Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই শান্তিপুর থেকে দর্জিদের এনে বসালেন আলাদা পাড়ায়। এই দর্জিরা দেব পরিবারের সদস্যদের পোশাক তৈরি করতেন। এভাবেই উত্তর কলকাতার দর্জিপাড়া অঞ্চলের পত্তন হল।   
এই দর্জিদের মধ্যে মস্ত ওস্তাদদের দক্ষতা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তার হদিশ পাওয়া যায় বিখ্যাত শিল্পী পরিতোষ সেনের স্মৃতিকথায়। ছোটবেলায় তাঁরা থাকতেন ঢাকার জিন্দাবার লেন নামের গলিতে। প্রতিবেশীদের মধ্যে ছিলেন খিটেখিটে মেজাজের দর্জি হাফিজ মিয়াঁ। পরিতোষ লিখেছেন যে,  দীর্ঘকাল ভুগে হাফিজ দর্জির অস্থিচর্মসার দেহটি দেখে মনে হতো অবিকল যেন অনশনরত গান্ধার শৈলীর বুদ্ধমূর্তি। একদিন ঢাকার নবাব বাড়ির কোনও সদস্য গাড়িতে করে দোকানে হাজির। পশমী কাপড় দিয়ে গৌরকান্তি যুবকটি দর্জিকে তাঁর মাপের কোট বানিয়ে দিতে বললেন। উত্তরে মিয়াঁ অনুরোধ করলেন কাপড় রেখে যেতে আর তিনদিন বাদে ট্রায়ালের জন্য আসতে। কথা শুনে নবাবজাদা সেখানেই পড়ে যান আর কী! লোকটা মাপ নিল না, কিছু লিখল না, ট্রায়াল হবে কী রে! সেকথা দর্জিকে বলতেই প্রচণ্ড আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে আগের কথাই আরও একবার শুনিয়ে দিলেন হাফিজ। প্রবল সংশয় নিয়ে ঠিক তিনদিন পর আবার হাজির নবাবজাদা। এর মধ্যে হাফিজ কাপড় কেটে মোটামুটি তৈরি করে রেখেছেন কোট। নবাবজাদা আসতেই তাঁকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে আলতো করে পরিয়ে দিলেন সেই কোট। কিন্তু কী আশ্চর্য! প্রায় নিখুঁত কাটিং আর ফিটিং! কাঁবের পুট, আস্তিন, বগল সব ঠিক। শুধু পিঠে একটু ভাঁজ পড়েছে। সেখানে ক’টা আলপিন গেঁথে কোট খুলে নিল হাফিজ। নবাবজাদার চোখ ছানাবড়া। বেরনোর সময় তার মুখে একটাই কথা – কামাল কামাল! গজব গজব! দু’ঘণ্টার মধ্যে বাকি কাজ শেষ করে সুন্দর ভাঁজে ইস্ত্রি করা কোট পৌঁছে গেল নবাব বাড়ি। 
এদেশীয় ধনী শ্রেণির মতো ব্রিটিশ সাহেবরাও বাড়ির আর পাঁচজন গৃহসহায়কের মতো অষ্টাদশ শতক থেকেই মাস মাইনে দিয়ে দর্জি রাখতেন। ১৭৫৯ সালে তাদের মাইনে ছিল মাসে তিন টাকা। আঠেরো শতকের পর্যটক ফ্যানি পার্কস কলকাতায় তাঁর হয়ে কাজ করা দর্জিদের সম্পর্কে অনেক মজার খবর দিয়েছেন। তাঁর একদল গৃহসহায়কের মধ্যে একমাত্র দর্জি ছাড়া কেউই একবর্ণ ইংরেজি বলতে পারত না। দর্জির কাজের মান প্রায় ফরাসি কারিগরদের স্তরে মনে করেছিলেন মেমসাহেব। তবে একই সঙ্গে তার ছুরি কাঁচি থেকে টুকিটাকি জিনিসপত্রের হাত টানের  প্রসঙ্গও উল্লেখ করতে ভোলেননি মিসেস পার্কস। 
কোম্পানির আমল শেষে মহারানির রাজত্ব শুরু হওয়ার পর মেমসাহেবরা আরও বেশি করে ভারতে আসতে শুরু করলেন। ভারতীয় গৃহসহায়কদের নরমে-গরমে ‘মানুষ’ করার নিদান ঘোষিত হতে থাকল সেকালের সহায়ক গাইড বইগুলিতে। স্টিল ও গার্ডেনারের বইতে পরিষ্কার লেখা হল যে, ভারতীয় গৃহসহায়করা শিশুর মতো। তাদের মধ্যে কোনও কর্তব্য বোধ থাকে না। তাই তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বাড়ির কাজের যোগ্য করে তুলতে হয়। এই বইটিতে বাড়ির দর্জির কাজের পরিধি পরিষ্কার করে দিয়ে বলা হয়েছে যে, দর্জিদের নিজের মতো কাপড় কাটতে দেওয়া উচিত নয়। হয় গৃহকর্ত্রী নিজে কেটে দেবেন বা কাটার সময় দাঁড়িয়ে থেকে নির্দেশ দেবেন। কলকাতায় মাস মাইনে দিয়ে দর্জি রাখার প্রয়োজন নেই। তবে রাখতে হলে তার মাইনে হবে পনেরো টাকা। তার পরিবর্তে পুরো আট ঘণ্টার কাজ যেন গৃহকর্ত্রী বুঝে নেন। মালকিন যদি নিজের কোনও পুরনো পোশাকের মাপ থেকে নতুন পোশাক বানানোর কথা ভাবেন, তাহলে কোনও সাহেব ড্রেসমেকারের পরিবর্তে দেশি দর্জিকে সেই কাজ করতে দিলে কোনও অংশে কাজ খারাপ হবে না। বরং অনেকটা সাশ্রয় হবে।  
