Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। আজ অত্যন্ত বিরল হয়ে পড়লেও ফানুস ওড়ানোর এই শখে এককালে মজে ছিল শহর কলকাতা। পুরো একশো বছর ধরে এই ঐতিহ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে ধরে রেখেছে শহরের একটি পরিবার। 
সে কথায় পরে আসছি। তার আগে ফানুস নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। খুব প্রচলিত যে আকারের ফানুস দেখা যায়, সেটার গড়ন অনেকটা লম্বাটে লাউয়ের মতো। পাতলা কাগজ কেটে  নানা আকারের ফানুস তৈরি করা যায়। ফানুসের মূল আকার যাই হোক তার নীচের দিকে ঠিক জায়গা বুঝে ফাঁক রাখা হয়। সেই ফাঁকে কায়দা করে বেঁধে দেওয়া হয় কেরোসিন ভেজানো বল বা ‘নুটি’। সেই বলে আগুন ধরিয়ে দিলেই ফানুসের ভেতরটা গরম হাওয়ায় ভরে যায়। তারপর ‘হট এয়ার বেলুন’-এর নীতি মেনে ফানুস উঠে যায় আকাশে।
তবে ফানুসের এই স্বাধীন চলন অনেকটা পরের দিকের উদ্ভাবন। আগে ফানুসের সঙ্গে একটি সুতো বেঁধে তার নিয়ন্ত্রণ মানুষ নিজের হাতে রাখত। তবে তখন তার প্রচলিত নাম ছিল ‘রৌশন পুতলা’ বা আলোকোজ্জ্বল পুতুল।  এমন নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফানুসের উৎস ও বিবর্তনের গল্প।     
মেটিয়াবুরুজে ছোটা লখনউ স্থাপিত হওয়ার পরেই ফানুস ওড়ানোর শখ জাঁকিয়ে বসে শহরে। আবদুল হালিম লিখেছেন যে, এই ‘রইসি’ শখের উৎপত্তি দিল্লিতে। তিনি আন্দাজ করেছেন যে, এর উৎস হয়তো কার্তিক মাসে হিন্দুদের আকাশপ্রদীপ জ্বালার প্রাচীন প্রথার সঙ্গে যুক্ত। রাতের বেলা গোলাকার ফানুসের ভেতরে বেঁধে দেওয়া তেলে চোবানো কাপড়ের গোলা জ্বেলে দিলেই সেগুলি উড়ত আকাশে। আর শক্ত সুতো বেঁধে সেগুলি ওড়ানোর ফলে, ইচ্ছেমতো নামিয়ে নেওয়া যেত। একসময় প্রচলিত আকারের বাইরে খানিকটা বৈচিত্র্য নিয়ে আসার লক্ষ্যে কেউ কেউ  কাগজের মানুষ-পুতুল বানিয়ে ওড়াতে লাগলেন। অন্ধকার রাতের আকাশে উড়তে থাকা উজ্জ্বল পুতুলকে তারা বলতেন ‘রৌশন-পুতলা’। 
আজকাল দেওয়ালির আগে-পরে বাজারে যে সব চাইনিজ ‘স্কাই ল্যান্টার্ন’ পাওয়া যায়, তার সঙ্গে মিল আছে  হালিম বর্ণিত ফানুস ও রৌশন পুতলার। দু’টিই ওড়ানো হয় বা হতো রাতের বেলা। তাই নির্মাণে বৈচি঩ত্র্যে থাকত না। কিন্তু কলকাতার ফানুস ওড়ানো হয় দিনের আলো থাকতে। আর সেই জন্যই নানা রং ও বিচিত্র আকারের ফানুস তৈরি করা হয়। এই নির্মাণের মধ্যে সৃষ্টিশীল মানুষ রেখে যেতে পারেন শৈল্পিক ছোঁয়া। 
উনিশ শতকের স্বর্ণযুগ পার করেও কলকাতায় মানুষ শখ-শৌখিনতার পেছনে সময় ও অর্থ ব্যয় করার মতো মানসিকতা রাখতেন। আশাপূর্ণা দেবীর বাবা হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত ছিলেন গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের প্রথম বছরের ছাত্র। পেশায় ছিলেন কমার্শিয়াল আর্টিস্ট। তার নানা রকমের শখের মধ্যে ছিল কালীপুজোর আগে বাজি ও ফানুস বানানো। বাড়ির গিন্নি সহ গোটা পরিবার ফানুস বানানোয় মেতে উঠতেন।  ফানুস তৈরির নানা কাজে সকলে হাত লাগালেও ফানুসের নীচে যে নুটিতে আগুন ধরানো হয়, সেটি তৈরি ও জায়গা মতো স্থাপন করার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি নিজের হাতেই করতেন হরেন্দ্রনাথ।  আশাপূর্ণা দেবী নিজের স্মৃতিকথায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কাছাকাছি সময়ের কলকাতার এই নিটোল পারিবারিক ছবি এঁকে গিয়েছেন। এমন পারিবারিক ইতিহাস হয়তো বহু বাড়িতেই খোঁজ করলে পাওয়া যাবে। 
