Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের গল্প
অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। দোকানের ঝাঁপ পড়ে যায় সন্ধে হতে না হতেই। সেদিন অনির্বাণ গিয়েছিল চাল কিনতে বাজারে। মুদির দোকানের দরজায় তালা দিতে দিতে অমলদা বলেছিল ‘আজ আর হবে না। রাতে মুড়ি জল খেয়ে কাটিয়ে দিন।’ বলেই একটা অদ্ভুত হাসি হেসেছিল অমল। অনির্বাণ অমলের মুখ থেকে চোখ সরিয়ে নিয়েছিল। এমন কুৎসিত হাসি ও কখনও দেখেনি। ঠিক তখনই পকেটে রাখা মোবাইলে টিং করে আওয়াজ হয়েছিল। ও বুঝেছিল নোটিফিকেশন এসেছে। অনির্বাণ আর দাঁড়ায়নি। একটা সিগারেট ধরিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা লাগিয়েছিল। ফোনটা বের করে দেখেছিল ‘আদরের পিউ’ ফেসবুকে পোস্ট করেছে। ওদের নতুন বাড়ির ছবি। সামনে একচিলতে বাগান আছে। মনে খুশির ঢেউ খেলে গিয়েছিল অনির্বাণের। 
সরকারি হাসপাতালের কাজ করতে ওর খারাপ লাগে না। নিত্যনতুন কেস থেকে শেখা যায় অনেক। সমস্যা ওর এই কেষ্টনগর জায়গাটাকে নিয়ে। হাওড়ার ছেলে অনির্বাণের পেশা ডাক্তারি আর নেশা বলতে ছিল দিনে চারটে সিগারেট আর সাউথ কলকাতায় একটা ফ্ল্যাট। উইকেন্ডে বন্ধুদের সঙ্গে বারে রাতযাপন। কিছু ক্যাজুয়াল রিলেশন। টাইমমতো ভালো মনের ‘নট সো ক্যাজুয়াল’ একটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক এবং বিয়ে। ছেলেমেয়ে হলে কোনও নামী স্কুল এবং বিকেলে টেনিস কোচিং। মাসে একটা ছোট ট্যুর আর বছরে একটা বিদেশভ্রমণ মাস্ট। প্রতিবার ও যখন এই চাওয়া-পাওয়ার হিসেবগুলো মিলিয়ে নিতে চায়, ঠিক তখনই এই বিদেশ ভ্রমণের ভাবনায় অনির্বাণের হৃদয় ছ্যাঁৎ করে ওঠে। কবে যে এই এঁদো গ্রামটা থেকে বেরিয়ে বিদেশ যেতে পারবে! সাউথ কলকাতা পেরিয়ে অনির্বাণের স্বপ্ন এখন বিলেতের মসৃণ শহরতলিতে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। ওই যেখানে ‘আদরের পিউ’ থাকে। তার ডাক্তার বর আর এক ফুটফুটে সুন্দর বাচ্চাকে নিয়ে। 

