Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।     
‘বোকা বোকা কথা বোলো না তো! মানসিক সমস্যার কী দেখলে তুমি এতে?’
রূপসাও গম্ভীর হয়। বলে, ‘না জেনে আমি বলছি না। একে বলে ফোমো। এর পুরো কথা ফিয়ার অব মিসিং আউট। মানে এই যেটুকু সময় সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট চেক করনি, তোমার মনে চাপা টেনশন হচ্ছে, এর মধ্যে কী কী মিস করে ফেললে।’
অরণ্য চোখটা আধবোজা করে বসে থাকে মোবাইল ফোনটা হাতে নিয়েই।  
‘কী হল?’ জিজ্ঞাসা করল রূপসা।    
‘ভাবছি, তোমার এই নবলব্ধ জ্ঞানের সূত্রটা কী! যদি খুব বেশি ভুল না হয় আমার, তাহলে সম্ভবত সোশ্যাল মিডিয়া। দেখেছ তো! সোশ্যাল মিডিয়া থেকে টুকে তারই বিরুদ্ধে জ্ঞান ফলাচ্ছ।’
রূপসা বরাবরই কম কথার মানুষ। বিরক্ত হলে ঝগড়া করার পরিবর্তে চুপ করে যায়। এখনও তাই করল। বিছানা ছেড়ে উঠে বাথরুমে ঢুকল সে। সেদিকে একবার তাকিয়ে আবারও মোবাইলে মন দিল অরণ্য। মেসেজবক্স খুলতে প্রথমেই জ্বলজ্বল করছে মেসেজটা। ভুরুটা একটু কুঁচকে গেল অরণ্যর। মেসেজটা খুলে পড়ল সে। একবার, দু’বার, বেশ কয়েকবার। সেলুলয়েডের রিলের মতো একের পর এক আছড়ে পড়ল স্মৃতির ঢেউ।    
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির কাউন্সেলিংয়েই আলাপ হয়েছিল পলাশের সঙ্গে। চন্দননগরের কাছেই একটা গ্রামে বাড়ি। রোগা, ছিপছিপে, ফর্সা চেহারা। একমাথা কোঁকড়া চুল। চোখদুটো বড় বড়, উজ্জ্বল। দু’জনে একই কলেজ বেছেছিল। অরণ্য সিভিল, পলাশ কম্পিউটার। তারপর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চার-চারটে বছর কেটেছিল হস্টেলের ঘরে রুমমেট হয়ে। প্রথম পাওয়া স্বাধীনতা। কত গল্প, আড্ডা। অরণ্য যখন পুজোর ছুটিতে মামাবাড়ি গিয়ে মামাদের পাশের বাড়ির মেয়ে রূপসার প্রেমে পড়ল, সেই কথাও তো পলাশকেই বলেছিল প্রথমবার।   
‘প্রথম দেখাতেই প্রেম? গাছে না উঠতেই এক কাঁদি?’ হেসে বলেছিল পলাশ।  
‘প্রেম হলে ওরকম করেই হয়। দেখেই মনে হয়, দিস ইজ দ্য চোজেন ওয়ান, বুঝলি?’  
‘তা বলেছিস সে কথা?’
‘কাকে বলব?’ চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞাসা করল অরণ্য।
‘ওই মেয়েটাকে রে হাঁদা, রূপসা না কী নাম বললি!’  
‘কেমন করে বলব? সুযোগটা পেলাম কোথায়? পুজোর ক’টাদিন তো একগাদা বান্ধবী বগলদাবা করে ঘুরে বেড়াল দেখলাম। তবে মোবাইল নম্বর নিয়ে এসেছি বোনকে পটিয়ে।’
খেতে বসেছিল দু’জনে। নীচে খাওয়ার ঘর থেকে থালা দুটো বয়ে এনে নিজেদের ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে বসে খাওয়া আর আড্ডা, এভাবেই রাতের খাওয়া সারত দু’জনে। গল্পে গল্পে সময় বয়ে যেত। এঁটো থালা ও হাত শুকিয়ে খরখরে।   
