Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

তিতলি আর তুন্দ্রা বিন হাঁস

আইভি চট্টোপাধ্যায়: দিন ধরে খুব মনখারাপ তিতলির। সবার বাড়িতে ‘পেট’ আছে। প্রায় সব বাড়িতেই আছে নানা জাতের পুষ্যি কুকুর। স্প্যানিয়েল-পোমেরিয়ান-ফ্রেঞ্চ বুলডগ থেকে ল্যাব্রাডর-রিট্রিভার-ডাচসুন্ড-অ্যালসেশিয়ান। কিন্তু মা একদম রাজি নয়। কুকুরকে মায়ের খুব ভয়। 
পিকলুদের বাড়িতে চারটে বেড়াল, ওরা একটা দিতেও চেয়েছিল। কিন্তু মায়ের ভয়, বেড়াল থেকে ডিপথেরিয়া অসুখ হয়। খরগোশ, গিনিপিগ। মা বলে, ওরা বাড়ি নোংরা করে। খাঁচায় সুন্দর টিয়া। মা বলে, বন্দি পাখি রাখা ভালো নয়। অ্যাকোরিয়াম, সুন্দর সুন্দর মাছ। চঞ্চল গাপ্পি, সুন্দর সুন্দর গোল্ডফিশ। মা বলে, যত্ন না পেলে মাছ মরে যায়।
আসল কথা তা নয়। ‘পেট’ মানে বন্ধু, একটা সবসময়ের সঙ্গী। সেটা বাবা-মা বুঝতেই পারে না। বাবা বলে, সারাদিন কে দেখবে পুষ্যিকে? আমি আর মা অফিস যাই, তুই স্কুলে যাস। বাড়িতে একা একা ও থাকবে কী করে?
তাছাড়া আমরা যখন বেড়াতে যাই, কার কাছে থাকবে ও? মা বলেছে। তিতলির মন ভালো করার জন্যে বাবা পুরো শীতকাল ধরেই প্রতি রবিবার বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে। চিড়িয়াখানা, ইকো-পার্ক, ডিয়ার-পার্ক, নিক্কো-পার্ক, ওয়াটার-স্পোর্টস, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, বোটানিক্যাল গার্ডেন। রবীন্দ্র-সরোবরে পাখি। 
বাবা বলল একদিন, কী রে তিতলি, বাড়িতে ‘পেট’ থাকলে এত বেড়ানো হতো?
অমনি তিতলির মনখারাপটা ফিরে এল। আর যেমনটা হয়, মনখারাপ হলেই বারান্দায় চলে যায় তিতলি। আকাশটা আজ খুব নীল। বিকেল নেমেছে, এখনও সূর্য ডুবে যায়নি। একটা কমলা আলো পড়েছে নীল 
আকাশের গায়ে। 
একলা একলা বসেছিল বারান্দায়, আকাশের দিকে চোখ পড়ে গেল। একঝাঁক হাঁস উড়ে যাচ্ছে। কী সুন্দর! এগুলো কি পরিযায়ী পাখি?
সেদিন রবীন্দ্র-সরোবরে এমনই অনেক হাঁস, সারস নানারকম পাখি ছিল না? 
বাবা বলেছিল, এদের পরিযায়ী পাখি বলে। মাইগ্রেটরি বার্ড। অনেক দূরের দেশ থেকে উড়ে উড়ে আসে ওরা। গরম দেশে শীতের সময়টা কাটাতে আসে।
হিমালয়ের উত্তরদিক থেকে, বরফের পাহাড় পেরিয়ে আসে। কোনও পাখির দল আবার সমুদ্রের ওপর দিয়ে উড়ে আসে। শীতের শুরুতে আসে। শীতের শেষে আবার নিজের দেশে ফিরে যায়। 
বাবা বলছিল, একদিন তোকে সাঁতরাগাছির ঝিল দেখাতে নিয়ে যাব তিতলি। ওই ঝিলে  প্রচুর সাইবেরিয়ান প্রজাতির হাঁস আসে। রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে আসা 
হাঁস, বুঝলি?
রীতেনমামা সেদিন বলল, ট্রান্স-হিমালয়ান পাখিরা আসে মঙ্গোলিয়া, সাইবেরিয়া ও উত্তর-চীন থেকে।
যদিও ব্যাঙ্কে কাজ করে, আসলে রীতেনমামা একজন বার্ডার। পাখির ছবি তুলতে বা পাখি দেখতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের বলা হয় ‘বার্ডার’।  রবীন্দ্র সরোবরে পাখি দেখতে  গিয়ে রীতেনমামার সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। 
অনেক পাখি চিনিয়ে দিয়েছিল রীতেনমামা, ওই দেখ, ট্রান্স-হিমালয়ান বার্ড। গ্যাডওয়াল। ওদিকে দেখ, ওগুলো সাইবেরিয়ান প্রজাতির হাঁস। গ্রেল্যাগ গুজ। ওগুলো সাইবেরিয়ান ক্রেন। আর এইদিকে এগুলো বার-হেডেড হাঁস আর রুডি শেলডাক।
নানারকম পাখি চিনিয়ে দিয়েছিল রীতেনমামা। যেমন বাহারি নাম, তেমন বাহারি গায়ের রং। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মাইগ্রেটরি। 
