Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’
ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator।
‘কৈলাস চৌধুরীর পাথর’ গল্পে আমাদের প্রথম পরিচয় হল ফেলুদার ভিজিটিং কার্ডের সঙ্গে। প্রদোষ মিত্তিরের মতো বহু পেশাদারের এই ভিটিজিং কার্ডই ছিল ব্রান্ডিং। তাই সাধারণভাবে আমরা ভিজিটিং কার্ড বললেও সেটা আসলে বিজনেস কার্ড। 
ভিজিটিং কার্ডের শুরুটা হয় একটু অন্যভাবে, আঠারো-উনিশ শতকের ইউরোপে। আর সেই প্রথা রীতিমতো জাঁকিয়ে বসেছিল ঔপনিবেশিক ভারতে। কারওর বাড়ির কড়া নেড়ে গৃহকর্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ার কথাও ভাবা যেত না ভিক্টোরিয়ার যুগে। আর তাই নিজের আগমন ঘোষণা করার জন্য কার্ড দেওয়ার বাধ্যতামূলক প্রথা থেকে এই কার্ডকে ‘কলিং কার্ড’-ও বলা হতো।  
কোনও নতুন জায়গা একজন নবাগতকে কতটা গ্রহণ করল, সেটা বোঝা যেত এই কার্ডের দেওয়া নেওয়ার সূক্ষ্ম সামাজিকতায়। ফর্মাল পোশাক পরে একগুচ্ছ ভিজিটিং কার্ড নিয়ে বিভিন্ন বাংলোয় দেখা দিতেন নতুন আগন্তুকরা। বাড়ির মহিলাটি গাড়িতে বসে থাকতেন। আর তাঁর স্বামী স্ত্রীর কার্ড নিয়ে দিয়ে আসতেন। গৃহ সহায়ক খুব গম্ভীরভাবে কার্ডটি গ্রহণ করতেন। বাড়িতে একাধিক মহিলা থাকলে প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে কার্ড দেওয়ার প্রথা ছিল। কার্ডটি গৃহকর্ত্রীর কাছে পৌঁছলে তিনি সিদ্ধান্ত নিতেন যে, অতিথিদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না। তবে সাধারণ প্রথা ছিল প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া যে, মালকিন বাড়ি নেই— ‘নট অ্যাট হোম’। প্রথম দিকে কার্ড হাতে পাওয়ার পর পরিবর্তে অতিথিদের হাতেও তুলে দেওয়া হতো কার্ড। যার মাধ্যমে ইঙ্গিত দেওয়া যে, এই আলাপ পরিচয়ের পর্ব চালিয়ে যেতে গৃহকর্ত্রীর আপত্তি নেই। তবে সেই রিটার্ন কার্ড না দেওয়া হলে বা খামের মধ্যে দেওয়া হলে খুব সূক্ষ্মভাবে উল্টোটা বোঝানো হতো। পরবর্তী সময়ে রিটার্ন কার্ড দেওয়ার প্রথা উঠে গিয়ে নবাগতদের ডিনার বা চায়ের নিমন্ত্রণ করা হতো।
উনিশ শতকের কার্ড দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে খুব কৌতূহলব্যঞ্জক দিক ছিল কার্ডের কোনা ভাঁজ করা। নানা ভাঁজের নানা মানে। উপরের ডান দিকের কোনা ভাঁজ করার অর্থ কার্ডের মালিক স্বয়ং এসেছিলেন। কাউকে অভিনন্দন জানানোর উদ্দেশ্যে এলে কার্ডের উপরের বাঁ-দিকের কোনা আর সমবেদনা জানানোর জন্য এলে নীচের বাঁ-দিকের কোনা ভাঁজ করে দেওয়ার হতো। আবার লম্বা ছুটিতে যাওয়ার আগে বিদায় জানানোর জন্যে দেখা করতে এলে নীচের ডান দিকের কোনা ভাঁজ করে রেখে যেতেন দর্শনার্থী। 
এই দেখা করা ও কার্ড দেওয়ার সহবত বা এটিকেটের কোনও সর্বজনগ্রাহ্য সাধারণ নিয়ম ছিল না। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির নিয়মের সঙ্গে মাদ্রাজ বা বম্বে প্রেসিডেন্সির নিয়ম মিলত না। ব্যাচেলাররা দেখা করতে এলে, দস্তুর ছিল গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীর জন্য দু’খানি কার্ড রেখে যাওয়ার। অবশ্য ব্যতিক্রম ছিল নববধূদের ক্ষেত্রে। নিয়মের আরও একটি ব্যতিক্রম ছিল ভারতে অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত  ব্রিটিশ সেনা রেজিমেন্টের অফিসারদের স্ত্রীরা। তাঁরা ভারতীয় রেজিমেন্টের ব্রিটিশ অফিসারদের স্ত্রীদের সঙ্গে প্রথম দেখা করতে যেতেন না। আর এটা নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের গভীর অসন্তোষের কথাও গোপন থাকেনি সেকালের নানা সামাজিক দলিলে।