ঝিমলির গল্প
এন্টারটেইনমেন্ট জার্নালিস্ট ঝিমলির প্রায় দশ বছর হয়ে গেল এই অফিসে। ঝিমলির প্রধান গুণ হল ও এক্সট্রোভার্ট এবং সেলেব্রিটি হ্যান্ডেলে পারদর্শী। কলকাতা থেকে মুম্বই যেখানেই খবর করতে যাক, নিতান্ত খালি হাতে ফেরে না ঝিমলি। একটা না একটা জবরদস্ত গসিপ সংগ্রহ করে আনবেই।
আজ লাঞ্চের পর তেমন কোনও কাজ ছিল না ঝিমলির। ডেস্কে বসে তাই নতুন কন্টেন্ট নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছিল ও। হালকা ঝিমুনিও আসছিল চোখে। ঝিমলি জানে অন্য মানুষের মন পড়তে পড়তে নিজের মনের গোপন ইচ্ছাগুলোকে ঘরবন্দি করে ফেলেছে সে। হতে চেয়েছিল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট। বিদেশি সিনেমায় যেমন দেখায়, ঠিক তেমনটা।
ঝিমুনি কাটাতে মোবাইলটা হাতে তুলে নিল ও। ‘আদরের পিউ’-এর প্রোফাইলে নতুন পোস্ট আপডেট হয়েছে। বরের জন্মদিনে পিউ রান্না করেছে। সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছে থালা। প্রায় পাঁচটা পদ একাই বানিয়েছে পিউ। ওর বর সেটা দেখে মুগ্ধ হয়েছে। সাজানো একটা সংসার পেতেছে পিউ সান্যাল লন্ডনের শহরতলিতে। দীর্ঘশ্বাস ফেলল ঝিমলি। এই তেত্রিশ বছর বয়সে ওর মনের গভীরে থাকা আরও একটা স্বপ্ন ভুরভুর করে বেরিয়ে আসতে চাইল। ঝিমলি একটা সংসারও চেয়েছিল। আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ে যেমন চায়। পছন্দের মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকা, লতানে গাছে সাজানো বারান্দা, বরের জন্য সপ্তাহান্তে মজার মজার রান্না করে তাকে চমকে দেওয়া কিংবা তারও আগে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে প্রি-ওয়েডিং। ফেসবুকে পিউ তো কখনও নিজের ছবি দেয় না। ওর বর পছন্দ করে না একদম। আদরের মানুষের আবদার তো আদরের মানুষেরাই রাখে! অথচ কী সুন্দর লেখে পিউ। তারপর সেটাকে সাজিয়ে দেয় ওদের উচ্চমধ্যবিত্ত জীবনের কিছু ছোট্ট আবশ্যক ছবি দিয়ে। এই আজ যেমন দিয়েছে— ভাতের থালা আর একটা ফুলদানির ছবি। আশপাশে এতসব মানুষের ভিড় ঠেলে একজন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ পাবে তো ঝিমলি এই জীবনে? ঝিমলির হঠাৎ খুব শীত করে। নভেম্বরের কলকাতায় তখন সন্ধ্যা নামছে। 