জামাকাপড় সেলাই ছাড়াও এই দর্জিরা সাহেবদের শিকার অভিযানের সঙ্গীও হতেন শল্যচিকিৎসক হিসেবে। এই পেশায় ওস্তাগর, মানে মুসলমান কারিগরদের সম্মানে একসময় কলকাতায় বেশ কয়েকটি রাস্তার নাম রাখা হয়েছিল। তার মধ্যে গুলু ওস্তাগর, মিয়াজান ওস্তাগর, বুধু ওস্তাগর, 
রহিম ওস্তাগরের নামের কয়েকটি রাস্তা আজও 
টিকে আছে।   
এদেশীয় দর্জিদের পাশাপাশি, কলকাতার শৈশবে  বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় পোশাক নির্মাতাও এই পেশায় পশার জমিয়েছিলেন। ১৭৯৩ সালের কলকাতার বৃত্তিজীবী পেশাদারদের তালিকায় পাওয়া যায় বারোজন ইউরোপীয় দর্জির নাম। কলকাতার মেয়র্স কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট অব বেঙ্গলের বিভিন্ন  সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলার নথি এবং সেই সময়ের বিজ্ঞাপনে চোখ বোলালে বোঝা যায় যে, সাহেবরা নিজেদের নবাবি জীবনশৈলীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে  জামাকাপড়ের পেছনে হাত খুলে খরচ করতেন। পুরো সেট পোশাকের জন্য পাঁচশো গিনি পর্যন্ত খরচ করতেন। সেই জন্যই হয়তো মার্টিন নামে জনৈক পোশাক প্রস্তুতকারক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে ভালো চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বছর দশেক দর্জির কাজ করে গিয়েছেন এ শহরে। আর ১৭৭৩ সালে দেশে ফেরার সময় দু’লক্ষ টাকার মতো সঞ্চয় করে ফেলার মধ্যে দিয়ে মার্টিন প্রমাণও করেছিলেন নিজের দূরদর্শিতা।
সাহেব টেলাররা কেমন পোশাক তৈরি করতেন, তার আন্দাজ পাওয়া যায় অ্যাটর্নি উইলিয়াম হিকির স্মৃতিকথায়। উকিল সাহেব লিখেছেন যে, এক বিশেষ উৎসবে পরার জন্য তিনি চুমকি বসানো সাদা সিল্কের লাইনিং দেওয়া সবুজ কোট বানিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল সাদা সিল্কের মানানসই নকশাদার ওয়েস্টকোট ও ব্রিচেস। এমন শৌখিন পোশাক ছাড়াও এখনকার গরমের জন্য দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার পোশাক পরিবর্তন করতে হতো সাহেবদের। সুতির কাপড় ছাড়াও বড়লোকেরা আইরিশ লিনেন ব্যবহার করতেন। এছাড়াও লন্ডনের সর্বশেষ ফ্যাশনের খবর রাখতেন কলকাতার অভিজাতরা। বিশেষ করে মহিলারা। ১৭৮৩ সালে গভর্নর জেনারেল হেস্টিংসের স্ত্রী সেই মরশুমের লন্ডনের টাটকা ফ্যাশনে সেজে কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিল ‘Chemise á la Reine’ নামের পোশাকটি।  সাহেব দর্জিদের এই রমরমা কলকাতার পাশ্চাত্য ঘেঁষা বাবুদের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয় ছিল। বিশেষ করে বাঙালি পরিবারগুলিতে যখন বিলেত যাওয়া শুরু হল। সমরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিলেত যাওয়ার কথা উঠলে সাহেব দর্জির থেকে পোশাক বানানোর কথা জানা যায় অবনীন্দ্রনাথের স্মৃতিকথায়।
তবে শহরের সব দর্জিই ধনীবাড়ির পোশাক তৈরির বরাত পেত না। তারা রং ও রিপুর কাজ করত। গত শতকের প্রথম দিকেও কলকাতায় গৃহস্থ পাড়াগুলিতে অতি পরিচিত ডাক ছিল— ‘রিপুকর্ম করাবে গো’।
মেয়েরা রেডিমেড পোশাক কিনলেও কয়েক দশক আগেও ছেলেদের পছন্দ ছিল দর্জির কাছে মাপ দিয়ে জামা-প্যান্ট তৈরি। তাই পুজোর আগে থেকেই পাড়ার দর্জির দোকানে ‘অর্ডার ক্লোজড’ বোর্ড ঝুলত। এখন সময় বদলেছে। তৈরি পোশাকের দিকেই ঝোঁক সবার। কলকাতার পোশাক তৈরির কেন্দ্র মেটিয়াবুরুজের দর্জিরাও মূলত রপ্তানি ও তৈরি পোশাকের কাজেই ব্যস্ত। পাড়ার দর্জিদের সেই রমরমাও আজ স্মৃতি। 
06th  October, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
গুপ্ত রাজধানী: সেন্ট জেমস চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

