Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

জানা অজানা: দূরদর্শী বঙ্কিম

আগামী বুধবার সাহিত্যসম্রাটের জন্মদিন। তিনি ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। কর্মজীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। তেমনই কয়েকটি মজার ঘটনা তুলে ধরলেন অরিন্দম ঘোষ।
 
সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন এক সুমহান সাহিত্যিক। কিন্তু তাঁর এই সাহিত্য ভাবনার বাইরেও তিনি বিভিন্ন দিক থেকে এক সমুজ্জ্বল  ব্যক্তিত্ব। জীবনের নানা ক্ষেত্রে তিনি তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন। ১৮৭৪ সালের কথা। 
ভারতবর্ষ তখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তখন বারাসত মহকুমার ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক। এক বর্ষাকালের ঘটনা। রহিমগঞ্জের এক ব্রাহ্মণ ভদ্রলোক হঠাৎ ছেলের অসুস্থতার খবর পেয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কলকাতার কলেজে তাঁর ছেলে পড়াশোনা করে। ভদ্রলোক কী করবেন স্থির  করতে না পেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে বসিরহাট থেকে কলকাতায় রওনা দিলেন। কিন্তু বিপদের উপর বিপদ। বারাসত পৌঁছনো মাত্রই সন্ধে ঘনিয়ে এল। তখনকার দিনে এখনকার মতো এত ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। ভদ্রলোক নিরুপায় হয়ে রাতটুকু কাটানোর জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে লাগলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক ব্রাহ্মণ বাড়িতে ঢুকে তিনি রাতটুকুর জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করলেন। খাওয়াদাওয়া শেষ হলে পাশের চণ্ডীমণ্ডপে সেই অতিথি ভদ্রলোকের রাতে শোওয়ার ব্যবস্থা হল। শোওয়ার পরও নানা দুশ্চিন্তায় কিছুতেই তাঁর ঘুম আসছিল না। ছেলের শারীরিক অসুস্থতার কথা চিন্তা করছিলেন তিনি। এরপর কী হবে, কবে আবার সুস্থ হয়ে উঠবে ছেলে— এইসব আর কী! এমন সময়ে তাঁর নজরে পড়ল পথচলতি একজন লোক খুব সন্তর্পণে সেই গৃহকর্তার বাড়িতে ঢুকে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর তিনি লক্ষ করলেন গৃহকর্তার বাড়িতে গোপনে যে লোকটা প্রবেশ করেছিলেন, তিনি মাথায় একটা বাক্স নিয়ে চণ্ডীমণ্ডপের পাশ দিয়ে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাচ্ছেন। কালবিলম্ব না করে অতিথি ব্রাহ্মণ ভদ্রলোক পলায়নরত সেই  ব্যক্তির উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তাঁকে জড়িয়ে ধরে ‘চোর , চোর’ বলে চিৎকার করতে লাগলেন। সেই চিৎকার শুনে গৃহকর্তা আলো নিয়ে ছুটে এলেন। আরও বেশ কয়েকজন লোক হাজির হয়ে গেলেন সেখানে। এত লোক জমায়েত হওয়ার পর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেই চোরও ধরা পড়ার ভয়ে সেই ব্রাহ্মণ ভদ্রলোককে জাপটে ধরে তারস্বরে ‘চোর , চোর’ বলে চিৎকার জুড়ে দিলেন।  উপস্থিত সকলে হতভম্ব। তাহলে প্রকৃত চোর কে?
বাধ্য হয়ে তাঁদের  দু’জনকেই পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হল। পুলিসের হেফাজতে আসার পরও আসল ও নকল চোরকে শনাক্ত করা গেল না। উল্টে দেখা গেল, ব্রাহ্মণ ভদ্রলোকের সঙ্গে যিনি অভিযুক্ত সেই ব্যক্তি পুলিস কনস্টেবল। তাঁদের আদালতে চালান করে দেওয়া হল। বিচারের ভার পড়ল সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপর। দু’জনের জবানবন্দি শুনে বঙ্কিমচন্দ্র পড়লেন মহাফাঁপরে। কিছুতেই তিনি নির্ধারণ করতে পারছিলেন না কে আসল চোর? বঙ্কিমচন্দ্র বাধ্য হয়েই সেদিনের মতো বিচার মুলতবি করলেন।