বিজয় আর প্রিয়াঙ্কার গল্প
আজ রবিবার। বিজয়ের ছুটি। নামী এক প্রাইভেট কোম্পানিতে কোয়ালিটি অ্যানালিস্টের ভূমিকায় কর্মরত বিজয়। শনিবারও মাঝে মাঝে অফিস যায় সে। সত্যি বলতে বাড়িতে থাকতে ওর ঠিক ভালো লাগে না আর। এই পঁয়তাল্লিশ বছরের জীবনে নতুন করে পাওয়ার কিছু নেই ওর। চব্বিশে চাকরিতে ঢুকেছিল, ছাব্বিশে ওভারসিজ প্রজেক্টে কাজ করতে তিন বছরের জন্য জার্মানিতে যায়। ফিরে আসে উনত্রিশে বাবার একটা ছোটখাট স্ট্রোক হওয়ার পরেই। মায়ের আবদার মেনে তিরিশে প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করে ঘরে আনে এবং ক্রমান্বয়ে তেত্রিশ আর পঁয়ত্রিশে দুই বাচ্চার বাবাও হয় সে। চল্লিশের আশপাশে বাবা-মা দু’জনেই চলে যান। আর বিজয়ও কেমন ঘরকুনো হয়ে পড়ে তারপর থেকেই। সারাদিন অফিস করে দিনের শেষে বন্ধুদের সঙ্গে একটু আড্ডা, এই এখন বিজয়ের গতে বাঁধা জীবনের এক্সেলশিট। গাড়ি-বাড়ি ইএমআই সবই এই পঁয়তাল্লিশেই হয়ে গিয়েছে ওর। নিজেকে আজকাল বুড়ো বুড়ো লাগে বিজয়ের। বালিশে মুখ গুঁজে ভাবে, প্রিয়াঙ্কা কি আর একটু অন্যরকম হতে পারত না? দশটা বছর ওরা কত আনন্দে কাটিয়েছিল। কীভাবে যে বছরগুলো কেটেছে বুঝতেই পারেনি। প্রিয়াঙ্কা ঘরকন্যায় পটু, রান্নার হাতও ভালো। সেইসব দেখেই বিজয়ের মা ওকে ঘরে তুলেছিল। কন্যাপক্ষের কোনও বক্তব্য ছিল না। প্রিয়াঙ্কার বাবা হাতজোড় করে বলেছিলেন ‘জামাই ইঞ্জিনিয়ার, বড় কোম্পানিতে চাকরি করে। আবার বিদেশ ফেরত! আর কী চাই আমাদের!’ 
প্রিয়াঙ্কা কিন্তু ফুলশয্যার রাতে ফিসফিস করে বিজয়ের কানে কানে বলেছিল ‘হ্যাঁ গো, বাবার কিছু চাই না কিন্তু আমাকে একটা জিনিস দেবে?’ বিজয় প্রিয়াঙ্কার চিবুক ধরে বলেছিল, ‘তুমি বললে এক্ষুনি নিয়ে আসব।’ প্রিয়াঙ্কা কেমন নেশা ধরানো রিনরিনে সুর টেনেছিল গলায় ‘জানো তো আমার বিদেশে থাকার খুব শখ। তুমি আবার যাবে বিদেশ? আমরা একসঙ্গে বেশ থাকব ওখানে। বছরে একবার দেশে আসব পুজোয়।’ তারপর দশ বছর পেরিয়েছে।
দুপুরে খাওয়ার পর সোফায় বসে প্রিয়াঙ্কা আলগোছে মোবাইল ঘাঁটছিল। ফেসঅ্যাপে স্ক্রল করতে গিয়ে ‘আদরের পিউ’-এর প্রোফাইলে চোখ আটকাল তার। ওর বর ওকে ফুল উপহার দিয়েছে। উপলক্ষ কিছু নেই। শুধু ‘ভালোবাসি’ সেটুকু জানাতে চেয়েছে মাত্র। পিউ লিখেছে ওর খুব ইচ্ছা করছিল আজ ঘরটাকে ফুল দিয়ে সাজাবে, ওর বর মনে হয় টেলিপ্যাথি জানে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তো এমনই হওয়া উচিত। প্রিয়াঙ্কার ঈর্ষা হয়। ওর বেশিরভাগ বন্ধু বরের সঙ্গে বিদেশে থাকে এখন। প্রিয়াঙ্কা তো কোনওদিনও বাড়ির কাজে এতটুকু ফাঁকি দেয়নি। শেষ বয়সে শ্বশুর-শাশুড়ির দায়িত্ব সামলেছে। ঘরকন্নায় ও বরাবর ডিস্টিংশন পেয়ে পাশ করেছে। কিন্তু ওকে এই পরিবারের কেউ একটুও বোঝেনি। শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আর দামি গিফট দিয়েই দায়িত্ব চুকিয়েছে বিজয়। সেই আঠাশ বছর বয়সে বিজয়ের থেকে একটা জিনিস চেয়েছিল। ওই একমাত্র শখ ছিল ওর। আর সেই কারণেই বিদেশফেরত ছেলের সম্বন্ধ আসাতে না করেনি সে। প্রিয়াঙ্কা চেয়েছিল, বিদেশের সবুজ শহরে তার একটা সংসার হবে। বিজয় সেটা হতে দেয়নি। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর আরও একবার আবদার করেছিল প্রিয়াঙ্কা। বরের বুকে মাথা রেখে বলেছিল, চল না বিদেশে সেটেল করি এবার। প্রিয়াঙ্কার মনে হয়েছিল, একটা বৃদ্ধ বটগাছের সঙ্গে কথা বলছে যেন। বিজয় তাচ্ছিল্যের ঘাড় নেড়েছিল, কলকাতা ছেড়ে এই বয়সে অন্য দেশ অসম্ভব।
বিজয় বিছানায় শুয়ে শুয়ে মাসতুতো দিদির সঙ্গে কথা বলছিল ফোনে। এদিক ওদিক কিছু সাংসারিক অদরকারি কথা বলে ফোন কেটে দিল। আজ ওর বন্ধুদের কেউই ধারেকাছে নেই। তাই ফাঁকা ফাঁকা লাগছে রোববারের বিকেলটা। ফেসবুকে ‘আদরের পিউ’-এর প্রোফাইল ঘাঁটছিল বিজয়। পিউকে ও অনেকবার মেসেজ করেছে, কোনও রিপ্লাই পায়নি। বিজয়ের মনে হয় এমন একটা বউ পেলে জীবনটাই বদলে যেত ওর। কী সুন্দর বরের মনের সব কথা সব বুঝে নেয় মেয়েটা। পিউ একবার লিখেছিল, ওর বড় দেশে ফিরতে ইচ্ছা করে। কিন্তু ও কোনওদিনও মুখ ফুটে বলেনি ওর বরকে, ও জানে ওর বর বিদেশেই থাকতে চায়। প্রিয়াঙ্কা যদি এমনভাবে ওকে বুঝতে পারত, ও যদি একটু বুঝত যে বিজয়ের আজকাল আর কিচ্ছু ইচ্ছা করে না। নতুন কিছু দেখলেই ও ভয় পায়, মনে হয় যেন একটা কোনও কম্পিটিশনের মাঝখানে গিয়ে পড়েছে। এই টানাপোড়েনহীন জীবনেই বাঁচা অভ্যাস করে নিয়েছে ও। শুধু মাঝে মাঝে প্রিয়াঙ্কাকে পিউ বলে ডাকতে ইচ্ছা করে খুব। আদর করতে ইচ্ছা করে ঠিক আগের মতো। 

