Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। তাতে সংসদে প্রধান বিরোধী দল হলেও ‘বিরোধী দলের নেতা’র (লিডার অব দি অপোজিশন)’ পদ অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল কংগ্রেস। অন্যসব অবিজেপি দল জিতেছিল আরও কম আসন। বিজেপি এবং তার প্রাক-নির্বাচন ও অঘোষিত মিত্রদের (ওয়াইএসআরসিপি ও বিজেডি) সংখ্যা এবং হল্লার নীচে চাপা পড়ে যেত বিরোধীদের কণ্ঠস্বর। 
হারিয়ে গিয়েছিল সংখ্যার ভারসাম্যতা। তারপরেও সংসদের পবিত্র ঐতিহ্য বজায় রাখা উচিত ছিল। কীভাবে সেটা করা সম্ভব সেই দিকটি নিয়ে বিজেপি ভাবেনি। এমনটা যে ঘটে চলেছে, তা নিয়ে বিরোধী দলগুলি বারংবার অভিযোগও করেছে। তবু সংসদীয় ঐতিহ্য কোনোভাবেই পালিত হয়নি। অনেক নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের মতে, এর ফলে সংসদের দুটি কক্ষই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল।  
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সংসদের সেই মহান হৃত ঐতিহ্যের ফেরানোর দারুণ সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগটা সরকার এবং বিরোধী পক্ষ, উভয়েরই জন্য বটে। এটা নিছক গঠনগত দিকটা নিশ্চিত করেনি, এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের সৌন্দর্য-মাহাত্ম্য। ২৩৬টি আসন নিয়ে বিরোধী পক্ষ একটি মজবুত জায়গায় রয়েছে। সংসদ কক্ষে বাধাদান একটি বৈধ সংসদীয় হাতিয়ার এবং সেটা গণতন্ত্রেরই স্বার্থে—বিরোধীদের উচিত অরুণ জেটলির এমন তত্ত্বটিকে কবর দেওয়া। কারণ তত্ত্বটি নিছকই এক কল্পকাহিনি, বরং এর উল্টোটাই সত্যি।

উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি
কংগ্রেসের ২০২৪-এর ইস্তাহার ‘ন্যায়পত্র’ দিয়েই শুরু করতে পারত বিরোধীরা। এতে রয়েছে নীচের প্রতিশ্রুতিগুলি:
•আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে সংসদের দুটি কক্ষ 
প্রতি বছরে ১০০ দিনের জন্য বসবে। সংসদের অতীত দিনের প্রচলিত মহান ঐতিহ্যগুলিকে 
ফিরিয়ে আনা হবে, আর এগুলি পালিত হবে যথাযথ নিষ্ঠার সঙ্গেই। 
•আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, প্রতিটি কক্ষে সপ্তাহে একদিন করে বিরোধী পক্ষের প্রস্তাব মতো কোনও বিষয়ের উপর আলোচনা করা হবে। 
•আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে দুই কক্ষের প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের আর সম্পর্ক থাকবে না। তাঁরা সম্পূর্ণরূপে হবেন দল নিরপেক্ষ। ‘স্পিকার ডাজ নট স্পিক’ বলে বহু পুরনো যে প্রথাটি রয়েছে পালিত হবে সেটিও। 
‘ইন্ডিয়া’ ব্লক প্রতিশ্রুতিগুলি স্বাগত জানিয়ে, পূরণ করার ব্যাপারে দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করার কথাও ভাবতে পারে। 
সংসদের উভয় কক্ষের প্রতিটিতে ১০০ দিনের অধিবেশন, বিরোধীদের প্রস্তাবের উপর আলোচনার জন্য সপ্তাহে একটি দিন বরাদ্দ করা এবং সেখানে একজন নিরপেক্ষ প্রিসাইডিং অফিসারের প্রস্তাবে বিজেপির কোনও আপত্তি থাকতে পারে না। 