‘ফোন কর।’ বলল পলাশ। 
‘এখন?’ খালিমুখে বিষম খেল অরণ্য।
‘কর কর। অত ভয়ের কী আছে?’      
তা করেছিল অরণ্য। এঁটো পাতে বসেই বাঁ হাতে মোবাইল ফোনের বোতাম টিপেছিল দুরুদুরু বুকে। অবাক হয়নি রূপসা। মেয়েরা পুরুষের দৃষ্টি পড়তে পারে। বিয়ের পরে বলেছিল, ‘পুজো প্যান্ডেলে অঞ্জলি দিতে গিয়ে যেভাবে ক্যাবলার মতো তাকিয়েছিলে আমার দিকে, তার পরেও বুঝতে বাকি থাকে কিছু?’ 
বিয়েতে পলাশ আসতে পারেনি। সেই সময়ে ও মার্কিন মুলুকে অনসাইটে। তবে উপহার পাঠিয়েছিল সেখান থেকেই। দু’জনের জন্য দামি ফরাসি সুগন্ধির সেট। রূপসার ভারী পছন্দ হয়েছিল সেই উপহার। বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখেও যেন সাধ মিটছিল না। জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘অনেক দাম না এগুলোর?’  
‘হুম।’   
‘যারা বিদেশে চাকরি করে, অনেক টাকা রোজগার করে তাই না গো?’   
চোয়াল শক্ত হয়েছিল অরণ্যর। বলেছিল, ‘হ্যাঁ, ডলারে কামাচ্ছে। ওই ক’টা টাকা ওর হাতের নস্যি।’
‘তোমাদের চাকরিতে বাইরে যাওয়া যায় না?’
‘যাবে না কেন? ইচ্ছে হলেই যায়। তা বলে আমি সরকারি চাকরি ছেড়ে, আমার নিজের শহর ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে যাবই বা কেন?’ একটু কঠিন কণ্ঠেই কথাগুলো বলেছিল অরণ্য। রূপসা বোকা মেয়ে নয়। বুঝেছিল, কথাগুলো পছন্দ করছে না তার স্বামী। চুপ করে গিয়েছিল তাই। 
।। দুই ।।
‘কী গো, এখনও বিছানা ছাড়নি?’ বাথরুম থেকে বেরিয়ে অরণ্যকে একই ভাবে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করল রূপসা। সকাল সকাল ভীষণ তাড়া থাকে দু’জনেরই। অরণ্যর অফিস, রূপসার বুটিক। বিট্টু সারাদিন থাকে আয়ার কাছে। রাতের আগে ছেলের সঙ্গ পাওয়ার উপায় নেই। আর সেই সময় যখন আসে, দু’জনেই হা-ক্লান্ত। সম্পর্কের আকাশে ধূসর মেঘ জমে।
‘কী হল?’ 
অরণ্য মুখ তুলে তাকাল। 
‘পলাশ...’
‘কী হয়েছে পলাশদার?’
নীরবে মাথা নিচু করে বসে রইল অরণ্য। রূপসা তার হাত থেকে মোবাইল ফোনটা নিল। মেসেজবক্সটা এখনও খোলা। সেদিকে চোখ বুলিয়ে মাথা তুলে তাকাল সে অরণ্যর দিকে। বলল, ‘এসব কী? তুমি যাবে?’  
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়াল অরণ্য। বলল, ‘যেতে তো হবেই। চার চারটে বছর এক ছাদের তলায় কাটিয়েছি।’  
‘আজই যাবে?’
উপর-নীচে মাথা নাড়ল অরণ্য।  
রূপসা বলল, ‘বেশ। আমি ব্রেকফাস্ট তৈরি করছি। আমিও যাব তোমার সঙ্গে। আর শোনো। তুমি ড্রাইভ কোরো না। গণেশদাকে ডেকে নিচ্ছি।’ 
  ।। তিন ।।
