব্যবহার করেছিল। এক কামরা থেকে আর এক কামরায় যাওয়ার দৃশ্যটা তোলা হয়েছিল রামদেওরার কাছে লাঠি স্টেশনে। কারণ ওখানে মাল্টিপল লাইনস ছিল। একটা লাইনে ইনস্পেকশন ট্রলির উপর ক্যামেরা বসানো হল। আর একটা ক্যামেরা চলন্ত ট্রেনের ছাদে হাতে ধরে মুখটা নিচু করে রাখা হল। কামুকাকু (মুখোপাধ্যায়) ট্রেনটা দাঁড়ানো অবস্থায় একবার রিহার্সাল দিয়ে নিয়েছিলেন। রাত। ভয়ঙ্কর ঠান্ডা। শৈত্যপ্রবাহ চলছে। কামুকাকু ট্রেনের রড ধরতে গিয়ে কারেন্ট খাবার মতো ছিটকে উঠলেন। তবুও এই শটটাও একবারে উতরে গিয়েছিল। তার পেছনে ছিল কামুকাকুর সাহস আর জেদ। সব মিলিয়ে সোনার কেল্লার রাজস্থানের শ্যুটিং পর্ব আজীবন মনে রাখার মতো ও শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা ছিল। পঞ্চাশ বছর পরেও ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়। 

মুকুলকে নিয়ে ছবি করব: কুশল চক্রবর্তী

এখন তোমরা ছোটরা আমাদের ছোটবেলার চেয়ে অনেক স্মার্ট। তোমরা যতটা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে জানো, সত্যি বলছি আমি অতটা জানি না। ১৯৭৪ সালে, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে আমার বয়স ছিল সাত। তখন আমাদের হাতের কাছে দু-একটা বই ছাড়া কিছুই ছিল না। আর এত ঢাকঢোল পিটিয়ে বিজ্ঞাপন বা প্রচারের প্রচলন ছিল না। তাই কে সত্যজিৎ রায়, তিনি কত বড় মাপের ব্যক্তিত্ব,  সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ই বা কত জনপ্রিয় নায়ক, সেই সম্বন্ধে আমার কোনও ধারণাই ছিল না। স্কুলেই ভর্তি হইনি তখন। এইটুকু মনে আছে সবাই মিলে দলবল বেঁধে রাজস্থানে যাওয়া হচ্ছে সিনেমার শ্যুটিং করতে। সঙ্গে বাবা গিয়েছিলেন। খুব ঠান্ডা তখন। আগে থেকে কোনও ওয়ার্কশপ বা রিহার্সাল কিচ্ছু হয়নি। শ্যুটিং স্পটে মানিকজেঠু (সত্যজিৎ রায়) যেমন যেমন বলতেন, ‘এদিকে তাকাও, ওদিকে দেখ, এই কথাটা এইভাবে বল,’ আমি ক্যামেরার সামনে তেমন তেমন করে যেতাম। উনি আমাকে দিয়ে কাজটা করিয়ে নিতেন আর কী। একটা জিনিস মনে আছে, মানিকজেঠু সবাইকে খুব এনকারেজ করতেন। কখনও কাউকে বকাঝকা করতেন না। আর খেয়াল রাখতেন কামুজেঠু। মানে মন্দার বোস। আমার ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা উনিই করতেন। আর খুব মজা করতেন। এমন অঙ্গভঙ্গি করতেন যে, না হেসে উপায় থাকত না। কামুজেঠু বিশেষ করে আমার আর তোপসেদা মানে সিদ্ধার্থদার খেয়াল রাখতেন। আগেই বলেছি, তখন আমার মাত্র সাত বছর বয়স। পঞ্চাশ বছর পর সেই দিনগুলোর ছবি অনেকটাই ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। আমার একটাই আক্ষেপ— বড় হয়ে আর মানিকজেঠুর কোনও ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পাইনি। পারলে মানুষটাকে কাছ থেকে খানিকটা বোঝার সুযোগ পেতাম। ওই বয়সে উনি আমাকে কী বানিয়ে দিয়েছিলেন সেটা টের পেলাম ২০১৬ সালে সোনার কেল্লায় ‘ফেলুদা চল্লিশ’ করতে গিয়ে। কেল্লার বাসিন্দারা আমাকে নিয়ে কী করবে ভেবে উঠতে পারছেন না। আমাকে পাগড়ি পরিয়ে, মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দিলেন। যেন মুকুল বড় হয়ে ফিরে এসেছে তার নিজের জায়গায়। 
এইরকম ভাবনা নিয়ে পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের ‘সোনার কেল্লায় যকের ধন’ ছবিতে আমাকে মুকুলের চরিত্রে অভিনয় করতে বলা হয়েছিল। আমি রাজি হইনি। কারণ, আমার স্বপ্ন, মুকুলকে নিয়ে আমি নিজে ছবি করব।