বাবা দেখিয়েছিল ইন্ডিয়ান পিটা আর ব্ল্যাক-হুডেড পিটা। ছোট্ট, অপূর্ব সুন্দর এবং 
বিরল প্রজাতি। 
রবীন্দ্র-সরোবর, পাখি ও পাখিপ্রেমীদের স্বর্গ।
আকাশের দিকে তাকিয়ে পাখি চেনার চেষ্টা করছিল তিতলি। আজকাল প্রায়ই দলে দলে উড়ে যায় ওরা। হয়তো আগেও যেত, তিতলি খেয়াল করেনি। এক একটা দল এত উঁচুতে উড়ে যায়, কিচ্ছু চেনা যায় না। কোনও কোনও দলের ডানার শনশন শব্দ শোনা যায়। আবার একদল হয়তো গাঁক গাঁক শব্দ করে উড়ে গেল। আজকাল এই পরিযায়ী পাখি দেখা বেশ নেশা হয়েছে তিতলির। 
....
সেদিনও দুপুরে বারান্দায় বসেছিল। একঝাঁক বুনো হাঁস উড়ে যাচ্ছে। হঠাত্‍ একটা হাঁস দল ছেড়ে নীচে নেমে পড়ল। ফ্ল্যাটের সামনেই সারি দিয়ে রঙ্গন ফুলের গাছের ঝোপ। পাখিটা ঝোপের ওপর নেমে থরথর করে কাঁপতে লাগল। 
‘মা’ বলে জোরে ডেকে উঠেছে তিতলি। তারপরই মনে পড়েছে, মা তো অফিসে। বাড়িতে কেউ নেই। দরজা খুলে সোজা নীচে ছুটেছে। নীচে এসে দেখল, আরও একটা হাঁস নেমে এসেছে। সেটা ঝোপের ওপর বা মাটিতে বসেনি। অন্য হাঁসটার চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে। 
তিতলিকে ছুটে বেরতে দেখে সিকিউরিটি আঙ্কলও বেরিয়ে এসেছে। 
বলল, পাখিটা জখম হয়েছে। তাই বেচারি উড়তে পারছে না।
ওকে এখানে রাখা যাবে না, তিতলি বলল, রাস্তার কুকুর বেড়াল ওকে মেরে ফেলবে।
আমি সোসাইটির গার্ডেন ডিপার্টমেন্টকে ডেকে দিচ্ছি, ওরা এসে ব্যবস্থা করবে, 
আঙ্কল বলল। 
তিতলি বলল, তোমার ফোনটা একটু দেবে আঙ্কল। আমি বাবাকে কল করব?
বাবা বলল, রান্নাঘরের দিকের ব্যালকনিতে একটা ঝুড়ি আছে। তুই ওই ঝুড়িটা এনে পাখিটাকে তুলে দিতে বল সিকিউরিটি আঙ্কেলকে। ওকে ফোনটা দে, আমি বলে দিচ্ছি। আমি তো একটু পরেই লাঞ্চে বাড়ি আসব। তখন দেখছি কী করা যায়।
তাই করা হল। অন্য হাঁসটা প্রথমে তেড়ে এসেছিল, তারপর উড়ে গিয়ে একতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার রেলিংয়ে বসল। 
....
মজার ব্যাপার হল সন্ধেবেলায়। বাড়িতে ঢুকে হাঁসটাকে ছেড়ে দিয়েছিল তিতলি। উড়তে পারছিল না ও, টুকটুক করে হেঁটে ঘরের মধ্যে ঘুরতে লাগল। ঘর ছেড়ে বারান্দা, আবার এঘর-ওঘর। অন্য হাঁসটাও এসে তিতলির বারান্দাতে বসে রইল। 
সব্জির টুকরো, ফলের কুচি, ভুট্টার দানা, ভাত, মাছ সবই খেল পাখি দুটো। 
বাবা বলল, মনে হচ্ছে এরাও মাইগ্রেটরি বার্ড। কিন্তু দেখ, দুটো দু’রকম। কী নাম জানতে পারলে ভালো হতো। 
—রীতেনমামাকে ছবি পাঠাও না বাবা।
—ঠিক বলেছিস। রীতেনকে পাঠাই।
—রীতেন রায়গঞ্জ গেছে। কুলিক পাখিরালয়। সারা শীতকাল ও পাখি দেখে বেড়ায়। তবে, ছবি পাঠিয়ে দিই। আর ফেসবুকেও দিয়ে দেখি। কেউ বলতে পারে কি না।
ছবি পেয়ে রীতেনমামা উচ্ছ্বসিত। এ পাখি নাকি সচরাচর ভারতে আসে না। তুন্দ্রা বিন গুজ বা হাঁস। ভিডিও-কলে পাখি দেখতে চাইল।
....
একলা একটা তুন্দ্রা বিন গুজ। রাশিয়ান প্রজাতির হাঁস, তবে পাখিটা মূলত মঙ্গোলিয়ার। অন্য পাখির ঝাঁকের সঙ্গে কোনওভাবে চলে এসেছে এখানে। আসলে পথ হারিয়ে 
ফেলেছে ও। 
এই হাঁসের বৈশিষ্ট্য হল কালো ঠোঁট এবং ঠোঁটের মাঝে একটি কমলা দাগ। কালচে শরীর, যা বাকি হাঁসদের থেকে আলাদা। বাদামি ও ধূসর পালক, মাঝখানে কমলা ব্যান্ড। পালকের সরু সাদা ঝালর। কণ্ঠস্বর হল একটি উচ্চস্বরে হর্নিং, ছোট প্রজাতির মধ্যে উচ্চতর পিচ। খাদ্য জলাশয়ের উদ্ভিদ। 