গাড়িতে উঠে অরণ্য পিছনের সিটে শরীরটা ছেড়ে দিল। অফিসটাইমের রাজপথ। সকলেই ছুটে চলেছে। একটু থামার, পেছন ফিরে তাকানোর সময় নেই। কে কত দ্রুত অন্যকে পেছনে ফেলে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে, তারই প্রতিযোগিতা চলছে। অন্যদিন অরণ্য-রূপসাও পথে নামে। ছুটতে থাকে দিনভর। ক্লান্ত বোধ করলে হাতে টেনে নেয় মোবাইল ফোন। সেখানে আরও অনেকের চলার প্রতিটি পদক্ষেপের খতিয়ান লেখা থাকে। ক্লান্তিটুকু মোবাইল ফোনের সঙ্গে পকেটে পুরে ফেলে সে। কে যেন কানের কাছে ফিসফিস করে অবিরত বলে চলে, ছুটতে থাক।      
দু’জনেই ছুটে চলে তাই। অরণ্য ছোটে অফিসের কাজ নিয়ে। অফিস পলিটিক্স, প্রোমোশন, প্রতিযোগিতা, ছুট ছুট ছুট। ছোটে রূপসাও। তার বুটিকের মালপত্র, বড়বাজার, কারিগর-দর্জি, কাস্টমার। মুখে মিষ্টি হাসি টেনে বলে চলা অনন্ত কথা। কথার পিঠে কথা সাজিয়ে সে বড়লোকের আদুরে মেয়ে-বউদের একটার জায়গায় তিনটে শাড়ি গছিয়ে দিতে পারে অনায়াসে। বলতে পারে, ‘উফ, এই ময়ূরকণ্ঠীটা দেখেছেন? এটা এক পিসই বানিয়েছিলাম। একদম এক্সক্লুসিভ। আপনার যা গায়ের রং, তাতে এটা আপনি ছাড়া আর কারও উপর মানাবে না।’   
‘এই কাঁথাস্টিচটা শান্তিনিকেতন থেকে আমাদের নিজস্ব কারিগর বানিয়ে পাঠিয়েছে। নিতে হবে না। এমনি দেখুন না। একটা শাড়ি বানাতে কত সময় লেগেছে গেজ করুন। ছয় মাস। জাস্ট হাতের কাজটা দেখুন।’    
বলতে বলতে গলা শুকোয় রূপসার। কথা জড়িয়ে আসে। মিথ্যের পর মিথ্যে গেঁথে পাহাড় গড়ে তোলে সে। তারপর তার তলায় বসে থাকে একা। একা, বৃষ্টির অপেক্ষায়। 
আজকের দিনটা অন্যরকম। অরণ্যর গাড়ি শহর ছেড়ে এখন হাইওয়ে ধরে চলছে। স্পিডের কাঁটা ক্রমশ উপরদিকে চড়ছে।
‘আমি ভাবতেই পারছি না জানো? পলাশের মতো একটা ব্রাইট ছেলে এভাবে...’, বলতে গিয়ে গলা বুজে আসে অরণ্যর। 
‘সত্যি তো! তোমার কাছে এত গল্প শুনেছি পলাশদার। ইন্ডিয়ায় ফিরে এসেছে জানতে তুমি?’  
‘বছর দুয়েক আগে দেখেছিলাম ফেসবুকে। তবে বেঙ্গালুরুতে ছিল বলে জানতাম। চন্দননগরের কথা জানা ছিল না। ওর সঙ্গে যোগাযোগটা কমে এসেছিল।’ চুপ করে থাকে রূপসা। ভেবে চলে। যোগাযোগ, কী অদ্ভুত একটা শব্দ। জীবন এগয় সুতোর পরে সুতো গিঁট বেয়ে। পথ পেরতে থাকে। পেছনের সুতোগুলো জীর্ণ হয়ে চলে। কিছু টেকে, কিছু যায় ছিঁড়ে। তারপর একদিন যখন সময় হয় পেছন ফেরার, দেখা যায় পড়ে আছে কিছু জড়ানোমড়ানো সুতোর কুণ্ডলী। আলাদা করে তাদের চেনার উপায় নেই।      
।। চার ।।