কাঁকড়াবিছেটা পায়ের পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে: সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়

সোনার কেল্লায় তোপসে সেজেছিলাম চোদ্দো বছর বয়সে। বাবা-মাকে ছেড়ে প্রথম একা রাজস্থানের মতো সুদূর এক জায়গায় সবাই দল বেঁধে শ্যুটিং করতে যাচ্ছি। অথচ শ্যুটিং কী জিনিস তখনও ভালো করে জানিই না। বড়দের সঙ্গে কলকাতার বাইরে ঘুরতে যাচ্ছি, ব্যাপারটা আমার কাছে দারুণ মজার ছিল। নিজেকে খুব স্বাধীন স্বাধীন মনে হচ্ছিল। প্রত্যাশার চাপ নেই। তাই গোটা শ্যুটিং পর্বটাই ছিল আমার কাছে খুব রোমাঞ্চকর। জীবনে প্রথম কেল্লা দেখেছি। মনে হতো যেন সবাই মিলে দূরে কোথাও পিকনিক করতে গিয়েছি।

কাঁকড়াবিছে

তখনকার দিনে শহিদ মিনারের লাগোয়া ময়দানে একটা মেলা বসত। সেখানে বিভিন্ন মানুষ নানা রকমের অদ্ভুত জিনিস বিক্রি করত। কেউ জ্যান্ত টিকটিকি, কেউ গিরগিটি, আরশোলা এইসব। একজন কাঁকড়াবিছেওয়ালার কাছে দুটো জ্যান্ত কাঁকড়াবিছে কেনা হয়েছিল। ওই দুটোকে রাজস্থানেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যে দৃশ্যটায় ফেলুদার বিছানায় কাঁকড়াবিছে দেখে আমি ‘ফেলুদা’ বলে চিৎকার করে উঠছি, সেটা টেক করা হয়েছিল ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে। তখন এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। কাঁকড়াবিছে ছাড়া অবস্থায় ফেলুদা বিছানায় শুলো। হঠাৎ লোডশেডিং। তখন শহরে যখন তখন লোডশেডিং হতো। ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে এমার্জেন্সি জেনারেটরেরও ব্যবস্থা ছিল না। গোটা ফ্লোর ঘুটঘুটে অন্ধকার। সৌমিত্রজেঠু তো এক লাফে ফ্লোরে বাইরে বেরিয়ে জ্যাকেট-ট্যাকেট ঝাড়াঝাড়ি শুরু করে দিয়েছেন। কিছুক্ষণ বাদে আলো আসার পর আর কাঁকড়াবিছেটাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে অনেকের সন্দেহ হল কাঁকড়াবিছেটা নির্ঘাত ফেলুদার জামাকাপড়ের মধ্যেই কোথাও লুকিয়ে আছে। জ্যাকেট, জামা সব খুলে সৌমিত্রজেঠু তিড়িংবিড়িং করে কিছুক্ষণ লাফালেন। হুলস্থুল কাণ্ড। শেষে কাঁকড়াবিছেটাকে পাওয়া গেল বিছানায় তোশকের তলায়। এইবার কে সেটাকে ধরবে? এখানেও উদ্ধারকর্তা কামুকাকু। হাত দিয়ে, হ্যাঁ স্রেফ খালি হাতে কাঁকড়াবিছেটাকে ধরে সেটাকে জায়গা মতো রেখে দিলেন। তারপর ফের শ্যুটিং চালু হল। এমন দুঃসাহস, ভাবা যায় না! আমি তো ভয়ে ঘামছি। কারণ, তারপরের শটেই কাঁকড়াবিছেটাকে আমায় পা দিয়ে পিষে মারতে হবে। কিন্তু শটে সেটা দেখানো হয়নি। অথচ আমি অভিনয় করে দেখাচ্ছি যে সেটাকে পা দিয়ে মারছি। আসল ঘটনা হল, কাঁকড়াবিছেটা তখনও আমার পায়ের পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তোমাদের গল্পের মতো করে বলছি, আর সেদিনের সেই শ্যুটিংয়ের ঘটনাটা ছবির মতো চোখের সামনে ভাসছে। পঞ্চাশ বছর পরেও সারা শরীরটা শিরশির করে উঠছে।