অন্য হাঁসটার নাম ল্যাঞ্জা হাঁস। নর্দার্ন পিনটেল বা উত্তরের ল্যাঞ্জা হাঁস। এটাও সাইবেরিয়ার পাখি, বড় ঝাঁকে উড়ে আসে। হয়তো এদের দলেই কোনওভাবে এই একলা তুন্দ্রা বিন হাঁসটা চলে এসেছে। 
ফেসবুকেও সাড়া পড়ে গিয়েছে। কত যে পক্ষীপ্রেমী। সবাই চাইছেন, একবার এসে এই পাখি দেখতে। উত্তর সাইবেরিয়ার বাসিন্দা এই পাখি সাধারণত পরিযানে এই পথ নেয় না। ও বেচারি হারিয়ে গিয়েছে। 
সেই থেকে হারিয়ে যাওয়া বেচারা তুন্দ্রা বিন হাঁস দেখতে কত যে লোক আসছে। ল্যাঞ্জা হাঁসটাকে বনদপ্তর থেকে নিয়ে গিয়েছে, ঝিলে ছেড়ে দেবে। হ্যাঁ, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানতে পেরেই এসেছিলেন তাঁরা। তুন্দ্রা বিন গুজকেও নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, বিরল এই পাখি লেকের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠবে 
এবারের শীতে। 
কিন্তু ছোট্ট পাখিটা ডানা ঝাপটে উঠে এসেছে তিতলির কোলে। 
ওঁরা বললেন, ও এখানেই থাক বরং। একলা পাখি, একটা সঙ্গীও নেই ওর। এই ছোট্ট মেয়েটিকেই বন্ধু ভেবে নিয়েছে ও। ওর থাকার মতো পরিবেশ করে দিন আপনারা। জল, জলজ উদ্ভিদ, জলের পোকামাকড়।
বাবা একটা বড় চীনেমাটির গামলা এনে দিয়েছে। গামলার কাছে সবুজ গাছ। মূলত জলাশয়ের উদ্ভিদ। বিরল প্রজাতির পাখি যাতে নিশ্চিন্তে কয়েকটা দিন এখানে কাটাতে পারে, তার জন্য বনদপ্তর থেকেও নিয়মিত খাবার দিয়ে যায়। তবে তুন্দ্রা বিন তিতলির হাত থেকে ভাত খেতে সবচেয়ে ভালোবাসে। পাখি আর ছোট্ট মানুষের বন্ধুত্বের খবর বেশ সাড়া 
ফেলে দিয়েছে।  
পাশের বিল্ডিংয়ের সুদীপ আঙ্কল নিজের খবরের কাগজে এই খবর করেছেন, তিতলির সঙ্গে তুন্দ্রা বিন গুজের ছবি দিয়ে। টেলিভিশন চ্যানেল থেকেও এসেছিল, দুই বন্ধুর ছবি দেখিয়েছে নানা চ্যানেলে। 
আস্তে আস্তে হাঁসের ডানা সেরে গেল। একটু একটু উড়তে চেষ্টা করত। বারান্দার রেলিং অবধি উঠে, আবার টুক করে নেমে আসত। 
এমনি করে সারা শীতকাল কেটে গেল। আজকাল আবার দলে দলে হাঁস উড়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। এবার ওরা উল্টোদিকে উড়ে যাচ্ছে। পাখিদের ঝাঁক দেখলেই তুন্দ্রা বিন হাঁস চঞ্চল হয়ে উঠছে।
তিতলি নিজে নিজেই বুঝেছে, এবার বন্ধুকে ছেড়ে দিতে হবে।
তারপর একদিন একটা হাঁসের দল উড়ে যাবার সময় মজার কাণ্ড। ঝাঁক থেকে একটা হাঁস বারান্দায় নেমে এল। ওমা, এ তো সেই ল্যাঞ্জা হাঁস! যাত্রা করার আগে তুন্দ্রা বিন হাঁসকে ডাকতে এসেছে। এটি সেই ডাকে সাড়াও দিল। তুন্দ্রা বিন গুজ উড়ে একবার তিতলির কাঁধে বসল, তারপর দুটো হাঁস একসঙ্গে উড়ে গেল। দূরে হাঁসের দলটা যতক্ষণ দেখা গেল, চেয়ে রইল তিতলি। চোখে জল এসে গিয়েছে, তবু মনে মনে বলতে লাগল, যা পাখি, উড়ে যা। নিজের দেশে ফিরে যা। আর হারিয়ে যাস না যেন।
পথ ভুলে এসেছিল, আর হয়তো কোনওদিন আসবে না ওই ছোট্ট হাঁস। কিন্তু তিতলি রোজ গামলায় টলটলে ঠান্ডা জল ভরে রাখে। আজকাল অনেক পাখি শালিখ, চড়াই, বুলবুলি, পায়রা, কাক এসে বারান্দায় জল খায়। জলের মধ্যে স্নান করে। সেটা দেখেই খুশি ছোট্ট তিতলি। বাবা বলেছে, আমাদের তিতলির এখন এক আকাশ পাখি-বন্ধু। এক আকাশ পাখি। বন্ধুপাখি। শীতকালে আবার আসবে আকাশের পথ দিয়ে পরিযায়ী পাখির দল। আর মনখারাপ হয় না তিতলির।
08th  September, 2024
পরোপকারী
প্রদীপ আচার্য 