দলত্যাগ রোধের ব্যবস্থা
বিজেপি ৩৭০ এবং এনডিএ চারশোর বেশি আসনে জিতবে, এই ছিল প্রচার পর্বের লক্ষ্যমাত্রা। সেই জায়গায় বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২৪০। নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁরই সৌজন্যে বিজেপি এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছেন বলে মনে হচ্ছে। শাসক এটাই উদযাপন করতে চেয়েছিল, কিন্তু বিজেপির তৃণমূল স্তরের কর্মী-সমর্থকদের মন মেজাজ একদম ভালো ছিল না।  ‘সংখ্যালঘু’ তকমাটি বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষে হজম করার সত্যিই কঠিন। এই অসম্মানজনক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে তারা মরিয়া চেষ্টা চালাবেই। লক্ষ্য হিসেবে বিজপিকে প্রলুব্ধ করছে—ওয়াইএসআরসিপি (৪ সদস্য), আপ (৩), আরএলডি (২), জেডিএস (২), অগপ (১), এজেএসইউ (১), এইচএএম (১) এবং এসকেএম (১)। এমনকী, ১২ এমপির জেডিইউ দলটিও আপাতত নিরাপদ নয়। এই দলগুলির মধ্যে কয়েকটি আগের থেকেই এনডিএর শরিক। তবু তারা বিজেপিকে রুখতে পারবে বলে মনে হয় না। ভুলে যাবেন না, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার কী দশাই না করেছে মোদিজির পার্টি! সংবিধানের দশম তফসিলের ছিদ্রপথে এমন গহ্বর রয়েছে যে, ছোট দলের এমপিরা সেখানে একবার পড়ে গেলে ভোকাট্টা হয়ে যেতে পারেন! কংগ্রেসের এবারের ইস্তাহারে একটি মার্জিত ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে যেটি মানলে বিজেপির এই অগণতান্ত্রিক প্ল্যান ভেস্তে যাবে: 
•আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে সংবিধানের দশম তফসিল সংশোধন করা হবে। তার বলে দলত্যাগীর (অর্থাৎ, মূল যে দলের প্রতীকে তিনি বিধায়ক বা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন সেটি ছেড়ে বেরিয়ে গেলে) বিধানসভা বা সংসদের সদস্যপদ আপনা থেকেই বাতিল হয়ে যাবে।
দশম তফসিলে সংশোধন আনতে হবে বিরোধী পক্ষকেই। এই সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করলে সরকার পক্ষ ভোটারদের চোখে হীন হয়ে যাবে।

কর্মসংস্থানের উদ্যোগ
দেশের অর্থনীতির সামলানোর ব্যাপারেই বিজেপি সবচেয়ে দুর্বল। আর্থিক বিচক্ষণতা বা পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিরোধিতা কেউই করতে পারে না। সব ধরনের অর্থনৈতিক নীতির চূড়ান্ত লক্ষ্য হল—বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জিনিসপত্রের দাম সাধারণের সাধ্যের মধ্যে রেখে দেওয়া। কর্মসংস্থান এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রশ্নে কিছু করে দেখানোর জোড়া লক্ষ্যেই আবর্তিত হয় সবার অর্থনীতি। আর এই দু’দিকেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বিজেপি-এনডিএ এবং লোকসভা নির্বাচনে তারই মাশুল গুনতে হয়েছে তাদের। বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের কর্মধারা এবার বদলাবেন কি না তার আঁচ অবশ্য পাওয়া যাবে রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং বাজেটে। এদিকে কর্মসংস্থান বিষয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারে যেসব প্রস্তাব রয়েছে—কংগ্রেস এবং ‘ইন্ডিয়া’ ব্লককে সেগুলি তুলে ধরে অবশ্যই সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। ইস্তাহার থেকেই এজেন্ডা উদ্ধৃত করছি: 
•আমরা মনোপলি, ওলিগোপলি এবং ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের বিরোধিতা করব। 
•প্রতিটি উদ্যোক্তার যেসব বস্তুগত সংস্থান বা আর্থিক সুবিধা বা ব্যবসায়িক ছাড়ের সুযোগ পাওয়া উচিত, কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি সেসব নিয়ে কোনোরকম দাপট দেখাতে পারবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করব। 
•যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে, আমাদের অগ্রাধিকার প্রদানের নীতি থাকবে তাদের পক্ষে। 
•কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে অনুমোদিত ৩০ লক্ষের মতো শূন্যপদ তাদের দ্রুত পূরণ করতে হবে ...
•সরকারকে একটি নতুন ‘এমপ্লয়মেন্ট-লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিম’ (ইএলআই) চালু করতে হবে। স্থায়ী পদে অতিরিক্ত চাকরির ব্যবস্থার পুরস্কার হিসেবে ইএলআইয়ের মাধ্যমে কর্পোরেটদের করছাড়ের সুযোগ দেওয়া যাবে।
•নগর পরিকাঠামোর পুনর্গঠন ও পুনর্নবীকরণের কাজ ত্বরান্বিত করতে সেখানকার গরিব মানুষের জন্য কাজের গ্যারান্টি কর্মসূচি চালু করব।  
•গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির মাধ্যমে জলাশয় পুনরুদ্ধার এবং পতিত জমিকে আবাদিকরণের কর্মসূচি নেওয়া হবে। সেখানে কাজ পাবেন স্বল্প-শিক্ষিত এবং স্বল্প-দক্ষ যুবরা।   
বিরোধী দলগুলোকে এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন তারাও সরকারে রয়েছে। সুযোগগুলো তারাও কাজে লাগাবে এবং সরকারের সামনে স্থাপন করবে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। নতুন এবং শক্তিশালী এমন বিরোধীদের সামনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নীচে চলে যাওয়া বিজেপির প্রতিক্রিয়াটি কেমন হয়, সেটা এবার বেশ দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় হবে। 
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
24th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
একনজরে
রাজ্যে পালাবদলের পর ক্ষমতা হারিয়েছে সিপিএম। আগের মতো সেই দাপটও নেই। সিপিএম এখন সংগঠনের খরচ তুলতে পার্টি অফিস ভাড়া দিচ্ছে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়ে এক সময়ের ...

নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবসর গ্রহণের দিন পেনশন পেমেন্ট অর্ডার (পিপিও) হাতেই পাচ্ছেন না অনেক কর্মী পিএফ (ইপিএফ) গ্রাহক। ফলে সময়ে চালু হচ্ছে না ...

লোকসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর কোচবিহার জেলার পাশাপাশি দিনহাটাতেও ধস নেমেছে বিজেপি শিবিরে। কোচবিহার লোকসভা আসন শাসকদল তৃণমূল পুনরুদ্ধার করতেই জেলাজুড়ে গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল ...

দাপুটে জয়ে কোপা অভিযান শুরু করল উরুগুয়ে। সোমবার ভোরে গ্রুপ সি’র ম্যাচে পানামাকে ৩-১ গোলে হারাল তারা। সম্প্রতি দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন লুইস সুয়ারেজরা। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে আর্জেন্তিনা ও ব্রাজিলকে হারিয়েছে তারা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৩: ইংরেজ সাহিত্যিক জর্জ অরওয়েলের জন্ম
১৯২২: কবি ও ছড়াকার সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যু
১৯২৪: সঙ্গীত পরিচালক মদন মোহনের জন্ম
১৯৩১: রাজনীতিবিদ এবং ভারতের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের জন্ম
১৯৩২: ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সর্বপ্রথম টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু হয়
১৯৩৪: বিশিষ্ট সংবাদ পাঠক আবৃত্তিকার ও বাচিকশিল্পী দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬০: কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যু
১৯৭৪: অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের জন্ম
১৯৭৫: প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করলেন
১৯৮৩: কপিল দেবের অধিনায়কত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল ৪৩ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে
২০০৯: মার্কিন পপ সঙ্গীত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু
২০১৪: পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা ভেঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা তৈরি করা হয়।
২০২০: বাঙালি লেখক ও সাংবাদিক নিমাই ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৩৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪। চতুর্থী ৪৫/৩৫ রাত্রি ১১/১২। শ্রবণা নক্ষত্র ২৩/৩৮ দিবা ২/৩৩। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৪০, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৯/২৫ গতে ১২/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৯ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৫ গতে ৩/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৯/০ মধ্যে। 
১০ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪। চতুর্থী রাত্রি ১/২। শ্রবণা নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৪৪। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতেজ ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/১১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৮ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে। 
১৮ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: ফ্রান্স ১-পোল্যান্ড ১ (৯০ মিনিট)

11:41:03 PM

ইউরো কাপ: নেদারল্যান্ডস ২-অস্ট্রিয়া ৩ (৯০ মিনিট)

11:32:10 PM

ইউরো কাপ: ফ্রান্স ১-পোল্যান্ড ১ (৮৭ মিনিট)

11:23:10 PM

ইউরো কাপ: নেদারল্যান্ডস ২-অস্ট্রিয়া ৩ (৮০ মিনিট)

11:16:04 PM

ইউরো কাপ: নেদারল্যান্ডস ২-অস্ট্রিয়া ২ (৭৮ মিনিট)

11:12:54 PM

ইউরো কাপ: ফ্রান্স ১-পোল্যান্ড ০ (৬৮ মিনিট)

11:03:39 PM