উট
উট অবশ্যই  জটায়ুর ভাষায় একটা ‘ভয়ঙ্কর জানোয়ার’। অথচ ভয় পেয়েছি কিছুতেই বোঝানো যাবে না। কারণ, ক্যামেরার সামনে দেখাতে হবে আমি খুব সাহসী ও স্মার্ট। উল্টে উটের পিঠে  লালমোহনবাবুকে ভয় পেতে দেখে সাহস বাড়ানোর জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। সত্যি কথা বলতে কী, ভয় আমারও করছিল। মাটি থেকে অত উঁচুতে চড়ে বসা। শরীরটাকে আগুপিছু করে উটের চলার সঙ্গে তাল মেলানো। সেইসঙ্গে সংলাপ বলা। পুরো ব্যাপারটাই ছিল ভয়ানক। প্রথম প্রথম আমারও গলা শুকিয়ে আসছিল। বুক ঢিপ ঢিপ করছিল। উটের পিঠে চড়তে হবে, মরুভূমির মধ্যে দিয়ে আমাদের পিঠে নিয়ে উট দৌড়বে, এসব জানা ছিল। কিন্তু সত্যি সত্যিই উটের পিঠে চড়লে কী হয়, সেটা তো জানা ছিল না। তবে ওই মানসিক প্রস্তুতিটা ছিল বলেই হয়তো কিছুক্ষণ যাওয়ার পর ভয়টা কেটে গেল।

মন্দার বোসের ডিম

মন্দার বোস মানে কামু মুখোপাধ্যায় গল্পে ভিলেন হলে কী হবে, এমনিতে দারুণ মজার মানুষ ছিলেন। আমার আর মুকুলের খুব খেয়াল রাখতেন। আর যত বিপজ্জনক কাজ, অবলীলায় করে দিতেন। শ্যুটিংয়ে উনি করতেন কী, মাঝপথে মরুভূমি বা ধু ধু রাস্তাঘাটে যদি খিদে পায়, সেই আশঙ্কায় ব্রেকফাস্টের সময়ই হোটেল থেকে জ্যাকেটের পকেটে বেশ কয়েকটা সেদ্ধ ডিম ভরে নিতেন। একটা, দুটো নয় বেশ কয়েকটা। নাহারগড় কেল্লায় একটা দৃশ্য ছিল, মন্দার বোস মুকুলকে বলছে, উট যদি তাদের ল্যাগব্যাগে ঠ্যাং দিয়ে পেটে মারে বলে যেই দু’পাশে পা ছুড়ে মারার ভঙ্গিটা দেখাচ্ছেন, তখন সিদ্ধ ডিমগুলো চেপটে থেঁতলে জ্যাকেট থেকে বেরিয়ে পড়ল অন ক্যামেরা। দেখে কামুকাকুকে মানিকজেঠুর এক ধমক, ‘তোমার পেটের ভেতর থেকে ওটা কী বেরচ্ছে কামু?’ কামুকাকু বেজায় অপ্রস্তুত। কাঁচুমাচু মুখে মাথা চুলকিয়ে বললেন, ‘না... মানে... মানিকদা...কয়েকটা ডিম সেদ্ধ নিয়ে এসেছিলাম।’ মানিকজেঠু বললেন, ‘এনেছ বেশ করেছ। তা জায়গা পেলে না রাখবার!’ আমি দেখছি আর হো হো করে হাসছি। গল্পের দুষ্টু লোক। মাথায় চকচকে টাক। বয়স্ক লোক বাচ্চাদের মতো জ্যাকেটে ডিম লুকিয়ে রাখার জন্য ডিরেক্টরের কাছে বকা খাচ্ছে, লজ্জা লজ্জা মুখে জ্যাকেট ফাঁকা করছে আর বিভিন্ন পকেট থেকে একটার পর একটা ডিম বেরিয়েই যাচ্ছে। সেই দেখে মানিকজেঠু থেকে শুরু করে সবাই হাসছেন।
অনুলিখন: প্রিয়ব্রত দত্ত
20th  October, 2024
মাকড়সার জাল