চন্দননগর শহরের বাইরে পলাশদের বাড়িটা অনেকটা জায়গা নিয়ে ছড়ানো। জায়গাটা পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পড়ে। পাশেই পুকুর। উঠোনে খেলছে দুটো শিশু। ধবধবে ফর্সা তাদের গায়ের রং, কটা চোখের মণি। এখানে এই পরিবেশে এমন দেবশিশুর মতো বাচ্চাদুটোকে দেখলে সকলেই অবাক হবে। কিন্তু অরণ্য হল না। পলাশ আমেরিকাতে থাকতেই বিয়ে করেছিল ওখানকার সহকর্মী এডিথকে। বিয়ের খবর সোশ্যাল মিডিয়াতেই পেয়েছিল। প্রথামাফিক অভিনন্দন জানাতেও ভোলেনি অরণ্য।      
রূপসা জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘কী গো? কিছু গিফ্ট পাঠাবে না ওদের? আমাদের বিয়েতে তো পলাশদা কত দামি পারফিউম দিয়েছিল।’    
‘এখান থেকে কী পাঠাব। পরে ওরা দেশে এলে দেখা যাবে।’ উত্তর দিয়েছিল অরণ্য।    
সময় আর আসেনি। যত দিন গেছে, সুতোটাও রোদে-জলে ক্ষয়েছে। আজ এ বাড়িতে পা রেখে মনে পড়ে গেল, কলেজজীবনে এখানে একবার এসেছিল অরণ্য। আদ্যন্ত শহুরে মানুষ সে। পল্লিজীবন তার চোখে মোহাঞ্জন বোলাতে পারেনি সেই সময়ে। পলাশ সম্ভবত বুঝেছিল সেটা। তাই আর কোনওদিন নিজের বাড়িতে আসতে জোর করেনি সে অরণ্যকে।   
আজ এসেছে, কুড়ি বছর পরে। পলাশ বাড়িতেই ছিল। বেরিয়ে এসে জড়িয়ে ধরল পুরনো বন্ধুকে।   
‘আমি জানতাম তুই আসবি। তবে আজই আসবি ভাবিনি।’  
এ কথা সে কথার পর অরণ্য জিজ্ঞাসা করল, ‘তুই সব জেনেও কেন ফিরে এলি পলাশ। ও দেশে কত ভালো চিকিৎসা, ভালো ভালো ডাক্তার আছেন। নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে রিসার্চ চলছে। এখানে কী আছে?’    
আবারও হাসল পলাশ। সেই আগের মতো উজ্জ্বল হাসি। কে বলবে, ওর চোখের দৃষ্টি মুছে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। এত কাছে দাঁড়িয়েও পুরনো বন্ধুর আবছা অবয়ব ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন। রোগটার নাম এর আগে শোনেনি অরণ্য। এখানে আসার আগে সার্চ ইঞ্জিনে বেশ কিছু লিংক খুলে পড়েছে। পলাশের ক্ষেত্রে ডাক্তার জানিয়েছেন, সার্জারির অবস্থায় আর থেমে নেই রোগটা। সাপোর্টিভ চিকিৎসার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তির ক্ষয় কিছুটা সময় ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করা যায়, তবে ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এডিথ বেরিয়ে এসেছে। গোলগাল, গিন্নিবান্নি চেহারার মেয়ে। রূপসার হাত ধরে ইংরেজিতে বলল, ‘চল আমরা ভেতরে বসি। ওরা বন্ধুরা কথা বলুক।’
মাথা নাড়ল রূপসা। কালো সিমেন্টের ঠান্ডা মেঝে। করোগেটেড টিনের ঢেউ খেলানো ছাদ। সুন্দর করে সাজানো ঘর। বৈভবের আধিক্য নেই, নেই যত্নের অভাবও।   
‘এখানে কষ্ট হচ্ছে না তোমার?’ জিজ্ঞাসা করল রূপসা।  