এই সময়টা খুব গরম পড়ে। আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই। প্রিন্টার্সের এই ঘরটা সারাক্ষণ উত্তপ্ত থাকে। এই কাজটাও করতে ভালো লাগে না জেমসের।  দরদর করে সে ঘামছে। কলকাতা নামক শহরটায় এত গরম কেন? এখান থেকে পালাতে পারলে ভালো হতো।  বিশদ

03rd  November, 2024
আজও রহস্য: বাজিরাওয়ের কেল্লা
সমুদ্র বসু

 

পুনের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান হল শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গ। যার সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মারাঠাদের নাম। সর্বোপরি এই কেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাজিরাও পেশোয়া। একসময় মারাঠাদের ঐতিহ্য ও অহংকার এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশদ

03rd  November, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
একনজরে
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি বিভাগের নতুন কর্মাধ্যক্ষ হলেন প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা (রনি)। শুক্রবার বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনের তিতুমীর কক্ষে বৈঠকের ...

রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির বাস্তব রূপায়ণ ঘটানো এবং সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া—সুনির্দিষ্ট এই বার্তাকে সামনে রেখে এবার একটি সম্মেলন করার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। ...

নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যেও এখনও হিংসার আগুন নেভেনি মণিপুরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও ৯০ কোম্পানি আধাসেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার রাতে এই খবর জানা গিয়েছে। ...

২৬/১১ মুম্বই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৬ জন। ২০০৮ সালের সেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর হুসেন রানা। পাকিস্তান-জাত কানাডার এই নাগরিক বর্তমানে আমেরিকার জেলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস
১৮৮৩: লেখক প্যারীচাঁদ মিত্রের মৃত্যু
১৮৯৭: লেখক নীরদচন্দ্র চৌধুরির জন্ম
১৯০৭: বিশিষ্ট বেতার সম্প্রচারক, গীতিকার, প্রযোজক ও নাট্য পরিচালক বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্যের জন্ম (বাণীকুমার) নামেই পরিচিত
১৯২২: রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়
১৯২৬: হিন্দু ধর্মগুরু, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ সত্য সাঁই বাবার, (পূর্বাশ্রমের নাম সত্যনারায়ণ রাজু) জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী গীতা দত্তর জন্ম
১৯৩৭: বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর মৃত্যু  
১৯৫০: লেখক,ইতিহাসবেত্তা ও ভারততত্ববিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯৬৪: ব্রিটেনে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক বেতার কেন্দ্র চালু হয়
১৯৮৭: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পনির্দেশক চিত্রনাট্যকার  রাজেন তরফদারের মৃত্যু 
১৯৯৭: ভারতে সরকারি সম্প্রচার সংস্থা প্রসার ভারতী গঠিত হয়।
২০০৩: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন দিকপাল ঐতিহাসিক দিলীপকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৬: বাংলা প্যারোডি গানের রচনাকার ও গায়ক মিন্টু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৩৫/৪৮ রাত্রি ৭/৫৮। মঘা নক্ষত্র ৩৩/৪০ রাত্রি ৭/২৭। সূর্যোদয় ৫/৫৮/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৭ গতে ৩/২০ মধ্যে। বারবেলা ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। 
৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১০/২৬। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ২/৪১ মধ্যে  ও ৩/২৩ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫০ গতে ২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৬ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৭/২১ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৬/১ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে একটি গ্রামে বোমাবাজি
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি। ...বিশদ

09:39:00 PM

আইএসএল: জামশেদপুরকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:36:00 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-জামশেদপুর ০ (৮৭ মিনিট)

09:15:00 PM

নাগপুরের বাড়িতে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ

09:13:00 PM

আমাদের লক্ষ্য দেশ নির্মাণ: প্রধানমন্ত্রী

09:12:00 PM

হিমাচল প্রদেশের কুলুতে তুষারপাত

09:08:00 PM