পিউয়ের গল্প
‘আদরের পিউ’ প্রোফাইলের রিচ বাড়ছে হু হু করে। পিউয়ের লিখতে দারুণ লাগে। সংসারের গল্প, ওর বরের ভালোবাসা আর ছেলের দুষ্টুমির গল্প। বাংলা বানান ভুল হয় মাঝে মাঝে, কিন্তু ফেসঅ্যাপে ওর ভক্তরা বানান নিয়ে ভাবে না। ওর গল্প নিয়ে ভাবে। ভরপুর আনন্দ, ভালোবাসা, মন খারাপ নিয়ে কেবল ওর গল্প শুনতে চায়। বাকিদের অসাধারণ জীবনের ভাঙাচোরা অপূর্ণ গল্পগুলো মিশে যায় ওর নিখুঁত গল্পে এসে। ওর আজ পরিপূর্ণ জীবন। মাঝে মাঝে গজিয়ে ওঠা চোরা রাগ-অভিমান— সেসব আসলে খুনসুটি, সব সংসারেই হয়। সকাল সকাল স্নান করে বারন্দায় দাঁড়িয়ে চুল ঝাড়ে পিউ। চোখ বন্ধ করে গভীর শ্বাস নেয়। পরের সপ্তাহে ওর ডাক্তার 
বরটি ওকে স্কটল্যান্ডে বেড়াতে নিয়ে যাবে কথা দিয়েছে। পিউয়ের চোখের সামনে একের পর এক ভেসে ওঠে এডিনবার্গের পাথুরে রাস্তা, দুর্গ আর সবুজে ঘেরা আর্থার সিট। এইসব লিখতে হবে ওকে, লিখে যেতে হবে। ও যে এখন শুধু ডাক্তারবাবুর নয় দশ হাজার ফলোয়ারেরও আদরের—  অতি আদরের পিউ!  