এই সামাজিক নিয়মের সূক্ষ্ম তারতম্যের ফলে নতুন আগন্তুকটি অনেক সময়েই সামাজিক বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতেন। তেমন ঘটনার সাক্ষী বিশ্বনাথ লাহিড়ী, যিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশের প্রথম ভারতীয় আইজি হয়েছিলেন। ব্রিটিশ আমলে সদ্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর ট্রেনিং হয় মুরাদাবাদে। ট্রেনিং কলেজের প্রিন্সিপাল তাকে সেখানকার বিবাহিত অফিসারদের এক তালিকা দিয়ে তাঁর সুবিধামতো কার্ড রেখে আসতে বলেন। গত শতকের দ্বিতীয় দশকে অভিজাত বাংলোতে শুধু গৃহকর্ত্রীর নাম লেখা ‘নট অ্যাট হোম’ বাক্স টাঙানো থাকত। নবাগত ব্যাচেলারের উচিত ছিল দু’টি কার্ড সেই বাক্সে ফেলে আসা। কিন্তু এক বাড়িতে শুধু একটি কার্ড ফেলে এসে মহা বিড়ম্বনায় পড়েন লাহিড়ী মশাই। অন্য এক বাড়িতে গিয়ে শুনলেন যে সাহেব বাড়ি নেই। সেক্ষেত্রেও দু’টি কার্ড ছেড়ে আসার নিয়ম না মেনে মেমসাহেবের সঙ্গে দেখা করার জন্য বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইলেন বিশ্বনাথবাবু। তাই গৃহকর্ত্রী বাধ্য হলেন তাকে ভেতরে ডাকতে। ফলে ভদ্রলোক আবার সমাজে হাসির খোরাক হলেন। দেখা করতে যাওয়া ও ভিজিটিং কার্ড দেওয়ার সামাজিক প্রথাকে মানুষ ঠিক কতটা গুরুত্ব দিতেন, সেটা বোঝা যায় ইউরোপ ও আমেরিকায় প্রকাশিত সামাজিক শিষ্টাচার বা এটিকেট-এর বিভিন্ন গাইড বইতে ভিজিটিং কার্ড দেওয়া-নেওয়া মান্য প্রথা থেকে শুরু করে তার নকশা ও বিষয়বস্তু নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা। ১৯৩৩-এ প্রকাশিত এটিকেটের বইতে লিলিয়ান আইকলার লিখছেন,  কার্ড সব সময় সরল টাইপফেস ব্যবহার করে সাদার উপর কালো দিয়ে ছাপা উচিত। রংচঙে ও জমকালো কার্ড তার মালিকের সন্দেহজনক রুচির পরিচয় বহন করে। পরবর্তী সময়ে দুনিয়া কাঁপানো সঙ্গীত দল ‘বিটলস্‌’ যখন বিখ্যাত হয়নি, সে সময়ে তাদের কার্ড দেখে সেই রুচির কথাটাই মনে হয়। 
১৯২৮ সালের কলকাতার সাহেব এলাকাগুলিতেও এই সামাজিক প্রথা চালু থাকার কথা জানা যায়। ব্রিটিশ আমলের শেষদিকে শৈশব কাটানো মানুষদের স্মৃতিকথা নিয়ে লরেন্স ফ্লেমিং সংকলনে জনৈক অ্যান বার্কিনশ’ বলছেন যে, বালিগঞ্জের সানি পার্ক ছেড়ে তাঁরা আলিপুরে যে বাড়িতে উঠলেন, সেখানে কলিং কার্ডের জন্য আলাদা বাক্স ছিল। নতুন বাড়িতে এসে তিনিও তাঁর মায়ের সঙ্গে অন্য বাড়িতে কলিং কার্ড ছাড়তে যেতেন।   
কার্ড রাখার কেস যেমন কাগজের মণ্ড, কাঠ বা কচ্ছপের খোলের মতো সহজলভ্য জিনিস দিয়ে তৈরি হতো, তেমনই সোনা, রুপো বা হাতির দাঁতের কেস ব্যবহার করতেন অভিজাতরা। দক্ষিণ ভারত, কচ্ছ, কাশ্মীর, লখনউ, কলকাতা— সব জায়গার কারিগররা নিজেদের শিল্পের বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলতেন এই কাজে। কলকাতায় এই কাজে কুক অ্যান্ড কেলভি অথবা হ্যামিল্টনের অ্যান্ড কোং-এর মতো সাহেব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিতেন এই শহরের বাঙালি সংস্থা, যেমন দাস অ্যান্ড দত্ত, গিরীশচন্দ্র দত্ত বা গোপীনাথ দত্ত। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিশেষত্ব ছিল স্থানীয় গ্রামীণ বা সামাজিক দৃশ্যকে রুপোর বিভিন্ন পাত্রে ফুটিয়ে তোলা। কলকাতার কারিগরদের হাতের কার্ড কেস ঔপনিবেশিক শিল্পসামগ্রীর নিদর্শন হিসেবে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে।  
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ভিজিটিং বা কলিং কার্ড দেওয়া-নেওয়ার প্রথা ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে গিয়ে কার্ড বলতে একমাত্র চালু থাকে বিজনেস কার্ড। ঠিক যেমন অপ্সরা থিয়েটার মামলায় ‘লালমোহন গাঙ্গুলী, রাইটার’ লেখা কার্ড ছাপিয়েছিলেন জটায়ু। 
22nd  September, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দাদি-পোতি মকবরা
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা বেশ মজার তাই না দাদি? আমাদের কেউ চিনবে না! বিশদ