মাকড়সার জাল কে না দেখেছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে, বাগানে সর্বত্রই এই জাল আমরা দেখতে পাই। খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে এর নিখুঁত বুনোট আমাদের তাক লাগিয়ে দেয়। প্রাণীজগতের অতি আশ্চর্য শিল্পকর্ম হল এই মাকড়সার জাল।
বিশদ

17th  November, 2024
রহস্যঘেরা দ্বীপ

আন্দামানের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে আজও পৌঁছয়নি সভ্যতার আলো। রহস্যঘেরা সেই দ্বীপের কথা লিখেছেন অনির্বাণ রক্ষিত।
বিশদ

17th  November, 2024
চাঁদের মাটি  ফিরবে ভারতে

চন্দ্রযান-৩-এর অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার ভারতের পাখির চোখ চন্দ্রযান-৪। এই মিশনের অন্যতম লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে জল আছে কি না জানা। ভারতের চতুর্থ চন্দ্র অভিযানের খুঁটিনাটি জানালেন কল্যাণকুমার দে।
বিশদ

17th  November, 2024
শিশুদের জন্য চাচা নেহরুর চার মন্ত্র

আগামী বৃহস্পতিবার শিশু দিবস। জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে পালিত হয় এই দিনটি। শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা তুলে ধরলেন সন্দীপন বিশ্বাস বিশদ

10th  November, 2024
গ্ল্যাডিয়েটরদের লড়াইয়ের কথা

রোমান সভ্যতায় দেখা মেলে বহু বিখ্যাত যোদ্ধার। তেমনই একজন ছিলেন স্পার্টাকাস। সেইসব সাহসী যোদ্ধাদের লড়াইয়ের গল্প বললেন কালীপদ চক্রবর্তী বিশদ

10th  November, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মহামঞ্চ

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। এবারের বিষয় তুলসীর মহামঞ্চ। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হচ্ছে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে। বিশদ

10th  November, 2024
ঘূর্ণিঝড় কীভাবে তৈরি হয়?
স্বরূপ কুলভী

এই তো কয়েকদিন আগেই সবার মুখে ছিল একটাই কথা। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। শেষ পর্যন্ত ও঩ড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ডানা।
বিশদ

03rd  November, 2024
জুতোর ওপর ভরসা নেই
সঞ্জীবকুমার দে

এটা কেমন বিজ্ঞপ্তি! কাচের পাল্লা ঠেলে ভেতরে প্রবেশের মুখে বড় বড় অক্ষরে লেখা স্টিকার দেখে মনে একটা বড় রকমের ধাক্কা খেলেন বটুবাবু।
বিশদ

03rd  November, 2024
আশ্চর্য দুই ডাকঘর
শান্তনু দত্ত

ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই ডাকঘরে গিয়েছ। দূরে কোথাও চিঠি অথবা জিনিস পাঠানো কিংবা টাকা জমা দেওয়া বা তোলা—  কতরকম কাজ হয় সেখানে।
বিশদ

03rd  November, 2024
দীপাবলির আনন্দ

আগামী বৃহস্পতিবার কালীপুজো। দীপাবলি মানেই আলো আর বাজির রোশনাই। কেমনভাবে কাটবে কালীপুজো, জানাল পুরুলিয়ার খুদিবাঁধ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বিশদ

27th  October, 2024
হরেক রকম হাতের কাজ: বোতলে পাটের নকশা
 

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

27th  October, 2024
রঘু ডাকাত
অরিন্দম ঘোষ

অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলার কুখ্যাত নাম ছিল রঘু ডাকাত। সে ও তার দলবল এতটাই ভয়ানক ছিল যে, তাদের নাম শুনলে থরহরিকম্প হয়ে উঠত থানার দারোগাবাবু থেকে জমিদার সকলেই। তার ভাই ছিল বিধুভূষণ ঘোষ ওরফে বুধো ডাকাত। বিশদ