আর যার গল্পটা বলা হল না
সাধনা দেবী ইজি চেয়ারে বসে কাঁপা কাঁপা হাতে মোবাইল তুলে ধরলেন চশমার সামনে। নাতি কীসব পাঠিয়েছে আবার। হতচ্ছাড়ি মেয়েটা আজও দেরি করছে। সাধনা দেবী চোখে ভালো দেখেন না। মেয়েটা এলে পড়ে দেবে। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে সুধন্য তো সাধনা দেবীর কাছেই মানুষ হয়েছে। যে সে মানুষ নয়, একেবারে লন্ডনে ডাক্তার হয়েছে। সাধনা দেবীর গর্বে বুকটা ভরে ওঠে।  
‘কীরে ছুঁড়ি এলি? দাঁড়া এ মাসে তোর টাকা কাটব। রোজ রোজ দেরি করলে চলবে না বলে দিলাম। আমার ওষুধের সময় হয়ে গেছে সেদিকে খেয়াল আছে?’ 
শালোয়ার পরা শ্যামলা মেয়েটা ময়লা ওড়নাটাকে চটপট চেয়ারে ছুড়ে দিয়ে ঘরে এসে ঢোকে। তাড়াতাড়ি ওষুধের বাক্সের কাছে গিয়ে ওষুধ জড়ো করতে থাকে। এবারের গরমে মেয়েটার ঘামাচি হয়েছিল, সেই ঘা এখনও সারেনি। চুলকায় সারাক্ষণ। মেয়েটা খেয়াল করে সাধনা দেবী ওদিকে বলে চলেছেন ‘নাতির এবার বিয়ে দেব। সে তো আর যেমন তেমন ছেলে নয়...’। পরক্ষণেই সব ভুলে চিৎকার করে ওঠেন ‘অ্যাই মেয়ে এদিকে এসে দেখ আমার নাতি কী লিখেছে এখানে, পড়ে দে দেখি।’ মেয়েটা শান্তভাবে এগিয়ে যায় সাধনা দেবীর দিকে। ওষুধগুলো দিয়ে মোবাইলটা তুলে নেয় হাতে। নাতি দিদাকে এডিনবার্গে ঘুরতে যাওয়ার ছবি পাঠিয়েছে। সঙ্গে দিদাকে লিখেছে এই পুজোয় বাড়ি আসবে, দিদার জন্য মনখারাপ করছে। দিদার চোখে জল। নাতিকে কবে দেখবে, আদৌ দেখতে পাবে কি না তা নিয়েই উথালপাথাল হৃদয় তাঁর এখন। প্রতিবারের মতো এবারেও মেয়েটা নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলে ওঠে ‘দিদা ছবিগুলো কী সুন্দর গো, আমি নেব?’ সাধনা দেবী তখন শ্যাওলা পড়া মনের ভেতর থেকে ঘষে ঘষে স্মৃতি বের করে আনছেন। অশান্ত মন নিয়ে তিনি খিঁচিয়ে ওঠেন, ‘যা ইচ্ছা কর। কাজের মেয়েটা আসেনি আজ... তা বাসনগুলো কি আমি মাজব? দাঁড়িয়ে আছে দেখ, যেন লাটসাহেবের বেটি।’ 
রাত ন’টা। আয়ার কাজ করে শ্যামলা ছোটখাট নেতিয়ে পড়া মেয়েটা বাড়ি ফিরছে। বাড়ি মানে ছোট্ট একটা ঘর আর একচিলতে বারান্দা। কালো বলে তো কেউ বিয়েই করল না ওকে। মাতাল বাপ সব টাকা উড়িয়ে দিল আর মরেও গেল তাড়াতাড়ি। মা তো আগেই গিয়েছিল। তাও কষ্টেসৃষ্টে স্থানীয় কলেজ থেকে ডিসটেন্সে গ্র্যাজুয়েশন করেছিল। তারপর আর কী! চাকরি জুটল না। আয়ার কাজ করে এখন বারো হাজার পায় মাসে। একার চলে যায়। পাড়ার মতিদার দোকান থেকে রুটি আর তরকারি নিয়ে বাড়ি এসে বিছানায় বসল ক্লান্ত মেয়েটা। রং ওঠা ব্যাগের ভিতর থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্ট ফোনটা বের করে ফেসঅ্যাপ খুলল। বিজয় সাহা মেসেজ করেছে আবার। ঝিমলি মিত্র বলে আর একজন মেসেজ করে ওর ইন্টারভিউ নিতে চেয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন মেসেজ করে জানতে চেয়েছে পিউ কেমন আছে। শ্যামলা মেয়েটা ঘরের নোনাধরা দেওয়াল আর কালচে হলুদ আলোটার দিকে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ।  তারপর হাসল। বহু যত্নে বানানো ‘আদরের পিউ’ প্রোফাইলে দিদার থেকে নেওয়া এডিনবার্গের ছবিটা আপলোডে বসিয়ে বারান্দায় এসে চোখ বন্ধ করে দাঁড়াল। ওই তো উইন্ডসরের অপূর্ব সিনারির কোলে ওদের ছোট্ট বাড়ি, ওই যে ওর বর ছেলেকে সাইকেল শেখাচ্ছে বাগানে আর হাত নাড়ছে। ছেলেটা আধো আধো ইংরেজিতে মাকে ডাকছে। তিনজনেই ওরা খুব হাসছে।
বারাকপুরের তস্যর তস্য গলিতে প্রায় ভেঙে পড়া বাড়ির দোতলায় দাঁড়িয়ে পিউ সাঁপুই স্ট্রিট লাইটের আলোয় তখন দু’হাত মেলে ধরেছে। চাঁদের আলোয় এক্ষুনি ও উড়তে শুরু করবে। বাংলার ঘরে ঘরে অপূর্ণ গল্পের মাঝে নতুন একটা গল্পের বীজ ছড়িয়ে পড়বে ওর সাদা ধবধবে দুই ডানা থেকে। যার গল্প কেউ কোনওদিন বলবে না সেই-ই সমস্ত গল্পের মধ্যমণি হয়ে উঠবে একদিন।
08th  December, 2024
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
গুপ্ত রাজধানী: সেন্ট জেমস চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