29th  September, 2024
সিমলার ভৌতিক টানেল
সমুদ্র বসু

অন্ধকার একটা টানেল। স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা ধরা দেওয়াল। টানেলের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জল পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে কিছু ‘অন্য’ আওয়াজও কানে আসে। না, এটা কোনও ভৌতিক সিনেমার প্লট নয়। খোদ ভারতের বুকেই রয়েছে এমন একটি ‘ভূতুড়ে’ টানেল। বিশদ

29th  September, 2024
নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। বিশদ

22nd  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

22nd  September, 2024
রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হনুমান মহারাজজি
সমৃদ্ধ দত্ত

 

সেই গল্পটা তো আমাদের সকলেরই জানা। মহাশক্তিশালী ভীম হস্তিনাপুর যাওয়ার পথে একটি জঙ্গল পেরচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে তো একশো হাতির শক্তি। সেকথা সর্বজনবিদিত। দ্বিতীয় পাণ্ডব নিজেও সেকথা জানেন। সোজা কথায় তাঁর নিজের বাহুবল নিয়ে যে গর্ব ছিল একথাও অবগত আমরা।  বিশদ

01st  September, 2024
ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। বিশদ

25th  August, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
একনজরে
উৎসবের মরশুম বলে কথা, সাদামাটা খাবার পাতে দিলে চলে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন পদের আয়োজন করতে হয়। কিন্তু তা করতে গিয়েই বিপাকে পড়ছেন ...

ইসলামাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়েই সীমান্ত পারের সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিয়ে পড়শি দেশকে বিঁধতে ...

শনিবার আইএসএলের প্রথম পর্বের মহারণে মাঠে নামছে মোহন বাগান ও ইস্ট বেঙ্গল। এই ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হল ফিরতি ডার্বির দিন। ১১ জানুয়ারি ফের মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। শুধু ডার্বি নয়, বুধবার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করল এফএসডিএল। ...

টানা তিনমাস বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ট্রেন পরিষেবা। ১৯ জুলাই থেকে দুই বাংলার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন ট্র্যাকে নামা বন্ধ হয়। সেইসময় থেকেই ওপারে শুরু হয় চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ট্রমা দিবস
বিশ্ব সাইক্লিং দিবস
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৭৭৪: সাধক বাউল লালন ফকিরের জন্ম
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯০৩: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯৪৭: রাজনীতিবিদ বৃন্দা কারাতের জন্ম
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৬৫: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 
১৯৭৯: নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেটার মার্ক গিলেস্পির জন্ম
২০০৫: দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা ২৩/১৫, দিবা ৪/৫৬। রেবতী নক্ষত্র ২৬/৪৫ দিবা ৪/২০। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১০ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৫/১৯। রেবতী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৩৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ২/১৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
১৩ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইজরায়েলি সেনার হামলায় হত হামাস প্রধান ইয়াহা সিনওয়ার

12:45:16 AM

রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা ও ...বিশদ

12:09:02 AM

প্রয়াত অভিনেতা দেবরাজ রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

11:09:00 PM

বাবা সিদ্দিকিকে খুনের মামলা: অভিযুক্ত শিবকুমার গৌতম ও জীশান আখতারের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল মুম্বই পুলিস

10:30:12 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

10:19:00 PM

এনডিএ-র বৈঠক শেষে চণ্ডীগড় থেকে রওনা দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি

09:58:00 PM