27th  October, 2024
কীভাবে আবিষ্কার হল স্টেথোস্কোপ
স্বরূপ কুলভী

সাদা অ্যাপ্রন। গলায় বা হাতে স্টেথোস্কোপ। তা দেখেই বোঝা যায় মানুষটি ডাক্তার। স্টেথোস্কোপের একপ্রান্ত গোলাকার। আর অন্য প্রান্ত দু’ভাগে বিভক্ত। ওই বিভক্ত প্রান্তটির দু’টি মাথা কানে দিয়ে রোগীর হৃদস্পন্দন শোনেন চিকিৎসকরা। বিশদ

20th  October, 2024
দুগ্গা এল ঘরে

 আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের আনাগোনা। ভোরের বাতাসে শিউলি ফুলের সুমিষ্ট সুঘ্রাণ। আর হাওয়ার দাপটে কাশফুলের এলোমেলো দুলুনি। এর মধ্যেই প্যান্ডেল বাঁধার তোড়জোড়— ঠুকঠাক শব্দ কানে এলেই মনে হয় পুজো এসে গেল। বিশদ

06th  October, 2024
একনজরে
২০১১ সালে শেষবার জনগণনা হয়েছিল ভারতে। ২০২১ সালে জনগণনার কথা থাকলেও তাতে জল ঢেলে দেয় করোনা পরিস্থিতি। তার পরে আরও বছর তিনেক পেরিয়ে গেলেও জনগণনা শুরু করতে কার্যত ব্যর্থ মোদী সরকার। ...

কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বুনোর আক্রমণে মৃত্যু হল দু’জনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বুধবার মাথাভাঙা-২ ব্লকের প্রেমেরডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে বাইসনের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। ...

পাটগাছের নির্যাস থেকে পানীয় ও পাটের সুতো থেকে বস্ত্র, ব্যাগ এবং পরিবেশবান্ধব নানা জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হল প্রান্তিক কৃষকদের। ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের অধীন সংস্থা এনআইএনএফইটি’র উদ্যোগে গয়েশপুরের নদীয়া কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে বুধবার পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে প্রশিক্ষণ ও ...

শীতকালে শুকিয়ে গিয়েছে নদী। অজয়, দামোদর নদীজুড়ে শুধুই বালির চড়া। সেই বালি লুট করতে নেমে পড়েছে মাফিয়ারা। নদীগর্ভ থেকে কোনওভাবেই মেশিন দিয়ে বালি তোলা যায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস
১৬৯৪: ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্ম
১৭৮৩:  মন্টগোলফার ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম বেলুনে করে আকাশে ওড়ে
১৮৭৭: ফোনোগ্রাফ আবিষ্কারের কথা জানালেন থমাস এডিসন
১৯০৪:  শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার হরেন ঘটকের জন্ম
১৯০৮: বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ফাঁসি দেওয়া হয়
১৯২১: বিশিষ্ট বাঙালি মৎসবিজ্ঞানী ড.হীরালাল চৌধুরীর জন্ম
১৯২৬: অভিনেতা প্রেমনাথের জন্ম
১৯৩৪: অভিনেত্রী ও সঙ্গীত শিল্পী রুমা গুহঠাকুরতার জন্ম
১৯৩৮: বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হেলেনের জন্ম
১৯৪৭ স্বাধীন ভারতে আজকের দিনে জাতীয় পতাকা সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়
১৯৭০: নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরামনের মৃত্যু
১৯৭৪: শিশু সাহিত্যিক পুণ্যলতা চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৫: সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ৪৭/৪৮, সন্ধ্যা ৫/৪। পুষ্যা নক্ষত্র ২৪/৮ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৫৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে।
৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৪৫। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ৩/৩৩ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/০ মধ্যে। কালবেলা ২/৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১/২ মধ্যে।  
১৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ২ হাজার করার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো

08:50:45 PM

গণতন্ত্র এবং মানবিকতাই হল প্রধান, গায়ানার সংসদে বিশেষ অধিবেশনে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:53:00 PM

এ আর রহমানের ডিভোর্স আপাতত হচ্ছে না
আপাতত হচ্ছে না এ আর রহমান-সায়রা বানুর ডিভোর্স। জানালেন তাঁদের ...বিশদ

10:16:00 PM

সকলকে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমাটি দেখার অনুরোধ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার

10:06:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মনুমেন্ট পরিদর্শনে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:57:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:30:00 PM