Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই। মাঠের কাজ সেরেই ছুটবে সে পড়তে। মাকে বলত, একদিন আমার অনেক পয়সা হবে। অস্বাভাবিক ছিল না। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবচেয়ে মেধাবী, বুদ্ধিমান, আর পরিশ্রমী। বাড়ির লোকজনও জানত, এ ছেলে বড় হয়ে কিছু একটা হবে। কিন্তু কী হবে? ডাক্তার। ওটাই ছিল স্বপ্ন। কষ্ট করে হলেও বাবা তাকে পাঠিয়েছিল কোটায়। পড়তে। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে। আর কোটায় যাওয়ার এক বছরের মধ্যেই সেই মেধাবী ছেলেটি স্বাদ পেয়ে গিয়েছিল টাকার। প্রক্সি পরীক্ষার্থী। নাম অন্য কারও। কিন্তু কলম তার। একলপ্তে অনেকগুলো টাকা। আর তারপর? প্রশ্নপত্র ফাঁস। স্টেট ব্যাঙ্কের পরীক্ষা, জয়েন্ট এন্ট্রান্সে হাত পাকানোর পর নিট-ইউজি। তাকে গ্রেপ্তার করার পর উত্তরপ্রদেশের পুলিস বলেছে, এই ছেলেই নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাস্টারমাইন্ড। নাম? রবি অত্রি।
২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গিয়েছে এক লহমায়। বছরের পর বছরের রাতজাগা পরিশ্রম, নাওয়া খাওয়া ভুলে মক টেস্ট দিতে ছোটা, প্রত্যেকটা বিষয়ের খুঁটিনাটি বারবার ঝালিয়ে যাওয়া... লক্ষ্য ছিল তাঁদের একটাই—নিটে ভালো র‌্যাঙ্ক করতে হবে। তাহলে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। তা না হলে ডেন্টাল। যদি পৈতৃক সূত্রে অনেক সম্পদ ও সম্পত্তির সংস্থান থাকে, তাহলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। কারণ, প্রতি সেমেস্টারে অন্তত ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ করার ক্ষমতা সব বাবামায়ের থাকে না। তাই পরিশ্রম... অন্তহীন। যে বাড়ির ছেলেটা বা মেয়েটা নিটে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ক্লাস ইলেভেন থেকেই তার ছুট শুরু হয়ে যায়। আর সেটা হাড়ে হাড়ে বোঝেন তার বাবা-মা। নিত্য টেনশন, জলের মতো খরচ, আর অশান্তি—দৈনিক রুটিনে পরিণত হয় সেইসব মধ্যবিত্ত পরিবারে। তারপর এঁরা যদি দেখেন, স্রেফ টাকা খাইয়ে কেউ কেউ র‌্যাঙ্ক করে গেল এবং তাঁদের সন্তানরা ভালো প্রস্তুতি সত্ত্বেও আজ ট্র্যাকের বাইরে... মেনে নিতে পারবেন কি? না, পারেননি সেই অভিভাবকরা। পারেননি সেই পড়ুয়ারা। প্রার্থীরা। আর তাই কেন্দ্রীয় সরকার আজ স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে... হ্যাঁ, অনিয়ম হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস, টাকার বিনিময়ে নম্বর পাইয়ে দেওয়া, ভুয়ো পরীক্ষার্থী, গ্রেস নম্বর। এই সবের জন্য তাহলে ওই একজন দায়ী? রবি অত্রি? নাকি সে শুধুই একটা ঘুঁটি মাত্র? স্রেফ বলির পাঁঠা? একজনের পক্ষে সর্বভারতীয় এন্ট্রান্স পরীক্ষার পাত্রে লাগাতার ছিদ্র করে যাওয়া সম্ভব নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় চক্র। সিবিআইয়ের ভাষায় ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’। এত সহজে ধরা হয়তো পড়ত না। কিন্তু প্রশ্নটা তুলে দিয়েছেন ওই ৬৭ জন। তাঁরা ৭২০ পূর্ণমানের মধ্যে ৭২০ পেয়েছেন। ৬৭ সংখ্যাটা কি সত্যিই মেনে নেওয়ার মতো? আর এতজন ৭১৮ বা ৭১৯ পায় কীভাবে? আর ওই নম্বর পাওয়াটাও কীভাবে সম্ভব? কারণ, প্রত্যেক প্রশ্নে ৪ নম্বর করে রয়েছে। কেউ যদি একটি প্রশ্ন ছেড়ে আসেন, তাহলে বাকি সব ঠিক হলেও তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হবে ৭১৬। যদি একটি প্রশ্ন ভুল করেন, তাহলে এক নম্বর নেগেটিভ। সেক্ষেত্রে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হবে ৭১৫। অর্থাৎ, ৭১৬ এবং ৭২০’র মাঝে কোনও নম্বর পাওয়া সম্ভব নয়। তাহলে কি গ্রেস? কত নম্বর গ্রেস দেওয়া হয়েছে? কী ভিত্তিতে ১৫৬৩ জনকেই গ্রেস নম্বর দিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের মইতে তুলে দেওয়া হয়েছে? প্রশ্ন অনেক। আর তার উত্তর খুঁজতেই শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে আন্দোলন। কয়েকমাস আগে হলেও মোদি সরকার হয়তো এসবে গা করত না। নম্বর যে তখন তাদের কাছেও ছিল। আর নেই। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষামন্ত্রককে এই ইস্যুতে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করতে হয়েছে। তারা জানে, যুব সম্প্রদায় এবং মধ্যবিত্ত খেপলে সরকার বাঁচিয়ে রাখা মুশকিল হবে। আর তাদের সঙ্গে যদি শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ থাকে। 
মৌচাক যে একটা আছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। আর সেটা রয়েছে নিটের জন্মলগ্ন থেকেই। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিম্নবিত্ত থেকে বিলিওনেয়ার, সবার সন্তানেরই থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেই স্বপ্নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার মতো মেধা থাকে ক’জনের? এখানে যদি একটা পলিসি হয় যে, উচ্চ মাধ্যমিক বা সম পর্যায়ের দ্বাদশ উত্তীর্ণ যে কোনও বোর্ডের পরীক্ষায় মোটামুটি একটা নম্বর পেলেই ডাক্তারির এন্ট্রান্সে বসা যাবে? বাকিটা করে দেবে মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন এবং ‘বাইরে থেকে সমর্থন’। তাহলেই বহু পয়সাওলা ঘরের ছেলেমেয়ে মেধা না থাকলেও গলায় স্টেথো ঝুলিয়ে ঘুরতে পারবে। তাই যোগ্যতামান কত ধার্য হল? ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক বা আইএসসির মতো বোর্ড পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেই বসা যাবে নিট-ইউজি’তে। কিন্তু জয়েন্ট এন্ট্রান্স-মেইন পরীক্ষায় বসার জন্য যোগ্যতামান কত? ৭৫ শতাংশ। আইআইটি পড়তে গেলেও ৭৫ শতাংশের নীচে নম্বর থাকলে চলে না। তাহলে ডাক্তারির ক্ষেত্রে এই শিথিলতা কেন? সাধারণ জ্ঞান বলে, ডাক্তারি পড়তে হলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের থেকে মেধা কম কিছু লাগে না। বরং বেশি। তাহলে যোগ্যতামান এত কম কেন? যে ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ টপকাতে হিমশিম খেয়েছে, সে ভবিষ্যতে ভালো ডাক্তার হয়ে উঠতে পারবে কি? এই প্রশ্ন কেন নীতি নির্ধারকদের মনে আসবে না? 
কোথাও একটা শিল্প গড়ে উঠলে তার আশপাশে এবং তার সঙ্গে তালমেল রাখার জন্য গড়ে ওঠে বহু অনুসারী শিল্প। এরা মূল শিল্প বা কারখানাটির সহায়ক। কিন্তু অনুসারীরা কি মূল শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? শিক্ষার ক্ষেত্রে আজ সেটাই হয়তো হচ্ছে। কার্যত ব্যবসায় পরিণত হয়ে যাওয়া এই মৌলিক অধিকারকে এবং তার নীতি প্রণয়নকে নিয়ন্ত্রণ করছে, শিক্ষাক্ষেত্রে জড়িত এবং তার বাইরে থাকা কর্পোরেটদের একাংশ। মহামান্য ভারত সরকারও শুনে চলছে তাদের কথা। সেইমতো ভাঙাগড়া চলছে যোগ্যতামানে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে, যথেষ্ট