এডিথ একটু আনমনা হয়ে গেল প্রশ্নটা শুনে। বলল, ‘মিথ্যে বলব না। তা একটু হচ্ছে। আসলে অভ্যেস নেই তো। বিশেষ করে এখানকার আবহাওয়ায় শরীর মানিয়ে নিতে সময় নিচ্ছে।’
‘ও দেশে কত সুখ-সুবিধে। যাই বল, সব ছেড়ে এখানে এভাবে...’
এডিথ সুন্দর করে হাসল। বলল, ‘কী করতাম বল? আর কেউ না জানুক, আমি তো জানতাম ও নিজের গ্রামকে কতটা ভালোবাসে। রোগ ধরা পড়ার পরেই মনে হল, আর যদি নিজের দেশ, নিজের মাটি, চেনা আকাশটা দেখতে না পারে, তবে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম।’
‘অনুশোচনা হয় না তোমার?’  
‘অনুশোচনা?’ অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে এডিথ। বলে, ‘যখন রোগ ধরা পড়ল, ও বলেছিল, এডিথ, আমি তো অন্ধ হয়ে যাচ্ছি। তুমি নিজের জীবনটা আমার সঙ্গে জড়িও না। এখন মনে হয়, সেদিন যদি ওর কথা শুনতাম, তাহলে হতো। অনুশোচনা।’
‘আর এখন?’     
এডিথের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। বলল, ‘আমি তো কিছু হারাইনি। কিছু হারানোর ভয়ও নেই আর। যেদিন ওর দৃষ্টি পুরোপুরি চলে যাবে, সেদিনও শেষ মুহূর্তে ও আমাকেই সামনে দেখবে। এরপরেও আমার অনুশোচনা কেন হবে, বলতে পার?’   
একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে রূপসার 
বুক থেকে। 
।। পাঁচ ।।
আজ আকাশের মুখ ভার ছিল সারাটা দিন। এখন ঝোড়ো হাওয়া বইছে। উড়ে যাচ্ছে গুমোট অস্বস্তি। একটা আস্ত দিন পলাশদের বাড়িতে কাটিয়ে সন্ধের পর কলকাতার রাস্তা ধরল দু’জনে। পলাশ ও এডিথ ওদের বিদায় জানাতে এগিয়ে এল গেট অবধি। পলাশ বলল, ‘সময় করে আসিস মাঝেমাঝে।’
গাড়ির পেছনের সিটে বসে রূপসা একবার মাথা ঘুরিয়ে দেখতে পেল, অন্ধকারে ডুবে দাঁড়িয়ে আছে দু’জন নারী-পুরুষ। হাতে হাত তাদের।     
অনেকটা রাস্তা নীরব রইল দু’জনেই। তারপর অরণ্য বলে, ‘ওরা বাড়ির কাছেই একটা ফার্ম করছে। দুপুরে তুমি আর এডিথ যখন খাওয়াদাওয়ার পরে গল্প করছিলেন, তখন পলাশ ঘুরিয়ে দেখাল।’
‘শুনেছি এডিথের মুখে।’
‘সিজনাল, অরগ্যানিক শাক-সব্জি চাষ করছে। গোরু কিনেছে কয়েকটা। এডিথের ক’দিন এখানে ভালো লাগবে কে জানে!’
রূপসা জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকাল। বলল, ‘লাগবে।’  
‘কী?’
‘ভালো লাগবে এডিথের। কারণ ওকে আর জীবনের মুহূর্তগুলোকে হারানোর ভয় নিয়ে বাঁচতে হবে না।’
‘মানে?’
রূপসা মৃদু হাসল শুধু। উত্তর দিল না। জানলার বাইরে জোর বৃষ্টি নেমেছে। 
06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দাদি-পোতি মকবরা
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা বেশ মজার তাই না দাদি? আমাদের কেউ চিনবে না! বিশদ