ঝিমধরা স্টেশনে এই লাস্ট ট্রেন থেকে নামল হাতেগোনা ক’জন প্যাসেঞ্জার। তারা ছুটল বাস আর অটো ধরার জন্য। বিভূতিবাবু গুছিয়ে বসলেন। একজন গায়ে পড়ে আলাপ করলেন বিভূতিবাবুর সঙ্গে। ‘আপনি যাবেন না? এরপর আর বাস, অটো কিছুই পাবেন না।’ বিভূতিবাবু বললেন, ‘আমার অফিসের জিপ আসবে।’  বিশদ

29th  September, 2024
চাঁদের মানচিত্র
উৎপল অধিকারী

চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। মানুষের কাছে চির কৌতূহলের বিষয় এই চাঁদ। কোথায় চাঁদের বুড়ি চরকা কাটে, তা জানার আগ্রহ ছোট থেকে বুড়ো সবার। চাঁদের মাটি বিশদ

29th  September, 2024
পশু-পাখিদের মজার রেস
কালীপদ চক্রবর্তী

চীনকালেও ছিল ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। জানা যায়, ৬৬৪ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে প্রাচীন গ্রিসে প্রথম ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা হয়েছিল। প্রাচীন ওলিম্পিক্সে এটি ছিল জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা। আজকাল একইভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পশু-পাখি নিয়ে অদ্ভুত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।  বিশদ

29th  September, 2024
হিংসা থামাল ফুটবল!