এইভাবে সপ্তাহ দুই চলে গেল। চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন বঙ্কিমচন্দ্র। সাহিত্য সাধনায় কিছুতেই মনোনিবেশ করতে পারছেন না। এদিকে আগামী কাল তাঁকে এতদিন ধরে স্থগিত হয়ে থাকা মামলার রায় ঘোষণা করতেই হবে। হঠাৎ তাঁর মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। গৃহভৃত্যের মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র ডেকে পাঠালেন তাঁরই বিশ্বস্ত এক আমলাকে। সাহিত্যানুরাগী হওয়ায় তিনি সাহিত্যসম্রাটের বেশ পছন্দের তালিকায় ছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্রের মনে পড়ে গেল যে, কোনও এক নাটকে তিনি সফলভাবে মৃতের ভূমিকায় অনেকক্ষণ ধরে অভিনয় করেছিলেন। আর সেই কৌশলকেই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজে লাগালেন বঙ্কিমচন্দ্র। সেই আমলা উপস্থিত হওয়ার পর তাঁকে সকালবেলায় আরও একবার আসার জন্য অনুরোধ করলেন তিনি। কথামতো সেই আমলা পরদিন সকালে হাজির হলে বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে কিছু নির্দেশ দিয়ে নিজের এজলাসে চলে গেলেন। সেদিন আদালত কক্ষ ভিড় উপচে পড়ছে। এমনকী অত্যন্ত কৌতূহলী হয়ে আলিপুর সদর আদালত থেকে কিছু উকিল ও আমলাও সেই মোকদ্দমা শোনার জন্য হাজির।
বিচার শুরু হল। এমন সময় এক পেয়াদা বঙ্কিমচন্দ্রকে এসে শশব্যস্ত হয়ে খবর দিলেন যে, বঙ্কিমের পরিচিত সেই আমলা খুন হয়েছেন বারাসত থেকে বসিরহাট যাওয়ার রাস্তায়। বঙ্কিম বিস্মিত হয়ে বললেন যে, তিনি তো সকালেই তাঁর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। সেই মৃতদেহ মর্গে পাঠানোর আগে তিনি নিজে একবার সেই মরদেহ পরখ করে দেখবেন বলে মনস্থির করলেন। পেয়াদাকে হুকুম দিলেন এই দুই অপরাধীকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে সেই লাশ তুলে আনার জন্য। কারণ ডোমদের পাঠালে অনেকটা সময় অপব্যয় হবে। বাধ্য হয়ে তাঁরা সেই মৃতদেহ আনতে পেয়াদার সঙ্গে রওনা হলেন। রোদের প্রখর তাপ। মৃতদেহ কাঁধে করে ফেরার সময় তাঁদের গলদঘর্ম অবস্থা। ব্রাহ্মণ ভদ্রলোক দুঃখ করে কেঁদে কেঁদে ঈশ্বরকে ডাকতে লাগলেন। আর কেউ কোথাও নেই দেখে সেই কনস্টেবল তাঁকে বললেন যে, বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি যেহেতু তাঁকে ছাড়েননি, তাই তিনি নিরপরাধ হওয়া সত্ত্বেও এখন উচিত শাস্তি ভোগ করছেন। আদালতকক্ষে মৃতদেহ পৌঁছে দিয়ে দু’জনেই মুক্তি পেতে চাইলেন ।
মৃতদেহ হঠাৎ নড়েচড়ে উঠল। সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াল। এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত সকলের চক্ষুস্থির। টানটান উত্তেজনার মধ্যে সেই মৃতদেহ সকলকে অবাক করে দিয়ে জানাল যে, বঙ্কিমচন্দ্রের নির্দেশ মতো এতক্ষণ তিনি মৃতদেহ সেজে রাস্তায় পড়েছিলেন। পথে আসার সময় দু’জনের বক্তব্যই তিনি শুনেছেন। আসল অপরাধী হলেন পুলিস কনস্টেবল। বঙ্কিমচন্দ্রর বিচারে নিরপরাধ ব্রাহ্মণ বেকসুর খালাস পেলেন, আর প্রকৃত দোষী পুলিশ কনস্টেবলের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হল।
আত্মীয়রা একবার বঙ্কিমচন্দ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। তিনি তখন মোমের আলোতে কাজ করছিলেন। তাঁরা এসেছেন দেখে সঙ্গে সঙ্গে তিনি মোমবাতি নিভিয়ে দিয়ে অন্য আর একটা মোমবাতি ধরালেন। এরপর আগত অভ্যাগতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শুরু করলেন। এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে অবাক দৃষ্টিতে সাহিত্য সম্রাটের দিকে তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। উপস্থিত একজন কৌতূহল নিরসনের জন্য বঙ্কিমচন্দ্রের কাছে জানতে চান যে, কেন তিনি আগের মোমবাতিটি নিভিয়ে দিলেন? এই প্রশ্ন শুনে বঙ্কিমচন্দ্র নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন যে , আগেরটি ছিল রাষ্ট্রের সম্পত্তি থেকে কেনা। যেহেতু তিনি এখন অতিথি-অভ্যাগতদের সঙ্গে গল্প করবেন, তাই সেই ব্যক্তিগত কাজের জন্য জনগণের দেওয়া করের টাকা থেকে একটা অংশও খরচ করতে রাজি নন। সেক্ষেত্রে কেউ দেখতে না পেলেও বঙ্কিমের বিশ্বাস এই অনৈতিক কাজের জন্য ঈশ্বরের কাছে তাঁকে জবাবদিহি করতে হতে পারে। তাই তিনি নিজের টাকায় কেনা মোমবাতি জ্বালিয়েছেন।
এই কথা শুনে তাঁরা স্তম্ভিত। আসলে তাঁরা এসেছিলেন আত্মীয়তার সূত্রে বিশেষ কোনও সুযোগ-সুবিধা আদায় করা যায় কি না, সেই বিষয়ে অনুরোধ করতে। কিন্তু সামান্য মোমবাতি নিয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বঙ্কিমচন্দ্রের এই সূক্ষ্ম বিচারবুদ্ধি ও বিবেচনা দেখে নিজেরাই তাঁরা সতর্ক হয়ে গিয়ে তাঁকে সেই অনৈতিক প্রস্তাব জানানোর সাহসই পেলেন না।
23rd  June, 2024
আশ্চর্য আন্দাজ
রিমি মুৎসুদ্দি