29th  September, 2024
সিমলার ভৌতিক টানেল
সমুদ্র বসু

অন্ধকার একটা টানেল। স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা ধরা দেওয়াল। টানেলের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জল পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে কিছু ‘অন্য’ আওয়াজও কানে আসে। না, এটা কোনও ভৌতিক সিনেমার প্লট নয়। খোদ ভারতের বুকেই রয়েছে এমন একটি ‘ভূতুড়ে’ টানেল। বিশদ

29th  September, 2024
নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। বিশদ

22nd  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

22nd  September, 2024
অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’ ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator। বিশদ

22nd  September, 2024
রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হনুমান মহারাজজি
সমৃদ্ধ দত্ত

 

সেই গল্পটা তো আমাদের সকলেরই জানা। মহাশক্তিশালী ভীম হস্তিনাপুর যাওয়ার পথে একটি জঙ্গল পেরচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে তো একশো হাতির শক্তি। সেকথা সর্বজনবিদিত। দ্বিতীয় পাণ্ডব নিজেও সেকথা জানেন। সোজা কথায় তাঁর নিজের বাহুবল নিয়ে যে গর্ব ছিল একথাও অবগত আমরা।  বিশদ

01st  September, 2024
ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। বিশদ

25th  August, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
একনজরে
ইসলামাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়েই সীমান্ত পারের সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিয়ে পড়শি দেশকে বিঁধতে ...

ময়নাগুড়িতে এ বছর কৃষ্ণনগরের লক্ষ্মী প্রতিমার চাহিদা সব থেকে বেশি। স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি প্রতিমার থেকে কৃষ্ণনগরের ছাঁচের প্রতিমা বিক্রি করে দোকানিরাও খুশি। অপরদিকে, কৃষ্ণনগরের প্রতিমা ...

শনিবার আইএসএলের প্রথম পর্বের মহারণে মাঠে নামছে মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গল। এই ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হল ফিরতি ডার্বির দিন। ১১ জানুয়ারি ফের মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। শুধু ডার্বি নয়, বুধবার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করল এফএসডিএল। ...

জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। খুচরো বাজারে একধাপে অনেকটা বেড়েছে আনাজের দাম। পাশাপাশি রীতিমত আগুন দাম ফলেরও। বুধবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ট্রমা দিবস
বিশ্ব সাইক্লিং দিবস
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৭৭৪: সাধক বাউল লালন ফকিরের জন্ম
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯০৩: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৪৭: রাজনীতিবিদ বৃন্দা কারাতের জন্ম
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৬৫: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 
১৯৭৯: নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেটার মার্ক গিলেস্পির জন্ম
২০০৫: দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা ২৩/১৫, দিবা ৪/৫৬। রেবতী নক্ষত্র ২৬/৪৫ দিবা ৪/২০। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৫/১৯। রেবতী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৩৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ২/১৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
১৩ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইজরায়েলি সেনার হামলায় হত হামাস প্রধান ইয়াহা সিনওয়ার

12:45:16 AM

রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা ও ...বিশদ

12:09:02 AM

প্রয়াত অভিনেতা দেবরাজ রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

11:09:00 PM

বাবা সিদ্দিকিকে খুনের মামলা: অভিযুক্ত শিবকুমার গৌতম ও জীশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল মুম্বই পুলিস

10:30:12 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

10:19:00 PM

এনডিএ-র বৈঠক শেষে চণ্ডীগড় থেকে রওনা দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি

09:58:00 PM