ফুটবলারদের আবেদনে থেমে গিয়েছিল আইভরি কোস্টের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। দু’দশক আগের সেই গল্প বললেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়। বিশদ

22nd  September, 2024
গল্পের চরিত্ররা
মানস সরকার 

দীপেশকাকুর পড়ার ঘরে ঢুকে টেবিলের পাশেই গুছিয়ে রাখা ব্যাগটা নজরে পড়ল মিলির। তার মানে কাকুর আবার কোথাও বেরিয়ে পড়ার প্ল্যান। টেবিলের উপর রাখা বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে সাত-আটটা খবরের কাগজ। রবিবারে এতগুলো করেই নেয় কাকু। বিশদ

22nd  September, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: পুজোর ঘরে  রঙিন জার

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

22nd  September, 2024
বুধ ও শুক্রের উপগ্রহ নেই কেন?

সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে ছ’টির উপগ্রহ রয়েছে। কেবলমাত্র ব্যতিক্রম বুধ ও শুক্র। এই দুই গ্রহের কেন উপগ্রহ নেই? কারণ খুঁজলেন স্বরূপ কুলভী।
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির উৎসব

বারাকপুর অম্বিকা বিমলা মডেল হাইস্কুল জেলার অন্যতম প্রাচীন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কেবলমাত্র বালকদের এই উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে বর্তমান ছাত্র সংখ্যা প্রায় এক হাজার তিনশো। আর শিক্ষক-শিক্ষিকা সংখ্যা প্রায় ৫০।
বিশদ

15th  September, 2024
হিমালয়ের রহস্য ইয়েতি

মালয় পর্বতমালা। যা দুর্গম, সেখানেই রহস্য, আর যেখানে রহস্য সেখানেই ভয়। আর যেখানে ভয় সেখানেই অজস্র কাহিনি। হিমালয় এবং নিজেদের জনজাতিকে জুড়ে নেপালের আনাচেকানাচে এমন অনেক গল্পকথা ভেসে বেড়ায় যার ইতিহাস কোথায়, সত্যতাই বা কী তার ইয়ত্তা মেলে না।
বিশদ

15th  September, 2024
হ্যাঙার অর্গানাইজার

শুরু হয়েছে নতুন বিভাগ ‘হরেকরকম হাতের কাজ’। ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় জিনিস কাজে লাগিয়ে কেমন করে সুন্দর ক্রাফ্ট তৈরি করা যায়, থাকছে তারই হদিশ। এবারের বিষয় হ্যাঙার অর্গানাইজার। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হচ্ছে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে।
বিশদ

08th  September, 2024
এলিয়েনদের জন্য পাঠানো উপহার

‘ভয়েজার টু’-এর মধ্যে রয়েছে একটি গোল্ডেন ডিস্ক। যেটি হাতে পেলে ভিনগ্রহীরা জানতে পারবে মানব সভ্যতার কথা। সেই গল্পই শোনালেন উৎপল অধিকারী
বিশদ

08th  September, 2024
শিক্ষক দিবসের শ্রদ্ধার্ঘ্য

আগামী বৃহস্পতিবার ‘শিক্ষক দিবস’। এই বিশেষ দিনে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শ্রদ্ধা জানালেন পূর্ব বর্ধমানের সড্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিশদ

01st  September, 2024
সৌরমণ্ডলের শীতলতম গ্রহ
স্বরূপ কুলভী

সূর্য থেকেই সৃষ্টি সৌরজগতের। আর এই সুবিশাল নক্ষত্রকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে পৃথিবী সহ আটটি গ্রহ। এছাড়াও রয়েছে বামনগ্রহ, ধূমকেতু, ধূলিকণা, উপগ্রহ, গ্রহাণু-আরও কত কী। সৌরমণ্ডলে গ্রহগুলির প্রকৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।   বুধ, শুক্র, পৃথিবী ও মঙ্গল হল পাথুরে গ্রহ। বিশদ