মেঘলা আকাশের মতো দেবলামাসির মনটাও আজ খুবই খারাপ। সকাল সকাল রান্না সেরে চারটি মুড়ি ঘুগনি দিয়ে জলখাবার খেয়েই মাসি কাগজ কলম নিয়ে গুছিয়ে বসেছে। বিশদ

23rd  June, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: গাছের ডালের টব

‘হরেকরকম হাতের কাজ’। ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় জিনিস কাজে লাগিয়ে কেমন করে সুন্দর ক্রাফ্ট তৈরি করা যায়, থাকবে তারই হদিশ। এবারের বিষয় গাছের ডালের টব। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হবে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।  বিশদ

23rd  June, 2024
সাহিত্য পাঠের আসর

গরমের ছুটি শেষ। অবশেষে খুলে গিয়েছে স্কুল। সামনেই দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা। জোরকদমে চলছে পড়াশোনা। তারমধ্যেই চলছে গল্প-উপন্যাস পড়া। কারও প্রিয় পাঠ্য বইয়ের গল্প। কেউ আবার পড়ার বইয়ের বাইরের গল্প-উপন্যাস ভালোবাসে। নিজেদের প্রিয় গল্প ও উপন্যাসের কথা জানাল আরামবাগের চাঁদুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

16th  June, 2024
রংবেরঙের পাখি
রুদ্রজিৎ পাল

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক পাখি চিরকালের মতো হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাও এখনও পৃথিবীতে যেসব পাখি আছে, তাদের রং, গলার স্বর আর স্বভাবের বৈচিত্র্য সীমাহীন। এরকম বহু মানুষ আছেন, যাঁরা সময় পেলেই ক্যামেরা আর বাইনোকুলার হাতে বেরিয়ে পড়েন। বিশদ