এই সময়টা খুব গরম পড়ে। আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই। প্রিন্টার্সের এই ঘরটা সারাক্ষণ উত্তপ্ত থাকে। এই কাজটাও করতে ভালো লাগে না জেমসের।  দরদর করে সে ঘামছে। কলকাতা নামক শহরটায় এত গরম কেন? এখান থেকে পালাতে পারলে ভালো হতো।  বিশদ

03rd  November, 2024
আজও রহস্য: বাজিরাওয়ের কেল্লা
সমুদ্র বসু

 

পুনের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান হল শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গ। যার সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মারাঠাদের নাম। সর্বোপরি এই কেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাজিরাও পেশোয়া। একসময় মারাঠাদের ঐতিহ্য ও অহংকার এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশদ

03rd  November, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
একনজরে
শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর সরাইহাট এলাকায় ট্রাক্টরের ট্রলি ভেঙে মৃত্যু হল একজনের। জখম হয়েছেন দুই শ্রমিক। মৃত শ্রমিকের নাম মঙ্গল হাঁসদা (৪০)। জখমদের নাম অনুরাগ পাহান, বাদল পাহান। ...

আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সিপিএমের ২৬তম কলকাতা জেলা সম্মেলন। চলবে সোমবার পর্যন্ত। ইতিমধ্যে সম্মেলনের রাজনৈতিক খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। সেই খসড়া সামনে রেখেই এগবে জেলা সম্মেলন। জেলা সম্পাদকের কলমে সেখানে কী কী বিষয় উঠে এসেছে? ...

ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস জমানার মন্ত্রীকে ডেকে পাঠাল ইডি। আবগারি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন মন্ত্রী কাওয়াসি লাখমর বিরুদ্ধে। শুক্রবার তাঁকে ডেকে পাঠায় রায়পুরের ইডি অফিস। ...