আসলে সময়টাই এমন ছিল। তখনও বাজার থেকে নগদের বিনিময়ে কেনার থেকে নিজের হাতে গড়া জিনিসের বেশি মূল্য দিত মানুষ। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কালীপুজোর প্রচলন না থাকলেও রীতিমতো বাজি আর ফানুস বানানো হতো। ফানুস তৈরির ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা যেত অবনীন্দ্রনাথের দৌহিত্র মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি ঘড়ি, হাতি, মানুষ, জেপলিন (এক ধরনের উড়োজাহাজ) ইত্যাদি নানা আকারের ফানুস বানাতেন।
জোড়াসাঁকোর ৫ নম্বর বাড়ি ছেড়ে অবনীন্দ্রনাথ সপরিবারে বরানগর গুপ্তনিবাসে উঠে আসার পরও বাড়ির দক্ষিণের বাগানের মাঝের শান বাঁধানো উঠোন থেকে প্রতি বছর ফানুস ওড়ানোর রীতি বজায় রেখেছিলেন মোহনলাল। ঘড়ি ফানুস তৈরি করলে তার কাঁটা দেখাত ঠিক চারটে। বাড়ির পুরনো ম্যাকাবি ঘড়িতে চারটে বাজার সংকেত কানে এলেই মোহনলাল গ্যাসে ঠাসা ফানুসটা দু’হাতে আসতে আসতে আকাশের দিকে তুলে নিয়ে টুক করে ছেড়ে দিতেন। ঘড়ি ফানুস এত নিখুঁত আর নিটোল হতো যে তর তর করে আকাশে উঠে যেত এবং উত্তরের বাতাসে ভর করে সামনের রেললাইন পেরিয়ে দক্ষিণেশ্বরের দিকে হারিয়ে যেত 
দৃষ্টি সীমানার বাইরে। মোহনলালের পর বাড়ির ছোটদের আনন্দ দেওয়ার 
জন্য ফানুস তৈরির সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেছিলেন অবনীন্দ্রনাথের পৌত্র সুমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর স্মৃতিকথায় খুব যত্ন করে লিখে গিয়েছেন ঠাকুরবাড়ির ফানুস চর্চার কথা।
অতি বিরল হলেও পারিবারিক ঐতিহ্য হিসাবে ফানুস বানানোর উত্তরাধিকার যত্ন করে বাঁচিয়ে রেখেছে উত্তর কলকাতার একটি প্রাচীন পরিবার। বিডন স্ট্রিটের ভোলানাথ ধামের কথা তাদের দুর্গাপুজোর সূত্রে অনেকেই জানেন। ১৯১৫ সালের স্ট্রিট ডিরেকটারির নতুন সংস্করণের তথ্য অনুযায়ী এই বাড়িটির আদি মালিক ছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের বাবা ভূপতিনাথ বিশ্বাস। আর্থিক কারণে ভূপতিবাবু বাড়িটি বিক্রি করে দেন সে সময়ের সফল কাগজ ব্যবসায়ী ভোলানাথ দত্তকে। এই বাড়ি থেকে ফানুস ওড়ানো শুরু হয় ১৯২৫ সালে। তারপর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এতগুলো বছর ধরে এই শহরে কালীপুজোর বিকেলগুলো রঙিন করার দায়িত্ব পালন করে এসেছেন ভোলানাথ ধামের দত্ত পরিবার। সেই হিসাবে এবছর তারা পালন করছেন তাঁদের এই পারিবারিক উৎসবের শতবর্ষ। এখন ফানুস তৈরির কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন অজয় দত্ত। প্রতি বছর দুর্গাপুজোর শেষেই তিনি ফানুস তৈরির কাজ শুরু করেন। সঙ্গে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। বাইরে থেকে কয়েকজন শিক্ষানবিশও যোগ দেন। প্রচলিত আকার ছাড়াও গোল, চৌকো, পুতুল সহ নানা আকারের ফানুস তৈরি হয়।  
প্রতি বছর কালীপুজোর দুপুর থেকেই উৎসাহীরা ভিড় করতে থাকেন ভোলানাথ ধামের উঠোনে। এবছরও তার অন্যথা হবে না। বরং শতবর্ষ বলে একটু বেশিই হবে মানুষের আনাগোনা। আর একের পর এক ফানুস উড়তে থাকবে আকাশে। মানিকতলা বাজারের সদ্য সংস্কার করা ঘড়ি গম্বুজের উপর দিয়ে ভাসতে থাকা ফানুসের ছবি নতুন প্রজন্মের কাছে হবে ঐতিহ্যের এক 
উজ্জ্বল উদ্ধার। 
27th  October, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
গুপ্ত রাজধানী: সেন্ট জেমস চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