মেধা না থাকা সত্ত্বেও পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে ফার্স্ট বেঞ্চে বসে পড়ছে কেউ কেউ। তার জন্য বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে যোগ্য প্রার্থীদের। তা সে ভিন রাজ্যেরই হোক না কেন! বাংলা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। প্রতি বছর এই রাজ্য থেকে চার হাজার ডাক্তার এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের অনেকেই কিন্তু অন্য রাজ্যের। নিটের নিয়ম অনুযায়ী, মোট আসনের মধ্যে রাজ্যের ৮৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী সুযোগ পাবেন। বাকি ১৫ শতাংশ সর্বভারতীয় কোটা। কিন্তু যে কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ক্লাসে গিয়ে দেখতে পারেন, ভিন রাজ্যের পড়ুয়ার হার ওই ১৫ শতাংশের অনেক বেশি। কীভাবে? বাইরে থেকে প্রার্থীরা আসছেন, ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জোগাড় করছেন, আর বসে পড়ছেন পরীক্ষায়। যোগ্যতামান ৫০ শতাংশ থাকলেই তো হল! রাজ্য সরকার তাঁর পিছনে ২৫-৩০ লক্ষ টাকা খরচ করছে। আর পাশ করার পর তাঁরা চলে যাচ্ছেন নিজের রাজ্যে। এতে একদিকে যেমন রাজ্যের মানুষ সেই ডাক্তারের পরিষেবা পাচ্ছে না, অন্যদিকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলার যোগ্য পড়ুয়ারা। এই নিয়মে বদল আনা কি একেবারেই অসম্ভব? অন্তত বোর্ডের দ্বাদশের পরীক্ষা ওই রাজ্য থেকে না দিলে নিটের জন্য ডোমিসাইল সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না—এই নিয়ম কার্যকর করাটা একান্তই প্রয়োজন। তাহলে একমাত্র আইনের ফাঁক গলে চলতে থাকা বৈষম্য ঘুচবে। 
উচ্চ মেধার ছেলেমেয়েরা ডাক্তারি পড়বে—এটাই স্বাভাবিক। কারণ, তাদের হাতে একজনের বাঁচা মরা নির্ভর করে। একজন রোগীর ভুল চিকিৎসা হলে ফল যে কত মারাত্মক হতে পারে, সেই উদাহরণ আমরা আকছার দেখে থাকি। এরপর কোন ভরসায় আমরা ডাক্তারের কাছে যাব? কী দেখব মরণাপন্ন কাছের মানুষটাকে একজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে? ডিগ্রি? কোটা? তারপরও কি ভরসা পাওয়া যাবে? চিকিৎসায় গাফিলতি কিংবা রেফার বাড়তে থাকলে তার দায় তখন কে নেবে? ভারত সরকার নেবে তো? তখন স্বীকার করবে তো... আমাদের ভুল নীতি এবং গা ছাড়া মনোভাবই সমাজকে এমন ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে? বছর বছর শুনে আসছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। তাহলে এত বড় দুর্নীতিটা তাঁর নজরে আসছে না? দেশজুড়ে বিক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটছে, মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্তে নেমেছে... তারপরও প্রধানমন্ত্রী একটিও বিবৃতি দেননি। তিনি হয়তো এখনও বুঝতে পারছেন না, তৃতীয় ইনিংসটা তাঁর আগের দুটোর মতো মসৃণ নয়। তার শুরুটা হয়ে গিয়েছে। ওই ৪ জুন। সেদিন ভোটের ফল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার অহঙ্কারকে মাটিতে নামিয়ে এনেছিল। ওইদিনই কিন্তু ফলপ্রকাশ হয়েছিল নিট-ইউজি’র। সমাপতন? নাকি পতনের সূচনা?
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
একনজরে
হাতে গড়া সোনা বা হিরের গয়নার কদর শুধু দেশীয় বাজারেই আটকে নেই। ভারতীয় কারিগরদের তৈরি গয়নার নামডাক বিশ্বজুড়েই। যাঁরা গয়না গড়েন, তাঁদের সিংহভাগই বাঙালি। কারিগরদের ...

নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবসর গ্রহণের দিন পেনশন পেমেন্ট অর্ডার (পিপিও) হাতেই পাচ্ছেন না অনেক কর্মী পিএফ (ইপিএফ) গ্রাহক। ফলে সময়ে চালু হচ্ছে না ...

লোকসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর কোচবিহার জেলার পাশাপাশি দিনহাটাতেও ধস নেমেছে বিজেপি শিবিরে। কোচবিহার লোকসভা আসন শাসকদল তৃণমূল পুনরুদ্ধার করতেই জেলাজুড়ে গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল ...

দক্ষিণ কলকাতার লর্ডস মোড়ের কাছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের জমি জবরদখল মুক্ত করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের পুরসভাগুলির কাজকর্ম নিয়ে ডাকা প্রশাসনিক বিশেষ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই জমির প্রসঙ্গ তোলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৩: ইংরেজ সাহিত্যিক জর্জ অরওয়েলের জন্ম
১৯২২: কবি ও ছড়াকার সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যু
১৯২৪: সঙ্গীত পরিচালক মদন মোহনের জন্ম
১৯৩১: রাজনীতিবিদ এবং ভারতের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের জন্ম
১৯৩২: ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সর্বপ্রথম টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু হয়
১৯৩৪: বিশিষ্ট সংবাদ পাঠক আবৃত্তিকার ও বাচিকশিল্পী দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬০: কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যু
১৯৭৪: অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের জন্ম
১৯৭৫: প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করলেন
১৯৮৩: কপিল দেবের অধিনায়কত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল ৪৩ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে
২০০৯: মার্কিন পপ সঙ্গীত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু
২০১৪: পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা ভেঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা তৈরি করা হয়।
২০২০: বাঙালি লেখক ও সাংবাদিক নিমাই ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৩৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৬ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪। চতুর্থী ৪৫/৩৫ রাত্রি ১১/১২। শ্রবণা নক্ষত্র ২৩/৩৮ দিবা ২/৩৩। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৪০, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৯/২৫ গতে ১২/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৯ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৫ গতে ৩/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৯/০ মধ্যে। 
১০ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪। চতুর্থী রাত্রি ১/২। শ্রবণা নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৪৪। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতেজ ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/১১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৮ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে। 
১৮ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: ফ্রান্স ১-পোল্যান্ড ১ (৯০ মিনিট)

11:41:03 PM

ইউরো কাপ: নেদারল্যান্ডস ২-অস্ট্রিয়া ৩ (৯০ মিনিট)

11:32:10 PM

ইউরো কাপ: ফ্রান্স ১-পোল্যান্ড ১ (৮৭ মিনিট)

11:23:10 PM

ইউরো কাপ: নেদারল্যান্ডস ২-অস্ট্রিয়া ৩ (৮০ মিনিট)

11:16:04 PM

ইউরো কাপ: নেদারল্যান্ডস ২-অস্ট্রিয়া ২ (৭৮ মিনিট)

11:12:54 PM

ইউরো কাপ: ফ্রান্স ১-পোল্যান্ড ০ (৬৮ মিনিট)

11:03:39 PM