16th  June, 2024
ডাঙায় হেঁটে বেড়ানো মাছ!
স্বরূপ কুলভী

ডাঙ্গায় চরে রুই কাতলা জলের মাঝে চিল!’ কোনও কল্পনার ‘মজার দেশ’ নয়। এই পৃথিবীতেও এমন মাছ রয়েছে, যারা মাটিতে হাঁটতে পারে! তারা অবশ্য রুই-কাতলা নয়। বিশদ

16th  June, 2024
কেন ব্যাক পাসের নিয়ম বদল?

১৯৯২ সালে ডেনমার্কের ইউরো জয়কে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় অঘটন মানা হয়। সেবার তো টুর্নামেন্টে খেলারই কথা ছিল না ড্যানিশদের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বলকান যুদ্ধের জন্য যুগোস্লাভিয়ার অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিশদ

09th  June, 2024
কোকোনাট ক্যান্ডেলস

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

09th  June, 2024
মেরুপ্রভার খেলা

গত মে মাসে বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী ছিল আমেরিকা ও ইউরোপের মানুষ। এমনকী লাদাখের আকাশে দেখা গিয়েছিল মেরুজ্যোতির খেলা। 
এই আলোকচ্ছটার রহস্য উন্মোচন করলেন কল্যাণকুমার দে।
বিশদ

09th  June, 2024
রবীন্দ্রনাথের  পরিবেশ ভাবনা

জীবনশিল্পী রবীন্দ্রনাথ। যা কবির চোখে দেখেছেন, অনুভব করেছেন, ব্যবহারিক জীবনে মানুষের মাঝে তার বিকাশ দেখতে চেয়েছেন বারবার। তাতেই তাঁর আনন্দ, তাতেই তৃপ্তি। তা না হলে বর্ষামঙ্গল, হলকর্ষণ সবেতেই বৃক্ষরোপণকে উৎসবে আয়োজনে ভরিয়ে তোলার প্রয়োজনও বোধহয় ছিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
চাঁদ কি ছোট হচ্ছে!

মামার বাড়ি মানেই দেদার খেলাধুলো। মায়ের চোখরাঙানি থেকে একটু নিস্তার। তিতাস দু’দিন হল মামাবাড়ি এসেছে। পরীক্ষা শেষের পর। সকালে পাশের মাঠে একটু ফুটবল খেলে বাড়ি ঢুকতেই দিদা বলল, এই রোদে কেউ খেলে? আঁচল দিয়ে মুখটা মুছিয়ে বলল, দেখ তো, চাঁদপানা মুখটা রোদে কেমন ছোট হয়ে গিয়েছে।
বিশদ

02nd  June, 2024
ঠিকানা চাও, বলছি শোন...

কবি সুকুমার রায়ের ‘ঠিকানা’ কবিতা তোমরা নিশ্চয়ই পড়েছ। আদ্যানাথের মেসোকে খুঁজতে গিয়ে কতই না চক্কর কাটতে হয়েছিল জগমোহনকে! তবে শুধু কবিতা বা সাহিত্যে নয়, যুগ যুগ ধরে কারও বাড়ি, দপ্তর, দোকানের হদিশ পেতে এমনভাবেই নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছে সকলকে।
বিশদ

02nd  June, 2024
দুঃসাহসী কলম্বাস
অনির্বাণ রক্ষিত

আমেরিকা মহাদেশের আবিষ্কর্তার নামটি শুনলেই চোখের সামনে ফুটে ওঠে ভ্রমণপিপাসু সাহসী এক নাবিকের ছবি। যিনি চেয়েছিলেন সমুদ্রপথে পাড়ি দিয়ে নতুন নতুন দেশের খোঁজ করতে। আর সেই নেশাই তাঁকে প্রেরণা জুগিয়েছিল এক নতুন মহাদেশ আবিষ্কার করার। বিশদ