বক্সিং ডে টেস্টে দুই ইনিংসেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট ছুড়ে এসেছিলেন ঋষভ পন্থ। খামখেয়ালি শটের জন্য ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে নাকি ধমকও দেন কোচ গৌতম গম্ভীর। সেই ওষুধে কিছুটা হলেও যে কাজ হয়েছে, সিডনি টেস্টের প্রথম দিন ৯৮ বলে ৪০ রানের ইনিংসই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ব্রেইল দিবস
১৬৪৩ - ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, দার্শনিক ও উদ্ভাবক আইজ্যাক নিউটনের জন্ম
১৮০৯ – দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইলের জন্ম
১৮১৩ - শর্টহ্যান্ড লেখন পদ্ধতির উদ্ভাবক স্যার আইজাক পিটম্যানের জন্ম
১৮৬১ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক রচিত মেঘনাদবধ কাব্য মহাকাব্য প্রকাশিত হয়
১৮৭৭ - বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক টমাস আলভা এডিসন ফোনোগ্রাফ আবিষ্কার করেন
১৮৮৫ - প্রথম অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন হয়
১৯০৬ - কলকাতায় প্রিন্স অব ওয়েলস ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯২৫- অভিনেতা প্রদীপ কুমারের জন্ম
১৯২৭ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী উপন্যাসটি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়
১৯৩১- অভিনেত্রী নিরূপা রায়ের জন্ম
১৯৫৭ – সঙ্গীত শিল্পী গুরুদাস মানের জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির জন্ম
১৯৮৩ - বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের মৃত্যু
১৯৯৪- সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার রাহুল দেব বর্মনের মৃত্যু
২০০৪ - মঙ্গল গ্রহে নাসা প্রেরিত স্পিরিটের অবতরণ
২০০৯- রাজনীতিক সুধীররঞ্জন মজুমদারের মৃত্যু 
 ২০১০ - কেপলার-৪ নামের ১৬৩১ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র আবিষ্কার



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৬ টাকা ৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৩ টাকা ১০৮.২৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৫১ টাকা ৮৯.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী ৩৯/১০ রাত্রি ১০/২। শতভিষা নক্ষত্র ৩৭/৩৫ রাত্রি ৯/২৪। সূর্যোদয় ৬/২১/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/১/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/৫৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১/১ গতে ২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৪৮ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/১ গতে ২/২১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে পুনঃ ৪/৪২ গতে উদয়াবধি। 
১৯ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী রাত্রি ১০/৫৯। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৫২। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ ম঩ধ্যে ও ৭/৫১ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৩/৪০ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৬ গতে ২/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৫৪ গতে ৩/৪৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৪ মধ্যে ও ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/১ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে ও ৪/৪৪ গতে ৬/২৪ মধ্যে।
৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অতুল সুভাষ আত্মহত্যা কাণ্ড: অভিযুক্ত স্ত্রী, শ্যালক ও শাশুড়িকে জামিন দিল বেঙ্গালুরুর সিটি সিভিল কোর্ট

09:42:19 PM

ব্যস্ত সময়ে হাজরা মোড়ের কাছে গাছ ভেঙে বিপত্তি
হাজরায় গাছ ভেঙে পড়ে বিপত্তি। আজ, শনিবার রাত ন’টা নাগাদ ...বিশদ

12:23:48 AM

শহরে ফের গ্রেপ্তার বাংলাদেশি!
শহরে ফের পুলিসের জালে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি। আজ, শনিবার এন্টালি থানার ...বিশদ

11:53:51 PM

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’-এর তৃতীয় দিন
ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ...বিশদ

11:38:40 PM

প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল রানিগঞ্জে

10:31:00 PM

বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মামন শেখের লায়েকবাজারের বাড়িতে বোমা বাজির অভিযোগ

10:24:00 PM