এই সময়টা খুব গরম পড়ে। আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই। প্রিন্টার্সের এই ঘরটা সারাক্ষণ উত্তপ্ত থাকে। এই কাজটাও করতে ভালো লাগে না জেমসের।  দরদর করে সে ঘামছে। কলকাতা নামক শহরটায় এত গরম কেন? এখান থেকে পালাতে পারলে ভালো হতো।  বিশদ

03rd  November, 2024
আজও রহস্য: বাজিরাওয়ের কেল্লা
সমুদ্র বসু

 

পুনের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান হল শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গ। যার সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মারাঠাদের নাম। সর্বোপরি এই কেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাজিরাও পেশোয়া। একসময় মারাঠাদের ঐতিহ্য ও অহংকার এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশদ

03rd  November, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
একনজরে
এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হয়েছে প্রচুর টাকা। কিন্তু সেই নিকাশি নালা নির্মাণের কাজ চলছে অত্যন্ত ঢিমেতালে। ব্যস্ততম স্ট্যান্ডে জল জমে থাকছে। ফলে ...

রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির বাস্তব রূপায়ণ ঘটানো এবং সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া—সুনির্দিষ্ট এই বার্তাকে সামনে রেখে এবার একটি সম্মেলন করার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। ...

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি বিভাগের নতুন কর্মাধ্যক্ষ হলেন প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা (রনি)। শুক্রবার বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনের তিতুমীর কক্ষে বৈঠকের ...

বিহারের কিষানগঞ্জের সাইবার গ্যাংয়ের জালিয়াতির শিকার উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকরা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তারা কয়েক হাজার শ্রমিকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস
১৮৮৩: লেখক প্যারীচাঁদ মিত্রের মৃত্যু
১৮৯৭: লেখক নীরদচন্দ্র চৌধুরির জন্ম
১৯০৭: বিশিষ্ট বেতার সম্প্রচারক, গীতিকার, প্রযোজক ও নাট্য পরিচালক বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্যের জন্ম (বাণীকুমার) নামেই পরিচিত
১৯২২: রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়
১৯২৬: হিন্দু ধর্মগুরু, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ সত্য সাঁই বাবার, (পূর্বাশ্রমের নাম সত্যনারায়ণ রাজু) জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী গীতা দত্তর জন্ম
১৯৩৭: বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর মৃত্যু  
১৯৫০: লেখক,ইতিহাসবেত্তা ও ভারততত্ববিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯৬৪: ব্রিটেনে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক বেতার কেন্দ্র চালু হয়
১৯৮৭: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পনির্দেশক চিত্রনাট্যকার  রাজেন তরফদারের মৃত্যু 
১৯৯৭: ভারতে সরকারি সম্প্রচার সংস্থা প্রসার ভারতী গঠিত হয়।
২০০৩: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন দিকপাল ঐতিহাসিক দিলীপকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৬: বাংলা প্যারোডি গানের রচনাকার ও গায়ক মিন্টু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৩৫/৪৮ রাত্রি ৭/৫৮। মঘা নক্ষত্র ৩৩/৪০ রাত্রি ৭/২৭। সূর্যোদয় ৫/৫৮/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৭ গতে ৩/২০ মধ্যে। বারবেলা ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। 
৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১০/২৬। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ২/৪১ মধ্যে  ও ৩/২৩ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫০ গতে ২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৬ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৭/২১ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৬/১ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে একটি গ্রামে বোমাবাজি
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি। ...বিশদ

09:39:00 PM

আইএসএল: জামশেদপুরকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:36:00 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-জামশেদপুর ০ (৮৭ মিনিট)

09:15:00 PM

নাগপুরের বাড়িতে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ

09:13:00 PM

আমাদের লক্ষ্য দেশ নির্মাণ: প্রধানমন্ত্রী

09:12:00 PM

হিমাচল প্রদেশের কুলুতে তুষারপাত

09:08:00 PM