26th  May, 2024
আশ্চর্য গাছ
সায়নদীপ ঘোষ

দেখলে মনে হবে নীচের অংশ আকাশের দিকে। আর উপরের অংশ রয়েছে মাটির তলায়। মস্ত বড় কাণ্ড নিয়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে গাছটি। ডালপালা, পাতা নেই বললেই চলে। ঠিক যেন মরা গাছ। তোমরা হয়তো ভাবছ, এটা নিশ্চয়ই কোনও অলৌকিক সৃষ্টি। বিশদ

26th  May, 2024
ঝুলন্ত টব

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

26th  May, 2024
একনজরে
লোকসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর কোচবিহার জেলার পাশাপাশি দিনহাটাতেও ধস নেমেছে বিজেপি শিবিরে। কোচবিহার লোকসভা আসন শাসকদল তৃণমূল পুনরুদ্ধার করতেই জেলাজুড়ে গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল ...

নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবসর গ্রহণের দিন পেনশন পেমেন্ট অর্ডার (পিপিও) হাতেই পাচ্ছেন না অনেক কর্মী পিএফ (ইপিএফ) গ্রাহক। ফলে সময়ে চালু হচ্ছে না ...

দাপুটে জয়ে কোপা অভিযান শুরু করল উরুগুয়ে। সোমবার ভোরে গ্রুপ সি’র ম্যাচে পানামাকে ৩-১ গোলে হারাল তারা। সম্প্রতি দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন লুইস সুয়ারেজরা। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে আর্জেন্তিনা ও ব্রাজিলকে হারিয়েছে তারা। ...

রাজ্যে পালাবদলের পর ক্ষমতা হারিয়েছে সিপিএম। আগের মতো সেই দাপটও নেই। সিপিএম এখন সংগঠনের খরচ তুলতে পার্টি অফিস ভাড়া দিচ্ছে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়ে এক সময়ের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৩: ইংরেজ সাহিত্যিক জর্জ অরওয়েলের জন্ম
১৯২২: কবি ও ছড়াকার সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যু
১৯২৪: সঙ্গীত পরিচালক মদন মোহনের জন্ম
১৯৩১: রাজনীতিবিদ এবং ভারতের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের জন্ম
১৯৩২: ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সর্বপ্রথম টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু হয়
১৯৩৪: বিশিষ্ট সংবাদ পাঠক আবৃত্তিকার ও বাচিকশিল্পী দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬০: কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যু
১৯৭৪: অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের জন্ম
১৯৭৫: প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করলেন
১৯৮৩: কপিল দেবের অধিনায়কত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল ৪৩ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে
২০০৯: মার্কিন পপ সঙ্গীত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু
২০১৪: পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা ভেঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা তৈরি করা হয়।
২০২০: বাঙালি লেখক ও সাংবাদিক নিমাই ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৩৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪। চতুর্থী ৪৫/৩৫ রাত্রি ১১/১২। শ্রবণা নক্ষত্র ২৩/৩৮ দিবা ২/৩৩। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৪০, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৯/২৫ গতে ১২/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৯ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৫ গতে ৩/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৯/০ মধ্যে। 
১০ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪। চতুর্থী রাত্রি ১/২। শ্রবণা নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৪৪। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতেজ ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/১১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৮ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে। 
১৮ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: ফ্রান্স ১-পোল্যান্ড ১ (৯০ মিনিট)

11:41:03 PM

ইউরো কাপ: নেদারল্যান্ডস ২-অস্ট্রিয়া ৩ (৯০ মিনিট)

11:32:10 PM

ইউরো কাপ: ফ্রান্স ১-পোল্যান্ড ১ (৮৭ মিনিট)

11:23:10 PM

ইউরো কাপ: নেদারল্যান্ডস ২-অস্ট্রিয়া ৩ (৮০ মিনিট)

11:16:04 PM

ইউরো কাপ: নেদারল্যান্ডস ২-অস্ট্রিয়া ২ (৭৮ মিনিট)

11:12:54 PM

ইউরো কাপ: ফ্রান্স ১-পোল্যান্ড ০ (৬৮ মিনিট)

11:03:39 PM