01st  September, 2024
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বাদুড় বোমা
সায়নদীপ ঘোষ

ভি-৩ কামান, ডামি প্যারাট্রুপার থেকে শুরু করে গোলিয়াথ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল হরেক রকমের অত্যাধুনিক অস্ত্র। এই যুদ্ধ যেন ছিল আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার এক অভিনব কারখানা। তবে প্রচলিত অস্ত্রের পাশাপাশি গোপন অস্ত্রের সংখ্যাটাও খুব একটা কম ছিল না। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হলো এক শিক্ষিকার। মৃত শিক্ষিকার নাম সুকন্যা সরকার (৪২)। বাড়ি বুনিয়াদপুর শহরের হাঁটপুকুর এলাকায়।  ...

আবাস যোজনার টাকা নিয়েও বাড়ি তৈরি করেননি উপভোক্তা—ইতিপূর্বে এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে। বিভিন্ন জেলায় খোঁজখবর করে জানা গিয়েছে, এই উপভোক্তাদের মধ্যে অনেকেই আর বাড়ি তৈরি করতে রাজি নন। অনেকে আবার বাড়ি তৈরির টাকা পেয়ে তা অন্য কাজে খরচ করে ...

বাংলার দুর্গাপুজোর পাশাপাশি গোটা দেশ দশদিন ধরে মাতবে উৎসবে। তার ফলে সামগ্রিকভাবে ভারতে খুচরো ব্যবসা হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার। সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করল ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। ...

মার্কিন ভিসার ক্রমবর্ধমান চাহিদা সামলাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল ইউএস মিশন। দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। এতে উপকৃত হবেন অসংখ্য মানুষ। পর্যটক, দক্ষ শ্রমিক ও পড়ুয়া মিলিয়ে অতিরিক্ত ২ লক্ষ ৫০ হাজার ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেয়াদি সঞ্চয় বা পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে ধনাগম যোগ দেখা যায়। কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও আর্থিক দিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব প্রাণী দিবস
১৩৩৭: (৭৫৮ হিজরী) খলিফা মনসুর বাগদাদের ভিত্তি স্থাপন করেন
১৫৩৫: ইংরেজি ভাষার প্রথম বাইবেল ছাপা সম্পন্ন হয়
১৬৬৯: হল্যান্ডের চিত্রশিল্পী রেমব্রান্টের মৃত্যু
১৮১৩: লর্ড ময়রার বাংলার গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন
১৮৩০: স্বাধীনতা ঘোষণা করল বেলজিয়াম
১৮৫৫: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে ও নেতৃত্বে বিধবা বিবাহ আইন প্রবর্তিত হয়
১৮৮৭: কলকাতায় এমারেল্ড থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯১১: সাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রথম লন্ডনের পাতাল রেলস্টেশন চালু হয়
১৯৩১: সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪৭: জার্মানির পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্স প্লাঙ্কের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৯ টাকা ৮৪.৮৩ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৪৭ টাকা ১১৩.০৪ টাকা
ইউরো ৯১.০৬ টাকা ৯৪.২৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৫/৩১। অশ্বিনী নক্ষত্র ৩২/৪৩ রাত্রি ৬/৩২। সূর্যোদয় ৫/৩২/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/১৮/১৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২০ মধ্যে পুনঃ ৭/৭ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৬ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৩ গতে ৯/৫৪ মধ্যে। 
১৭ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/১১। চিত্রা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে ও ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৪৩ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৩ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। 
৩০ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: ৫৮ রানে ভারতকে হারাল নিউজিল্যান্ড

10:51:00 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: ৭ রানে আউট শ্রেয়াঙ্কা, ভারত ১০২/৮ (১৮.৫), টার্গেট ১৬১

10:49:00 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: ৮ রানে আউট পূজা, ভারত ৯৪/৮ (১৭), টার্গেট ১৬১

10:41:00 PM

আগামী কাল মুম্বই মেট্রো লাইন ৩-এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:34:00 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: ১৩ রানে আউট দীপ্তি , ভারত ৮৮/৭ (১৪.৪), টার্গেট ১৬১

10:33:00 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: ৪ রানে আউট অরুন্ধতী, ভারত ৭৬/৬ (১২.৫), টার্গেট ১৬১

10:27:00 PM